সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেন অব্যাহত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন কার্যক্রম। এদিন লেনদেনের শুরুতেই বেলা ১১টায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১৮ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। ডিএসই ওসিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরুর প্রথম থেকে সূচক বাড়তে থাকে। লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত কার্যদিবসের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর থেকে সূচক ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর থেকে সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। আর বেলা ১১টার দিকে ডিএসইএক্স সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে।

অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৩২৩পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৫টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারেরদাম।

এদিন সোয়া ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আছে- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কেপিসিএল, বিবিএস কেবল, সোনালী আঁশ, জেএমআই সিরিঞ্জ, আলিফ, মুন্নু সিরামিকস, এমারেল অয়েল, আল হাজ টেক্সটাইল এবং  অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

সিএসই

অন্যদিকে, একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে১৫ হাজার ৫২৯ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৮১০ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এদিন ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

একই সময়ে দাম বাড়ার ভিত্তিতের সিএসই’র শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো-  এমারেল অয়েল, তুংহাই স্পিনিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, আনলিমা ইয়ার্ন, বঙ্গজ, ন্যাশনাল হাউজিং, সিলভা ফার্মা, সেন্ট্রাল, ডেসকো এবং তিতাস গ্যাস। পিপলস লিজিং, এমারেল্ড অয়েল, সোনারগাঁও ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই সিরিঞ্জ, বিডি ল্যাম্বস, কে অ্যান্ড কিউ, নিটল ইন্সুরেন্স, আরগন ডেনিমস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ওআইএমইএক্স।

   

৭২ ঘণ্টা পরও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন প্রায় ২২ লাখ গ্রাহক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। অন্যদিকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের শহরাঞ্চলে বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ৮৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দেওয়া বার্তায় এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা পরও অনেক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। আরইবির ২১ লাখ ৯ হাজার এবং ওজোপাডিকোর ৫৭ হাজার ৫৫০ গ্রাহক এখনও অন্ধকারে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আরইবি ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার এবং ওজোপাডিকোর ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহককে পূনঃসংযোগ প্রদান করেছে এবং ওজোপাডিকো ৩ লাখ ৯৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবাহ নিশ্চিত হয়েছে।

৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ক্ষতি ১১০৫ রিকভারি- ১০৯৫ রিকভারি অবশিষ্ট- ১০টি, ১১ কেভি ফিডার- ক্ষতি ৬২৩৫ রিকভারি- ৬০৬৪ রিকভারি অবশিষ্ট- ১৭১, বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতি ৩৮৩৩ রিকভারি- ৩৫৬৩ রিকভারি অবশিষ্ট- ২৭০টি, বিতরণ ট্রান্সফরমার ক্ষতি- ২৮১৮ রিকভারি- ২৪৫৩ রিকভারি অবশিষ্ট- ৩৬৫, তার ছেড়া স্প্যান (কি.মি.)- ৩০৫৬ রিকভারি- ২৫৬৩ রিকভারি অবশিষ্ট- ৪৯৩ কি.মি., ইন্সুলেটর ক্ষতি -২৪২৫৮ রিকভারি- ২৩৮১৫ রিকভারি অবশিষ্ট- ৪৪৩, মিটার ক্ষতি ৫৯৩৯৯ রিকভারি- ৫২০৯৯ রিকভারি অবশিষ্ট- ৭৩০০টি। একশত তিন কোটি তেত্রিশ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

রাত ১১টা নাগাদ ৯৫ শতাংশ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছেন। অবশিষ্ট গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বিধায় পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে আরইবি।

;

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ চায় এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ চায় এফবিসিসিআই

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ চায় এফবিসিসিআই

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য জোরদারের পাশাপাশি দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ চেয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের শিল্প কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এফবিসিসিআই।

বুধবার (২৯ মে) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

‘বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারকরণ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এই আয়োজনে সহযোগী ছিল অস্টেলিয়ার ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং সিডনিতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।

ড. যশোদা জীবন দেব নাথ বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এখনও সেভাবে সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে না। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি ওষুধ শিল্প, আইটি পরিষেবা, কৃষি প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, দক্ষতা, প্রযুক্তি ও জ্ঞানের আদান-প্রদানসহ উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। এসময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) বা একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) সম্পন্নের প্রস্তাব দেন তিনি।

চট্টগ্রাম ও সিডনির মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট চালুর আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি বাস্তবায়ন করা গেলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ও লজিস্টিকস বাবদ খরচ যেমন কমবে, তেমনি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।

এসময় তিনি আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ও উদ্ভাবন খাতে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা এবং উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেন।

