চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আয় বেড়েছে আড়াই গুণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের দশ বছর: ১৭ হাজার কোটি টাকা থেকে সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা


দেশের রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এককভাবে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। জাতীয় বাজেট প্রনয়ণের সময় এবং মোট রাজস্ব লক্ষ পুরণেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের দিকে বিশেষ নজর থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। বিগত ১০ বছরে সেই কাস্টম হাউসে রাজস্ব আয় বেড়েছে আড়াই গুণ; যা নজিরবিহীন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেয়ার সময় ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয় ছিল প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেই রাজস্ব আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। শতাংশ হিসেবে এটি দাঁড়ায় প্রায় আড়াইগুণ। প্রতি বছর বাজেটে পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন ধরনের শুল্কহার ব্যাপকভাবে কমানোর পরও অর্জন হলো।

মুলত দেশের ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ায় দেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে অনেকগুণ। এই কারণে শুল্কহার কমানোর পরও রাজস্ব আয় না কমে উল্টো বেড়েই চলেছে।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু মনে করেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে রাজস্ব আয় যে কি পরিমান বাড়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস তার বড় প্রমাণ। মাত্র ১০ বছরে আড়াইগুণ রাজস্ব আয় হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও রেকর্ড পরিমাণ পণ্য উঠানামা হয়েছে।

তিনি মনে করছেন, সরকারের ধারাবাহিকতায় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখছে, দৃশ্যমান হচ্ছে। এরফলে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অর্থনীতির গতি বাড়ছে। শিল্পায়নে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট এখন নেই এতে বিনিয়োগ বাড়ছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে রাজস্ব আয় আরও বেশিহারে বাড়বে।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ড সারাদেশ থেকে মোট ২ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এককভাবে দিয়েছে ৪২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব; যা মোট রাজস্ব আয়ের ২০ শতাংশের বেশি। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি অর্থবছর ২০ থেকে ২২ শতাংশ হারে রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। ফলে জাতীয় বাজেট প্রনয়ণের সময় চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের ওপর বিশেষ নজর দেয়া হয়। কারণ এই কাস্টমসের ওপর রাজস্ব বোর্ডের নির্ভরশীলতা বেশি। নির্ভরশীলতা বেশি থাকায় প্রতিবছর প্রবৃদ্ধির চেয়েও বেশি রাজস্ব লক্ষমাত্রা চাপানো হয়। এই কারণে কখনো কখনো আগের বছর থেকে রাজস্ব আয় বেশি হলেও লক্ষমাত্রা পুরণ করতে পারে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলছেন, ‘সার্কভূক্ত দেশ সাফটার আওতায় পণ্য আমদানিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশে নির্ধারন করা হয়েছে, এরফলে এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আর চাল আমদানিতে শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে গতবছর, এতে অন্তত আটশত কোটি টাকার শুল্ক আয় থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এরকম আরো অনেকগুলো শুল্কহার কমানোর ফলে রাজস্ব লক্ষমাত্রা পুরণ সম্ভব হয় না। এসব রাজস্ব যোগ হলে প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ হতো।’

তিনি বলছেন, শুল্ক লক্ষমাত্রা পুরণ আমাদের একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়, সেবার মাধ্যমে দ্র–ত পণ্য ছাড় করাই মুল লক্ষ। সেটা আমরা যথেস্ট ভালোভাবেই করতে পেরেছি। এরপরও বিগত বছরের চেয়ে এবার প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ১৬ শতাংশ। বন্দরের প্রবৃদ্ধিও ১২ শতাংশ। সুতরাং আমরাও আদর্শ প্রবৃদ্ধিতে অবস্থান করছি।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিবছর রাজস্ব আয় বেড়েছিল দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। বর্তমান মেয়াদে ২০১৪ সাল থেকে সেই রাজস্ব আয় প্রতিবছর বাড়ছে চার থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর আগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৩৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। আয় বেড়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা; যা রেকর্ড।  

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয় নির্ভর করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির ওপর। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি অতীতের রেকর্ডকে ছাড়িয়েছে। বিদ্যমান জেটি এবং সীমিত সক্ষমতার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামায় বিশাল অগ্রগতি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কন্টেইনার উঠানামায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে সোয়া ১২ শতাংশ আর সাধারণ পণ্য উঠানামায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে সোয়া ১৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে এই প্রবৃদ্ধি। জার্মানীর হামবুর্গ পোর্ট কনসালটেন্সি (এইচপিসি) প্রণীত মহাপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৮ সালে কন্টেইনার উঠানামা হবে প্রায় ২৪ লাখ একক; ২০১৯ সালে হবে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার একক এবং ২০২০ সালে হবে ২৯ লাখ একক কন্টেইনার। আড়াই বছর পরের সেই পূর্বাভাস বা লক্ষমাত্রা এখনই পুরণ করলো চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য উঠানামা এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের চিত্র দেখে যেকেউ দেশের এই অগ্রগতির চিত্র সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন। শিল্প-কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়ায় ধারাবাহিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য খুবই দরকার এই স্থিতিশীলতা। এটি নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ দ্রুত অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। রাজস্ব আয় এখনকার চেয়ে অনেকগুণ বেশি বাড়বে।

   

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;