বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় শেভরন

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড (হবিগঞ্জ) থেকে: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় আমেরিকান কোম্পানি শেভরন। এতদিন তারা শুধু স্থলভাগে তেল-গ্যাস উত্তোলনে কাজ করতো, এখন সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আগ্রহী।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার সফরসঙ্গী ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব।

বিজ্ঞাপন

এর আগে দুপুরে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ২ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেভরন ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে, তারা সমুদ্রেও কাজ করতে আগ্রহী। শেভরন ডেটা সংগ্রহ করেছে, তারা দরপত্রে অংশ নিতে চায়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার বলেন, আমরা সাগরের সিসমিক সার্ভের ডাটা নিরীক্ষা করছি। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে আগ্রহী।

নসরুল হামিদ বলেন, শেভরন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। শেভরন বিশ্বমানের সেফটি ব্যবহার করে। দেশের গ্যাস চাহিদার অর্ধেকের বেশি শেভরন সরবরাহ করছে। এক সময় শেভরন দিনে ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করেছে। এখন উৎপাদন কমে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমেছে, সামনে উৎপাদন আরও কমবে। তবে ২০২৭ সালের দিকে আবার উৎপাদন বাড়তে থাকবে, ২০৩১ সালের দিকে আবার ১৪০০ মিলিয়নে যাবে।

তিনি বলেন, শেভরন নতুন এলাকায় অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা আশা করছে ওই এলাকায় বড় মজুদ পাওয়া যেতে পারে। এজন্য একাধিক কূপ খনন করছে। কম মজুদ থেকেও বিবিয়ানা বেশি গ্যাস তুলতে পারছে, কিন্তু দেশীয় কেনো পিছিয়ে। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট গ্যাসফিল্ডসহ দেশি কোম্পানিগুলোকে শেভরনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বলেছি ৷

এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, শেভরন বাংলাদেশ তাদের রিজার্ভ রিভিউ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা পরীক্ষা করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে তথ্য আপডেট করা হবে।

শেভরন দেশের ৬০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করছে, আর কনডেনসেট উৎপাদন করছে ৮০ শতাংশ। ৫৪ মিলিয়ন ম্যান আওয়ার দুর্ঘটনা ছাড়া কাজ চালানোর রেকর্ড করেছে। কোম্পানিটি ৩টি গ্যাস ফিল্ডে (বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ) ৩.৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। লোকাল মার্কেট থেকে ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা গ্রহণ করেছে।