সেমিনারে এফবিসিসিআই মহাসচিব জনাব মোঃ আলমগীর বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার প্রদত্ত সুযোগ ও প্রণোদনাগুলো তুলে ধরেন।

নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) সরকারের স্মল বিজনেস, ল্যান্ড অ্যান্ড প্রোপার্টি বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন ক্যাম্পের অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের অস্ট্রেলিয়ায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, এফবিসিসিআই পরিচালক মোঃ রাকিবুল আলম (দীপু), মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, প্রীতি চক্রবর্তী, হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, কাউসার আহমেদ, সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার, মোহাম্মদ আফতাব জাবেদ, এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;

আরও ৬টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের লেনদেন সহজ হলো বিকাশ-এ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আরও ৬টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের লেনদেন সহজ হলো বিকাশ-এ

আরও ৬টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের লেনদেন সহজ হলো বিকাশ-এ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আরও ৬টি শীর্ষস্থানীয় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখেরও বেশি গ্রাহকের ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সঞ্চয়ের টাকা জমা দেয়া সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ হলো বিকাশ-এ। এ লক্ষ্যে, সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস (এসএসএস), দিশা, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি (সেতু), পল্লী বিকাশ কেন্দ্র (পিবিকে), উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সোসাইটি (ইউডিপিএস) ও বাংলাদেশ ফেলোশীপ ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিকাশ।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এ বিষয়ে আলাদা আলাদা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল হক ভূইয়া, দিশা-এর প্রধান নির্বাহী মো. সহিদ উল্লাহ, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি (সেতু)’র উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ) মির্জা সাকিফ হোসেন, পল্লী বিকাশ কেন্দ্র (পিবিকে) ডেপুটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা শামস, উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সোসাইটি (ইউডিপিএস)-এর প্রধান নির্বাহী এএফএম আখতার উদ্দিন ও বাংলাদেশ ফেলোশীপ ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-এর নির্বাহী পরিচালক জন দাস চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপের ‘মাইক্রোফাইন্যান্স’ আইকনে ট্যাপ করে অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে মাইক্রোফাইন্যান্স পেমেন্ট অপশন থেকে সহজ কয়েকটি ধাপে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে পারছেন। মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ডিজিটাল করার জন্য আধুনিক ও গ্রাহকবান্ধব এই সল্যুশন নিয়ে এসেছে বিকাশ। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকদের ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা পাঠানো নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও ঋণ আদায় ও সঞ্চয়ের অর্থ সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী হয়েছে।

;

পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দসহ ১২ দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে পতন ঠেকানো ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগামী বাজেটে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দসহ ১২ দফা দাবি জানায় পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন (ক্যাপমিনাফ)।

বুধবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন আকন্দ।

তিনি বলেন, দেশের শিল্পপতিরা পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে শিল্পের বিকাশ ঘটাচ্ছেন। এতে করে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। ফলে, দেশের অর্থ বিভাগ সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। কিন্তু, পুঁজিবাজার আজ চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারাচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে।

রুহুল আমিন আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের নানা আশ্বাস ও আহ্বানে নতুন করে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু, দূরদর্শীতার অভাবে কিছু বিতর্কিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে খারাপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে বাজার থেকে বেহিসাবি (বিশাল আকারের) অর্থ বের করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।

পুঁজিবাজারে বর্তমান মন্দা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

>> পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে আগামী বাজেটে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে।

>> পুঁজিবাজার ভাল করতে আগামী এক বছর সকল ধরণের আইপিও অনুমোদন বন্ধ রাখতে হবে।

>> বর্তমান নেতিবাচক পুঁজিবাজারে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের আইপিও দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

>> ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ বন্ধ করতে হবে।

>> বাইব্যাক আইন কার্যকর করতে হবে।

>> শেয়ার দর বৃদ্ধি পেলে যেমন কারণ দর্শানো হয়, তেমনি কমলেও যেন এর কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যবস্থা করতে হবে।

>> পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনের ইস্যু দেখিয়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর আকাশচুম্বী করা হয়েছে, সে সব কোম্পানির শেয়ার কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

>> মিউচ্যুয়াল ফান্ড উন্নয়নে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নো ডিভিডেন্ড দেওয়া কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

>> ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বাজার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে ।

>> পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা তহবিল গঠন করতে হবে ।

>> স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুঁজিবাজার ও স্বচ্ছতা আনয়নে বিএসইসিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।

>> আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ সম্পূর্ণ নিঃশর্তভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

;