ব্রয়লার মুরগি ও নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অসাধু ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অন্যথায় সারাদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেনক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সভাপতি  এস এম নাজের হোসাইন,  ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সিপিবির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুন সংঘের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ফজলুল হক ও ন্যাপের সংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান প্রমুখ। এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। শুনেছি প্রতিযোগিতা কমিশনে সিন্ডিকেট তৈরিকারী করপোরেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  তবে মামলার মেরিট কোন দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান আছি। আমার চাই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এ বিষয়ে পরিষ্কার করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির সিন্ডিকেট যারা করেছে তাদের নাম সরকারের কাছে পৌছেছে।  এখন সরকারের সদিচ্ছা যদি থাকে তবে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

নাজের হোসাইন বলেন,  আমাদের দাবি একটাই,  যারা ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। প্রতিকী মামলা দিয়ে যেন পার পাইয়ে দেওয়া না হয়।

হুশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন,  এই মানববন্ধনের পর যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয় তবে ক্যাবের পক্ষ থেকে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ,  মানববন্ধন করা হবে।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, এই রমজান মাসে সংযম করার কথা, কিন্তু তারা তা না করে ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই,  যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার কষ্টের টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশের বাজারে অনেক চেহারা উন্মোচন করে দিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর আগে প্রমাণ করে দিয়েছে একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করতে কতো টাকা খরচ হয় এবং বাজারে কতো টাকা বিক্রি হয়। এই একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা আমরা বুঝলাম। সরকারের সংস্থায়ই এটা প্রমাণ করেছে।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন যশোরের রতন লাল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রিজ কিনে গাড়ি! যেন এক রূপকথার গল্প। কিন্তু এটাই বাস্তবে ঘটেছে যশোরের আনসার সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়ের জীবনে। ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছেন শার্শা উপজেলার রতন লাল। মাত্র ৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্টে ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ফ্রিজ কিনে জাপানি গাড়ি পাওয়ায় রতন লালের ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। এই আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রতনের পরিবারসহ পুরো এলাকায়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিজন-১৮য় ক্রেতাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার অথবা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। এ সুবিধা থাকছে ১৫ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত।

সোমবার বিকেলে (২৯ মে, ২০২৩) রতন লাল বাসফোড়ের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, ওয়ালটন প্লাজার ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর প্রমুখ।

জানা গেছে, যশোরের যাদবপুর নাভারণ রেলবাজার এলাকার মুকুল লাল বাসফোড়ের ছেলে রতন লাল। বান্দরবানের ৪ নং আনসার ব্যাটালিয়নের অধীনে চট্টগ্রামের ফয়েস লেক রেঞ্জে কর্মরত আছেন তিনি। ছুটিতে বাড়ি এসে চলতি মাসের ২৪ তারিখে কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ১৭৭ লিটারের ফ্রিজ কেনেন। এরপর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হলে গাড়ি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রতন।
তিনি বলেন, দেশীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। স্বপ্নেও ভাবিনি যে এতো দামি গাড়ি উপহার পাবো। গাড়িটি আমরা নিজেরা ব্যবহার করবো। ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে ক্যাশভাউচার কিংবা উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, আমরা বছরজুড়ে গ্রাহকদের নানাবিধ সুবিধা দিয়ে থাকি। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের চলমান সিজনে মেগা উপহার হিসেবে রয়েছে গাড়ি। এর পাশাপাশি বিশে^ একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, ওয়ালটন ক্রেতাদের চাহিদা এবং রুচি ও পছন্দ প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশেই উৎপাদন করছে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে যা রপ্তানি হচ্ছে বিশে^র বিভিন্ন দেশে। আমাদের লক্ষ্য শিল্প ও প্রযুক্তিখাতে সারা বিশে^ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা।

অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কিনে দেশের টাকা দেশেই রাখার আহ্বান জানান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকমানের দেশীয় পণ্য রেখে বিদেশী পণ্য কেনার কোনো মানে হয় না। আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে দেশে তৈরি পণ্য কিনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশীয় শিল্পখাত আরো শক্তিশালী হবে। দেশ উন্নত হবে এবং বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

 

;

বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ

বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসছে বাজেটে জ্বালানির উপর ডিউটি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট পরবর্তী সেভাবে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (২৯ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে ভিন্ন পরিমাণের ডিউটি রয়েছে। এই ডিউটি ইউনিক করার প্রস্তাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডের কারনে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির সংকট চলছে, আমরাও এই সংকটের বাইরে না। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যে কয়লার দাম ৬০ ডলার ছিল সেগুলো এখন ৪০০ ডলার, তেলে দাম বেড়ে গেলে ৬০ থেকে ৭০ ডলার, স্পর্ট মার্কেটে গ্যাসের দাম বেড়ে গেলো। আমরা বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে এসেছি, টার্গেড মূলক ভর্তুকি দিয়ে এসেছি, নিম্ন আয়ের লোকজন যেনো আক্রান্ত না হয়। সব মিলিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের একার না, অনেক ধনি দেশও রয়েছে। তারাও লোডশেডিং করেছে।

তিনি বলেন, ৫টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়েছিলাম, তারা আসতে পারেনি, বাধ্য হয়ে বেশি খরচের তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি চালাতে হয়েছে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ধীরগতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, বছরে ১০ টি কূপ খনন করতে গেলে কমপক্ষে ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। আমাদের বাপেক্সের মাত্র ৩টি রিগ এগুলো দিয়ে কতদূর যাওয়া সম্ভব!

সৌর বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বলেন, ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে হলে ৬ হাজার একর জমি প্রয়োজন। জমি পাওয়াটা বড় বিষয়, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন আমরা দেখেছি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতেই ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। ভোলায় বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে, ভোলার গ্যাস খুলনা পর্যন্ত নিতে হবে। আমাদের সামনে বড় তিনটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন, মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করা। নেপালের পাওয়ার আসবে, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে। তবে এই গ্যাস পেলে আনতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সে কারনে আমাদের আরও এফএসআরইউ লাগবে।

পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা কিন্তু সোলারের বিষয়ে এখন খুব সিরিয়াস, এখন দিনের বেলা সোলার থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। আগামী দুই বছরের মাথায় ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আমি লোডশেডিং করছে এমন জায়গায়, যেখানে সৌরবিদ্যুৎ থাকার সুযোগ ছিল। বছরে কমপক্ষে ১০ অনুসন্ধান কূপ খনন করা দরকার। এটি করা গেলে কমপক্ষে ৫টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করা সম্ভব। যদি ২০০ বিসিএফ করে গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে ১ টিসিএফ, যা এক বছরের চাহিদার সমান।

বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বলেন,  বিদ্যুতের যত সমস্যা এনার্জি কেন্দ্রীক। যতদিন জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়া না যাবে ততদিন এই সংকট দূর করা কঠিন। আমরা আবিস্কৃত গ্যাস ফিল্ডে উচ্চ লেভেল থাকল দূরের কথা, সর্বনিম্ন লেভেলে উত্তোলন করা হচ্ছে না। আমাদের সিলেট গ্যাস ফিল্ডের তুলনায় অনেক কম রিজার্ভ বিবিয়ানাতে, তারা অনেক বেশি গ্যাস তুলতে পারলেও আমরা কেনো অনেক কম করছি। রশিদপুর-৯ নম্বর কূপ থেকে মাত্র সাড়ে ৩ কিলোমিটার লাইনের অভাবে পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে ১৭-২০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। বিভিন্ন জায়গায় শুধু ঘষামাজা করলে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব।

এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, এফইআরবির ইডি রিসান নসরুল্লাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপপার প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান।

;

ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু

ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যালো পয়সার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ফ্রিজ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ অফার চলবে ১ জুন থেকে ২৭ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। 

সোমবার (২৯ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন হ্যালো পয়সার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সেইজিল ম্যাগান। অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম এবং হ্যালো পয়সার বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড ফজলুর রহমান।

এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন এবং ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান এবং উপশাখা ইনচার্জগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

;

ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১.৩১ লাখ কোটি টাকা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ প্রায় ১০ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা বেড়ে ১ কোটি ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, খেলাপি ঋণ তিন মাস আগের তুলনায় ৯ শতাংশ এবং এক বছর আগের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা চ্যালেঞ্জিং এবং চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, যখন দুর্বল ব্যবসার কারণে ব্যবসায়ীকেরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা থেকে বিরত ছিল।

মহামারি চলাকালীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের নিয়মিত পরিশোধের ওপর একটি স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিল, যা বিপুল সংখ্যক ঋণগ্রহীতাকে খেলাপি হতে সাহায্য করেছিল।

স্থগিতের সুবিধা প্রত্যাহারের পর, খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত বছরের ডিসেম্বরে ১ দশমিক ২০ লাখ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, একদল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, সুশাসনের অভাবে কিছু সংগঠিত গোষ্ঠী তাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছে, যা খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ।

;