বিদ্যুৎকেন্দ্র ৬০ শতাংশই বসে বসে টাকা গুনছে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের (ক্যাপটিভ ছাড়া) সক্ষমতা রয়েছে ২৪ হাজার ৯১১ মেগাওয়াট। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৯৭ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০.৫৩ শতাংশ মাত্র।

অলস বসে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৬০ শতাংশ হলেও। উৎপাদনের সঙ্গে তুলনা করলে এই হার দাঁড়ায় ১৫০ শতাংশে। শঙ্কার কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি পেমেন্টের জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঠিকই গুনতে হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হয়েছে ১৮ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এ কারণে লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩.১৬ টাকা আর ২০২২ সালে সাড়ে ৮ টাকার মতো, এখন গড় উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে সরকারকে।

এখনই ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র বেকার থাকছে, প্রাক্কলন অনুযায়ী বাড়ছে না বিদ্যুতের চাহিদা। অন্যদিকে পাইপলাইনে রয়েছে অনেকগুলো বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসার অর্থ হচ্ছে অলসের অনুপাত বেড়ে যাওয়া। আর বসে থাকা মানেই গড় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি।

পরিকল্পনা কি বলছে?

সংশোধিত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানে (আরপিএসএমপি-২০১৬) ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ চাহিদার ৩ ধরনের (অর্থনীতির উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন গতি অনুযায়ী) প্রাক্কলন করা হয়। মধ্যম বা বেজড কেস অনুযায়ী চাহিদার প্রাক্কলন ছিল ২৩ হাজার ৪১৭ মেগাওয়াট। চাহিদার প্রাক্কলনের সঙ্গেও বাস্তবতার খুব একটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিপিডিবি মনে করছে, নানা কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। দাম বেড়ে গেলে তেলের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসিয়ে রাখা হয়। যে কারণে বর্তমান চিত্রকে প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা করার সুযোগ নেই। চাহিদা অনুযায়ী পুরোপুরি সরবরাহ (পিক আওয়ারে) দিলে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। বর্তমানে চাহিদা ১১ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াটে ওঠা-নামা করছে। এই চিত্র হচ্ছে গ্রীষ্ম মৌসুমের, শীতকালে চাহিদা কখনও কখনও ১০ হাজারের নিচে নেমে আসছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড রয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট (১৯ এপ্রিল ২০২৩)। বিপিডিবি দাবি করছে ওই সময়ে কোন লোডশেডিং ছিল না।

বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, সমন্বয়হীনতাসহ নানান কারণে লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অঞ্চল ও সময় ভেদে নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কোথাও সঞ্চালনে, কোন অঞ্চলে বিতরণ ও উৎপাদনেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পুরোমাত্রায় সরবরাহ দেওয়া গেলে গ্রীষ্মকালে পিকের চাহিদা ১৯ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। সে বিবেচনায় রিজার্ভ মার্জিন যথাযথ রয়েছে। তবে শীতকালে পিকের চাহিদা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। এই বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

চাহিদার প্রাক্কলন, উৎপাদন ক্ষমতা ও বাস্তবতায় বিশাল ব্যবধান থাকায় সংকটের শঙ্কা দেখছেন অনেকেই। নানা কারণেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ছে, চাহিদা বাড়ছে কি। চাহিদা না বাড়লে অলস বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বোঝা কিভাবে টানবে বিদ্যুৎ খাত। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, এখন আবাসিক সম্প্রসারণ করে ব্যবহার বাড়ানোর সুযোগ সীমিত। গ্রাহকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে, বাসা-বাড়িতে এসি, ফ্রিজ স্থাপন করবে, এতে যা চাহিদা বাড়বে। সেখানেও এনার্জি সাশ্রয়ী লাইট, ফ্যান, এসি ব্যবহার বাড়ছে।

পাওয়ার সেল’র এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সংশোধিত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানে (২০১৬) অনুযায়ী ২০৩০ সালে বিদ্যুতের চাহিদার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৪ মেগাওয়াট, আর যদি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার (ইইএন্ডসি) নিশ্চিত করা যায় তাহলে চাহিদা নেমে আসবে ১৯ হাজার ৬১৯ মেগাওয়াটে।

পাওয়ার সেল’র ২০১৮ সালে ওই রিপোর্টে বলা হয়, স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সমূহের নেট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২০১৮ সালে (ডিসেম্বর পর্যন্ত) ১৬ হাজার ৯১৪ মেগাওয়াট। পর্যায়ক্রমে বেশকিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবসরে যাবে। এতে করে ২০৩০ সালে পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ৯ হাজার ২৮৯ মেগাওয়াট। পাইপলাইনে থাকা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো থেকে ২০৩০ সালে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে ৩৪ হাজার ৭২৩ মেগাওয়াট। একই সময়ে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে ২ হাজার ৩৩৬ মেগাওয়াট। আমদানি, নতুন-পুরাতন মিলে মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৪৬ হাজার ৩৪৮ মেগাওয়াট। আর ঠিক সেই সময়ে সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে চাহিদা দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৬১৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ বর্ধিত উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৬ হাজার ৭১৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রাক্কলন অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০৩০ সালে চাহিদার তুলনায় প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

