‘খেলাপিদের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা প্রয়োগের এখনি সময়’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
‘খেলাপিদের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা প্রয়োগের এখনি সময়’

‘খেলাপিদের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা প্রয়োগের এখনি সময়’

  • Font increase
  • Font Decrease

ঋণ খেলাপি-কর খেলাপি ও দেশ থেকে টাকা পাচারকারীদের আইনের প্রাতিষ্ঠানিক আওতায় নিয়ে একটা সিগন্যাল দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, অর্থনীতি যখন চাপের মধ্যে তখন এসব খেলাপিদের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা প্রয়োগের এখনই সময়।

বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

বার্তা২৪.কম: সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি কোন দিকে যাচ্ছে?

অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান: অবশ্যই সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা একটা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক সূচক আছে, সেসবের মধ্যে তার একটা প্রতিফলন আমরা দেখছি। সেটা আমাদের মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের সিচুয়েশনস, টাকার মূল্যমানের প্রবণতা, বিদেশি বিনিয়োগ, ঋণ প্রবাহ কিংবা রিজার্ভের কারণে আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা; সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিচালনার ক্ষেত্রে অক্টোবরে তো নেগেটিভ হয়ে গেছে, নভেম্বরেও সুবিধার না। সব ধরনের সূচকই একটা চাপের মধ্যে আছে। সুতরাং সেদিক থেকে অবশ্যই এসবের অভিঘাত পড়ছে জীবনযাত্রার মান, কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি-এগুলোর উপরে তার একটা নেতিবাচক প্রভাব তো পড়ছেই। সুতরাং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা একটা ঝুঁকির মধ্যে আছে।

বার্তা২৪.কম: বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতের অংশীজন ও সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগকে আপনি কিভাবে দেখেন-

অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান: কিছু কিছৃ পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে। প্রথম কথা হলো সংকটের কারণটাকে যদি কেবলমাত্র কোভিড পরবর্তী উত্তরণ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বলা হয় যে এটি বাহির থেকে আসছে আমার মনে হয়; তাহলে সম্পূর্ণ গল্পটা বলা হবে না। আমাদের নিজেদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে এই বাইরের ফ্যাক্টরগুলি আরও জেঁকে বসেছে। আমরা অনেকদিন ধরে বলছি, আমাদের টাকা অতিমূল্যায়িত আছে, এটাকে গ্রাজুয়্যাললি অবমূল্যায়িত করেন; তখন বলা হলো-মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে। আমরা বললাম যে আমাদের রেমিটেন্স এবং রফতানি সক্ষমতা বাড়বে, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা এবং তার ফলে এটা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতিকে আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনা, শুল্ক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি  দিয়ে সামাল দিতে হবে। কিন্তু ইতিমধ্যে আমরা অনেক বিলম্ব করেছি, ডলারের দাম ৮৬ টাকা অনেক দিন ধরে রেখেছি, এরপর এক লাফে এখানে ১১০-১১১ টাকা হয়েছে, যখন নাকি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি শেষ পর্যন্ত বাড়লই। এসব বিষয়গুলি যেমন আছে-তেমনি দেশ থেকে অনেক টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে;  আমরা বলছি অনেকদিন ধরে, বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা দিয়ে এগুলো  মোকাবেলা করুন। বাজারের মধ্যে একধরণের একচেটিয়াকরণ হচ্ছে-এগুলোকে মোকাবেলা করুন। বাজার ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, সাশ্রয়ীভাবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন- এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরণের দুর্বলতার কারণে আমরা ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছি। ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছি, অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছি। যেহেতু আমাদের সমস্যাটা ভেতরে, সেহেতু সমাধানটাও ভেতরেই খুঁজতে হবে-সেটাই হলো এখন মূল উদ্দেশ্য। এখন বাইরে জ্বালনি আর চিনি ছাড়া সবকিছুর দাম কমেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে তো বাড়ছেই। ইনফ্লেশন কমার তো কোনো লক্ষণ নেই। আর এখন ইনফ্লেশন যদি কিছু কমেও সেটি উপরের স্তরে; ১০০ টাকারটা ১০ শতাংশ বেড়ে ১১০ হয়েছে, তারপরে ইনফ্লয়েশন ১০ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ কমলো তার মানে ১১০ টাকারটা ১৮ হলো, তাতে তো আমার কোনো স্বস্তি নেই, ভিত্তি অলরেডি উপরে উঠে গেছে। সুতরাং এইখানে আমাদের এখন চেষ্টা করতে হবে যাতে ব্যালেন্স অব পেমেন্টটা আরেকটু বেটার করা যায়। রেমিট্যান্স  ইনফরমাল চ্যানেলে চলে গেছে। একে ফরমাল চ্যানেলে আনতে হবে। ঋণ খেলাপি, কর খেলাপি, দেশ থেকে টাকা পাচারকারী-এদের সবাইকে আইনের প্রাতিষ্ঠানিক আওতায় নিয়ে একটা সিগন্যাল দেওয়ার সময় আসছে। শূন্য সহিষ্ণুতার কথা আমরা বলি, এই শূন্য সহিষ্ণুতা প্রয়োগের এখনই সময়, অর্থনীতি যখন একটা চাপের মধ্যে আছে। সবদিক থেকে আমার মনে হয়, অর্থনৈতিক চাপের উৎকর্ষতা, সুশাসন, শূন্য সহিষ্ণুতা, ঋণখেলাপি, করখেলাপি, হুন্ডি চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে, যাতে করে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বিনিয়োগ তার আগের জায়গায আসে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগকারীরাও যাতে উৎসাহ পায় । একটা পেইনপুল প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আরেকটা ভারসাম্যে আসতে হলে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের সংস্কার করা দরকার, বাংলাদেশব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইউনিটগুলোর মাধ্যমে বিদ্যমান যেসব আইন আছে তা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ করে ভোক্তা অধিদপ্তর, কমপিটিশন অধিদপ্তর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে পেইনপুল প্রসেসের মধ্য দিয়ে আমরা আরেকটা ভারসাম্যে পৌঁছে যাবো।

