গৃহঋণ চায় জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারা

  • আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

সরকারি কর্মচারীদের মতো ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে চায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি অর্থ বিভাগকে জুডিশিয়াল সার্ভিসের চাকরিজীবীদের গৃহঋণ প্রদান নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শেখ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্মকর্তাদের গৃহ ঋণের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার জন্য নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

বিজ্ঞাপন

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পান। কিন্তু বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োজিতরা বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ-২০১৬ অনুযায়ী বেতন ও ভাতা পান। এজন্য জুডিশিয়াল সার্ভিসের চাকরিজীবীদের প্রস্তাবিত গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। তবে গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালায় সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ্য নেই। তাই তাদের গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে অন্তত দুইজন সরকারি কর্মকর্তাকে গৃহ ঋণ দিয়ে এ কার্যক্রম চালু করতে চায় সরকার। ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণ পাওয়ার আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ধরা হয়েছে ৫৬ বছর। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ অর্থাৎ, চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। সুদের বাকি অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসাবে পরিশোধ করবে।