পিএসএমপি-২০১৬ কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছে, রিজার্ভ মার্জিনের (বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও আপোদকালীন মজুদ) আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ২৮ শতাংশ থাকবে। ২০২৬ সালের পর থেকে কমতে থাকবে, ২০৪১ সালে ১০ শতাংশে নেমে আসবে। রিজার্ভ মার্জিন বেশি না রেখে এলাকা ভিত্তিক ছুটির দিন ভিন্ন করে চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করার সুপারিশ দেওয়া হয়।

পিএসএমপিতে ২০২২ সালে বিদ্যুতের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয় ১১.৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ১০.৫ শতাংশ। বিপিডিবির বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী যথাক্রমে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.৪৫ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাত্র ৩.৩২ শতাংশ।

পিএসএমপিতে ২০২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৬ মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার (এমকেএইচ) বিদ্যুৎ ‍উৎপাদনের প্রাক্কলন করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৮ হাজার ৪৫০ এমকেএইচ । ২১-২২ অর্থবছরে ৮৫ হাজার ৬০৭ এমকেএইচ, এবং ২০-২১ অর্থবছরে ৮০ হাজার ৪২৩ এমকেএইচ।

সম্প্রতি বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে, উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সামনের বছর উৎপাদনে আসবে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হবে। আরও চলমান বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রাহককে।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রথম উত্তর হচ্ছে শিল্পায়ন, নতুন নতুন শিল্পায়ন হচ্ছে, হবে সেখানে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হবে। সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের কাজ হতে নিয়েছে। সেখানে দেশী-বিদেশি অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করছে। একেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কয়েকটি উপজেলার সমান চাহিদা সৃষ্টি করে।

সরল অংকে শিল্পায়নের এই হিসাব অনেকটা সঠিক মনে হবে, কিন্তু শিল্পপতিরা কি সেই বিদ্যুতের ভরসা করছেন! পরিসংখ্যান বলছে মোটেই না। যারাই শিল্প স্থাপন করবেন, আগে ভাগেই ক্যাপটিভ বিদ্যুতের অনুমোদন নিয়ে রাখছেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হিসেবে বলা হচ্ছে জুন ২০২৩ পর্যন্ত ৯১৭টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৩৭৬৭ মেগাওয়াট। এছাড়া ১ মেগাওয়াটের কম ২৬৮৬টি লাইসেন্স ওয়েভার সনদ ইস্যু করা হয়েছে। যেগুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ১৮৯৭ মেগাওয়াট। বিদায়ী অর্থবছরে নতুন ১৯৯ মেগাওয়াট এবং লোডবৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়েছে আরও ৪০ মেগাওয়াটের মতো।

১০ মেগাওয়াটের বেশি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে বিদ্যুৎ বিভাগের পূর্বানুমতি আবশ্যক। সেখানেও আইনের ফাঁক গলতে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে শিল্প মালিকরা। একই কারখানায় একাধিক আইডি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নেওয়া হচ্ছে। ২৫ মেগাওয়াট চাহিদাকে ভেঙে পৃথক ৩টি সংযোগ দেখিয়ে অনুমোদন নিচ্ছেন। সম্প্রতি ভালুকার জামিরদিয়ায় অবস্থিত এনআর গ্রুপকে ভিন্ন তিনটি গ্রাহক সংকেত নম্বর দিয়ে ২৪.৯২ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ সংযোগ দিয়েছে তিতাস গ্যাস।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এখনই বন্ধ করা দরকার এগুলোতে গ্যাসের অপচয় হচ্ছে। ক্যাপটিভের গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দিলে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। ক্যাপটিভে গ্যাস দেওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসে থাকছে। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা এমনও বলেছি, চুক্তি থাকবে বিতরণ কোম্পানি যদি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে তারা জরিমানা দেবে। তারপরও তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

তবে সরকারের এসব কথায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না শিল্পপতিরা। তাদের প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন এবং মানসম্মত বিদ্যুৎ, সেই জায়গায় এখনও অনেক ঘাটতি দেখছেন তারা। যে কারণে অনেকেই ঘুষ দিয়ে হলেও ক্যাপটিভ নিতে দৌড়-ঝাপ করছেন।

এক সময় ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শিল্প কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ক্যাপটিভ (শিল্প কারখানায় স্থাপিত বিদ্যুত উৎপাদন জেনারেটর) বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে, সরকার চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী গত ২৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩২ মেগাওয়ার্ট (রাত ৮)। ওই সময়ে চাহিদা ছিল মাত্র ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল মাত্র ১১৮ মেগাওয়াট। ২৬ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ৩০৫.৫৩৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে ১২ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎেউৎপাদন হয়েছে। ওই দিনও অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেকার বসে থেকেছে।

