বিইআরসি আইনকে অকার্য‌কর করে রেখেছে মন্ত্রণালয়



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলপি গ্যাস সমন্বিত নীতিমালা-২০২১ ‘র খসড়া বিইআরসি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিইআরসির ক্ষমতাকে খর্ব করার অপপ্রয়াস চলছে বলে মন্তব্য করেছে ক্যাব (কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)।

ক্যাব মনে করছে এতে দ্বৈত রেগুলেটর প্রতিষ্ঠা হবে। একাধিক জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে গিয়ে হয়রানি ও ঘুষ দুর্নীতির পরিমাণ বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে পণ্যের উপর, পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে, ভোক্তাকে মাশুল গুণতে হবে। বিইআরসি আইন অনুযায়ী তাকেই রেগুলেটরের ভূমিকায় থাকতে দেওয়া উচিত।

ক্যাবের এই মতকে বিইআরসি আইনও সমর্থন করে। এলপিজি অপারেটররাও চান একক রেগুলেটর। কিন্তু জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রথম থেকেই বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া। অনেক আপত্তি অনেক বিতর্কের পরও এলপিজি লাইসেন্সিং ক্ষমতা হারাতে নারাজ।

ক্যাব তার লিখিত প্রস্তাবে বলেছে, ২০০৩ সালে করা বিইআরসি আইনের আলোকে পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের খুচরা ট্যারিফ প্রবিধানমালা-২০১২ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ পরিবহন ট্যারিফ প্রবিধানমালা-২০১২ প্রণয়ন করে বিইআরসি। প্রবিধানমালা আইনমন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করা হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সেই প্রবিধানমালা আটকে রেখে এলপিজি অপরেশনাল লাইসেন্সিং নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করে। এই নীতিমালায় এলপিজি মূল্যহার নির্ধারণ পদ্ধতি ও লাইসেন্সিং অবৈধভাবে নিজের হাতে রেখে দেয়। যে কারণে এতোদিন এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেনি বিইআরসি। বিইআরসি আইনের সঙ্গে নীতিমালা সাংঘর্ষিক হওয়ার বিইআরসির পক্ষ থেকেও আপত্তি তোলা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাতে কোনো কর্ণপাত না করে নিজের হাতে রেখে দেওয়ার পথে হাটে।

এভাবে কেটে গেছে কয়েক বছর। এখন এলপি গ্যাস সমন্বিত নীতিমালা-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত চাওয়া হয়েছে। এতেও বিইআরসির কর্তৃত্ব খর্ব করা হয়েছে। ক্যাবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হযেছে নীতিমালা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

উল্লেখ্য বর্তমানে শুধু বিদ্যুৎ পাইকারি ও খুচরা মূল্য ও গ্যাসের শুধুমাত্র খুচরা মূল্য নির্ধারণ করছে বিইআরসি। জ্বালানি তেলের মূল্য বিইআরসি করার কথা থাকলেও বরাবরেই নির্বাহী আদেশে হয়ে আসছে।

ক্যাবের সুপারিশে বলা হয়েছে, রেগুলেটর একক প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত। ওয়ান স্টপ সার্ভিস থাকা উচিত। দুই জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে হচ্ছে, হয়রানি বেড়ে গেছে। আইনের সঙ্গে নীতিমালা সাংঘর্ষিক হলে আইন কার্য‌কর হবে। অনেক আপত্তির পরও মন্ত্রণালয়ের একরোখা মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বিপিসি একদিকে ব্যবসা করছে, একই সঙ্গে নিজে রেগুলেট করতে চাইছে। এটি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আইন অনুযায়ী এলপিজির দর নির্ধারণের এখতিয়ার বিইআরসির হাতে থাকা উচিত। একইসঙ্গে সংঘার্তপুর্ণ কর্মকাণ্ড থেকে মন্ত্রণালয়কে বিরত থাকার সুপারিশ দিয়েছে ক্যাব।

