বড় সিটি থেকে পাঁচ বছরে বিদ্যুতের তার সরিয়ে ফেলা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছরের মধ্যে বড় সিটিগুলোর বিদ্যুতের তার সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। প্রথম ধাপেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা সিটি থাকছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

ধানমন্ডি এলাকায় ৩৪টি রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ৮টি রোডের কাজ শেষ হয়েছে ১১টি রোডের কাজ শেষের পথে।আগামী বছরের কাজ শেষ নাগাদ ১০ হাজার ৪০০ গ্রাহকের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত হবে। প্রত্যেকটি বাসায় একাধিক উৎসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। একটি উৎসের বিদ্যুতে বিভ্রাট হলে স্বয়ংক্রিভাবে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল থাকবে বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈদ্যুতিক লাইনগুলো সরিয়ে ফেলেছি। এখন আর রাস্তার ওপর কোন তার থাকবে না। এই কাজটি আমরা ধানমন্ডি থেকে শুরু করলাম। এটাকে পাইলট আকারেও দেখতে চাচ্ছি এর ফলাফল কেমন হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকার ওভারহেড লাইন মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য প্রাক-সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ঝড় ও বৃষ্টিতে অনেক সময় বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারের কারণে কিছুদিন পর পর গাছের ডাল কাটতে হয়। এই জটিলতা আর থাকছে না। নগরীতে সবুজায়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা এখন উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলে গ্রাহক যেমন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে। তেমনি বিতরণ কোম্পানিও অনেক সুবিধা পাবে। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা কমে যাবে, সিস্টেম লস কমে আসবে। এমনকি বাসাবাড়িতে ইচ্ছামতো লোড ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কেউ হঠাৎ করে বেশি (অনুমোদিত লোডের বেশি) বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

ধানমন্ডি ৩ নম্বরে দাঁড়িয়ে যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সে এলাকায় কিছু ঝুলন্ত তারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এগুলো ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট লাইনের। আমরা অনুরোধ করবো তারা যেনো এগুলো সরিয়ে নেয়। তাদের ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার জন্য নেটওয়ার্ক প্রস্তুত আছে। তারা যেনো সেখানে চলে যায়। যেগুলো দেখছেন সেগুলো রাস্তার বাতির খুঁটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডি এলাকার এই প্রকল্পের সঙ্গে হাতিরঝিলের পানিতে থাকা টাওয়ারগুলো সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের নদীতে থাকা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের হাইভোল্টেজ টাওয়ারগুলো সরিয়ে ফেলার হবে।

সম্প্রতি মিরপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি খুবই হৃদয়বিদারক। এ জন্য বিতরণ কোম্পানির পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে। ঝড়বৃষ্টির পর কোথাও তার ছিঁড়ে গেলে একটু সাবধান থাকতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপন শেষ হলে এমন দুর্ঘটনার শঙ্কা আর থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩ নম্বর থেকে শুরু করে, প্রকল্প এলাকার বেশকিছু রোড ঘুরে দেখেন। এমনকি একটি দু’টি বাসায় গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করেন। তাদের প্রতিক্রিয়া মনযোগ দিয়ে শুনেন। অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির লোকজনকে এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করার জন্য পরামর্শ দেন।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় যেসব বিদ্যুতের লাইন রয়েছে অনেক পুরনো (২০০০ সালের আগের)। ওভারহেড লাইনের (খুঁটিতে ঝুলন্ত) নানা রকম সমস্যা থাকে। দেখা যাচ্ছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে বাসাবাড়ির ময়লা তারে আটকে গিয়ে বিভ্রাট হচ্ছে। ওভারহেড লাইনে নানা কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সেদিক থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল অনেক নিরাপদ ও সুরক্ষিত। এতে করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সহজ হবে।

ডিপিডিসি এমডি আরও বলেন, আমরা স্মার্টগ্রিড সিস্টেমের বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি। তাতে গ্রাহকসেবা আরও উন্নত হবে। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।