এতে বর্ধিত বিদ্যুৎ বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে, দিনে-রাত ও পিক-অফপিকের বিশাল ফারাক। এ কারণে বসিয়ে রেখে রেখে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। শীত মৌসুমে এই চিত্র ভয়াবহ। সরকার অবশ্য শীতকালে বিদ্যুৎ নেপালে রফতানি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বলাবলি করছে। কিন্তু এখনও আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কার্যক্রম।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদ্যুৎ কয় ঘণ্টা থাকে। কোন কোন এলাকায় দিনের অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তাহলে প্রকৃত উৎপাদন বাড়বে কিভাবে। জেনারেশন ক্যাপাসিটি কতটুকু, এগুলো কি প্রয়োজন। বিইআরসিতে থাকার সময় একটি অর্ডার দিয়েছিলাম তৃতীয় দফায় রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নবায়ন না করার জন্য। তারপরও সেগুলো নবায়ন করা হলো। এভাবে বোঝা টানার কোন মানে হয় না।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এখনই সংকট শুরু হয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা আগামী বছরে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অবসরে পাঠাচ্ছি। এরমধ্যে ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক ও কিছু পুরনো গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাপটিভ থেকে বের হয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ডাবল লাইন স্থাপন করা হচ্ছে।

   

ভারতে ৩০০ শোরুমে শুরু হলো ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় ও বিপণন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়া শহরে ওয়ালটন ফ্রিজের শোরুম।

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে এতদিন ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) হিসেবে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি করে আসছে ওয়ালটন। এবার দেশটিতে ওইএম এর পাশাপাশি নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতেও ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এই সাফল্য ভারতের বিশাল বাজারে বাংলাদেশি তথা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ইতিমধ্যে ভারতের বাজারে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৩০০টি আউটলেটে বিক্রয় হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। পর্যায়ক্রমে বাড়বে আউটলেটের সংখ্যা। সেইসঙ্গে ফ্রিজের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইলেকট্রিক্যাল পণ্যও ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এখন একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটন ফ্রিজের। ওয়ালটনের টার্গেট- বিশ্ববাজারেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। সেজন্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর বাজারে ওইএম এর পাশাপাশি ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাজার ভারতে ওয়ালটনের নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছি। বাংলাদেশের মতো ভারতের বাজারেও শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার ফ্যাসিলিটি গড়ে তুলেছি।

তিনি জানান, ভারতে বেশ কয়েক বছর ধরে ওইএম এর আওতায় বাৎসরিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফ্রিজ রফতানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের রফতানিকৃত ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং উচ্চ গুণগত মান অতি অল্প সময়ে ভারতের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে এবার ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছি। যা কিনা বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে এক বিশাল মাইলফলক।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানান, ভারত এশিয়ার মধ্যে অন্যতম এক বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশটিতে বাৎসরিক ১ কোটি ৪০ লাখ ইউটিন ফ্রিজের চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড লোগোতে ফ্রিজ বিক্রয় ও বিপণন শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি খাতে সম্ভাবনাময় এক বিশাল বাজারের দ্বার উম্মোচিত হলো। বাংলাদেশের মত ভারতের বাজারেও মার্কেট লিডার হওয়ার টার্গেট নিয়েছি আমরা। সেজন্য দেশটিতে ব্যাপক ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত করা হয়েছে অত্যন্ত দক্ষ মার্কেটিং টিম। ইতিমধ্যে ভারতে Walton.in নামে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছি।

এছাড়া, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলমান আছে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ ‘ইন্ডিয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস’ মেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলাতেও ওয়ালটন ফ্রিজ প্রদর্শনী করা হবে।

ওয়ালটন সূত্রমতে, বাংলাদেশের বাজারে সিংহভাগ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, কম্প্রেসার, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

;

সেচে বিদ্যুৎ-ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ কিংবা ডিজেলের জন্য কৃষির ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকগণের নিকট সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য বিপিসি’র চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্টিক টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন ও লুব অয়েল ৪৪ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১.৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬.১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫.৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮ শতাংশ পরিবহনে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়।

ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাং সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।

;

দেশের সেবা খাতে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পর্যায়ে সেবা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রদান করার স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নিরীক্ষা) ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম -এর উপস্থিতিতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

এসময় বিকাশ’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সকল নিয়ম মেনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল ও পেমেন্ট সেবা দিয়ে আসছে। বিকাশ’র প্ল্যাটফর্মে হওয়া প্রতিটি লেনদেনের জন্য প্রযোজ্য ভ্যাট ও ট্যাক্স উৎস থেকেই সংগ্রহ করে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা করে বিকাশ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেবা খাতে দেশের সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই অর্জন আমাদেরকে আরও উজ্জীবিত করবে এবং দেশের উন্নয়নে আরও বলিষ্ঠভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা দিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রতিবারের মতো এবারও উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা - এই তিন শ্রেণিতে তিনটি করে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেয়া হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) আছে, ভোক্তাকে নিয়মিত ভ্যাট রসিদ প্রদান করে এবং ভ্যাট আদায় করে তা নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সম্মাননা পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করে এনবিআর।

;

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ইউনিয়ন ব্যাংক ও যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন ব্যাংক ও ভারতের যশোদা হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান-১ এ ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং ভিসা ডেবিট কার্ডধারী গ্রাহকগণ চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় ভোগ করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী এবং ভারতের যশোদা হাসপাতালের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শাহিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি’দ্বয়, সিএবিডির ইনচার্জসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

;