প্রস্তাবিত নীতিমালার বেশ কিছু অনুচ্ছেদ (৬.২, ৬.৬, ৭(ক)(৬), ৭(ক)(৯), ৭(ক)(১১), ১০.১)  বিইআরসি আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপুর্ণ ও পরষ্পর বিরোধী। বিইআরসি চিঠিতে নীতিমালা ও আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপুর্ণ হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এলপিজির দর নির্ধারণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রিট মামলার ভিত্তিতে দর নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে বিইআরসি। ওইসব সাংঘর্ষিক অনুচ্ছেদ নীতিমালায় গৃহীত হলে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বর্ত্যয় ঘটতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিইআরসি।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুটো জিনিস মৌলিক, একটা সরকারের চিন্তা ভাবনা ভোক্তাবান্ধব হচ্ছে না। সরকারের মুল অবজেকটিভ হচ্ছে জনকল্যাণ করা ও জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এখন সবকিছুই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।

তিনি বলেন, মৌলিক জায়গাটা হচ্ছে, পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যটা সঠিকভাবে হতে হবে। ন্যূনতম ব্যয়ে সরবরাহে নিশ্চিত করা। জ্বালানি বিভাগকে পলিসি প্রণয়নে রেগুলেটর থাকতে হবে। বর্তমানে তারা সেই জায়গা থেকে নেমে প্রশাসনের কাজে নেমে। ইউটিলিটিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিইআরসিকে অকার্য‌কর করে ফেলেছে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হতে হবে। কয়লা রিনিউয়েবল সম্পৃক্ত হতে হবে। গণশুনানির মাধ্যমে হতে হবে। মন্ত্রনালয় জোর করে বিইআরসি আইন অকারর্যকর করে রেখেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা অনেক বিষয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছি। আমরা একটি প্রক্রিয়ায় গিয়েছি, প্রশাসনিক ভাবে সুরাহা না হলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতেই হবে। এটাতো থেমে থাকলে চলবে না।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মহা. শের আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, খসড়া নীতিমালায় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত চাওয়া হয়েছে। কোনো অনুচ্ছেদ যদি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় নিশ্চয় সেগুলো দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, লিখিত মতামত পাওয়া গেছে। এখন সকলের উপস্থিতিতে একটি সভা করে চূড়ান্ত করতে চায় মন্ত্রণালয়। আমরা চেয়েছিলাম এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত করতে, কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া ফিজিক্যাল মিটিং করা সম্ভব হচ্ছে না এখনই তাই কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আমরা চাচ্ছি বিষয়টি ফিজিক্যাল মিটিংয়ে চূড়ান্ত করতে।

এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট স্থাপন নীতিমালা-২০১৬, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও রূপান্তর ওয়ার্কসপ স্থাপন, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৬ এবং এলপি গ্যাস অপারেশনাল লাইসেন্সিং নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়। এই তিনটি নীতিমালাকে একত্র করে এলপি গ্যাস সমন্বিত নীতিমালা-২০২১ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতোদিন পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। দর নির্ধারণের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হলেও জ্বালানি বিভাগ, বিইআরসি নাকি বিপিসি করবে সে নিয়ে ছিল রশি টানাটানি। সর্বশেষ ক্যাবের এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এলপিজির দর নির্ধারণ করার জন্য বিইআরসিকে শোকজ করে। সে মোতাবেক দর চূড়ান্ত করতে ১৪ জানুয়ারি গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি।

দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই জ্বালানির ব্যবহার। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে দেশে এলপিজি ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন। কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে ১২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ৩০ লাখ টন ও ২০৪১ সালে চাহিদা হবে ৬০ লাখ টন। সবচেয়ে বেশি হারে (৯২ শতাংশ) বেড়েছে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে। আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির জন্য ৫৬টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৮টি কোম্পানি মার্কেটে রয়েছে।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;