‘ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটির জন্য বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি হয় ২০১৬ সালে। আর ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ধানমন্ডির পূর্বে মিরপুর রোড, পশ্চিমে সাতমসজিদ রোড, উত্তরে ধানমন্ডি ২৭ এবং দক্ষিণে ধানমন্ডি -১ পর্যন্ত বিস্তৃত। এসব এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াটের মতো। আগামী ২৫ বছরে চাহিদা বৃদ্ধি বিবেচনায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আরএমইউ (উচ্চচাপ সংযোগ ও ইন্টার-কানেকশন) এবং বক্সটাইপ ট্রান্সফরমার ও এলভি বক্স (নিম্নচাপ) স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য ২৭০টি আরএমইউ ও ৩৬টি বক্সটাইপ ট্রান্সফরমার, ১৩০টি এলভি বক্স ও ১০০ কিলোমিটার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। জায়গা সংকট এবং সিটি করপোরেশনের সঙ্গে রশি টানাটানির কারণে নির্ধারিত সময়ে থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

   

সেচে বিদ্যুৎ-ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ কিংবা ডিজেলের জন্য কৃষির ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্টিক টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ও লুব অয়েল ৪৪ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১.৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬.১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫.৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮ শতাংশ পরিবহনে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়।

ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।

;

দেশের সেবা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পর্যায়ে সেবা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রদান করার স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা) ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম -এর উপস্থিতিতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

এসময় বিকাশ’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সকল নিয়ম মেনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল ও পেমেন্ট সেবা দিয়ে আসছে। বিকাশ’র প্ল্যাটফর্মে হওয়া প্রতিটি লেনদেনের জন্য প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স উৎস থেকেই সংগ্রহ করে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা করে বিকাশ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেবা খাতে দেশের সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই অর্জন আমাদেরকে আরও উজ্জীবিত করবে এবং দেশের উন্নয়নে আরও বলিষ্ঠভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা দিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রতিবারের মতো এবারও উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা - এই তিন শ্রেণিতে তিনটি করে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেয়া হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) আছে, ভোক্তাকে নিয়মিত ভ্যাট রসিদ প্রদান করে এবং ভ্যাট আদায় করে তা নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সম্মাননা পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করে এনবিআর।

;

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন ব্যাংক ও ভারতের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান-১ এ ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং ভিসা ডেবিট কার্ডধারী গ্রাহকগণ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় ভোগ করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী এবং ভারতের যশোদা হাসপাতালের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি’দ্বয়, সিএবিডির ইনচার্জসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

;

সিলেটে তেলের খনির সন্ধান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কূপটি সিলেট জেলার জয়িন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট অঞ্চলে অবস্থিত।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই কূপে তিনটি গ্যাস স্তরের পাশাপাশি তেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছি আমরা। ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় তেলের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দিন ২ ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল উঠেছে। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে,মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করার সময় তেলের উপস্থিতি জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি পাওয়া গেছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে তেলের মজুদ প্রায় ৮-১০ মিলিয়ন ব্যারেল ধারনা করা হচ্ছে, যার মূল্য ৫৬ টাকা লিটার হিসেবে ধরলে ৭ হাজার কোটি টাকা। উত্তোলিত তেল পরীক্ষার জন্য বুয়েট, ইস্টার্ন রিফাইনারীসহ ৩টি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রেজাল্ট পাওয়া গেলে আর বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৬ সালে দেশে প্রথম তেলের সন্ধান পাওয়া যায় হরিপুরে। এটি পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিল। ওই ক্ষেত্রে এপিআই গ্র্যাভিটি ২৭ ডিগ্রি। সেদিক থেকে নতুন ক্ষেত্রের মান উন্নত।

কূপটিতে তেলের পাশাপাশি গ্যাসের ৩টি স্তর পাওয়া গেছে। স্তরগুলোর অবস্থান হচ্ছে ২৪৬০ থেকে ২৪৭৫ মিটার, ২৫৪০ থেকে ২৫৭৬ মিটার ও ৩৩০০ মিটার গভীরতায়। গ্যাসের মজুদ হতে পারে ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট ও যার গড় মূল্য ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে সিলেট ১০ নম্বর কূপের খনন কাজ। এ জন্য গ্যাসফিল্ড কোম্পানির সঙ্গে সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন, চায়নার সঙ্গে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আমিন ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

;