বার্তা২৪.কম: স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সক্ষমতার জায়গাটি কতটা দেখাতে পারছেন?

অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রাইট ডাইরেকশনে-তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমরা দেখেছি ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপরে বিভিন্নভাবে (তাদের) স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে, তাদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হয়েছে। নতুন আইন পাস হলো পার্লামেন্টের শেষ মূহুর্তে, তাতে দেখলাম পরিচালক পদে নয় বছরের জায়গায় ১২ বছর থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাংককে তো স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে । মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি নীতির জন্য যেটা করার দরকার, বিশেষ করে ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে-এসবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। কিছু দরকারি পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন কিন্তু সেটা আরও শক্তিশালী করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও বুঝতে হবে যে স্বাধীনভাবে যেসব সংস্থাকে কাজ করতে দিলে সেখানে তার জন্য ভালো হবে। তাদের নিজেদের স্বার্থে এটা করা উচিত। কারণ যদি ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমরা যদি অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন করতে চাই তাহলে বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করতে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো ভালো কিন্তু আমার মনে হয় আরও একটু দ্রুততার সঙ্গে নিতে হবে। এক্সচেঞ্জ রেট-ইন্টারেস্ট রেটকে দ্রুততার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

বার্তা২৪.কম: আমরা জ্ঞান ও তথ্য ভিত্তিক সমাজের কথা বলি সেখানে অর্থনীতির সংকট নিয়ে যেসব গণমূখি গবেষণা হয়, সেসব গবেষণাকে সরকার বা সংশ্লিষ্টরা কতখানি অগ্রাধিকার দেন-

অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান: আমার মনে হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এটা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে গেছে-ক্রয় ক্ষমতার নিরিখে; এরকম একটা অর্থনীতি চালাতে গেলে অবশ্যই একটা জ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে আমার মনে হয় না সেটার অনুধাবনটা আছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে, জ্ঞানভিত্তিক কথাবার্তা বললে আবার অনেকের পছন্দ হয় না। যারা এগুলো নিয়ে চর্চা করেন, যাদের বুদ্ধিমত্তা-মেধা আছে সেটা দিয়ে তারা পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু দেখা যায় এসব পরামর্শকে অনেক সময় নেতিবাচকভাবে নেওয়া হয়। আমার মনে হয় এটা ভালো কোনো লক্ষণ না। সমাজের যত জ্ঞানভিত্তিক আলাপ-আলোচনা হবে, শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করবেন; সেটা তো তাদের ম্যান্ডেট, কিন্তু গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার স্পেস থাকতে হবে। তখন সেখান থেকে তারা বেছে নিতে পারবেন, কোনটা তাদের জন্য সবচেয়ে  ভালো। কা্রণ রাজনৈতিক বিচার বিবেচনা করেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা কি আমরা বুঝি না? কিন্তু গঠনমূল সমালোচনার প্রতিও শ্রদ্ধা থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়।

   

ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ১০ মে) বরিশালের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল জোনপ্রধান মোঃ আব্দুস সোবহান। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ও মোঃ নুরুজ্জামানসহ বরিশাল জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপশাখা ইনচার্জ ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসগে এ বাজেট উত্থাপন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ৬ জুন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

সূত্র: বাসস

;

বাজেট ২০২৪-২০২৫

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের



জাহিদুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত এডিপির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৯৪ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বা ০.৭৬% বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা বা ২.৩৭% কমিয়ে আনছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা বা ৬.৩৮% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতি আর আর্থিক সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী বছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নানামুখী সংকটের কারণে আগের বছরের তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কিছুটা কমেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোনো বছরেই উন্নয়নখাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কমেনি।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলমান আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে সফলতা না থাকায় সরকারের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ কমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসায় আমদানি শুল্ক আহরণও কমছে। তা ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লে নিত্যপণ্যের দাম দ্রুতই বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এডিপির বরাদ্দ গণহারে না কমিয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বা তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এমন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

চাপের মুখে অভ্যন্তরীণ আর্থিক উৎস

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত চাহিদার তুলনায় মোট ২০ হাজার ৩শ ৯১.১৯ কোটির টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো এই তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা চাইলেও এর ৮৯% বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এডিপিতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। সে হিসাবে এডিপিতে বরাদ্দের ঘাটতি থাকছে, ১১ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা।

অবশ্য বিদেশি উৎস থেকে চাহিদার চাইতে ৮ হাজার ৯শ ৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ নিতে প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৯১ হাজার ১১ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বিদেশি ঋণ বাবদ এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

;