ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৬২, সিএসইর ১০৯ পয়েন্ট



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১০৯ পয়েন্ট।

ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরুর প্রথম থেকে সূচক বাড়তে থাকে। লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত কার্যদিবসের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর থেকে সূচক ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর থেকে সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ডিএসইএক্স সূচক ১৮ পয়েন্ট বাড়ে। তবে লেনদেন শেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে মাত্র ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে।

অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩০ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৩২৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। লেনদেন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৮টির, কমেছে ৭৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বৃহস্পতিবার দাম বৃদ্ধির ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আছে- বিবিএস কেবল, কেপিসিএল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ঢাকা ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, সায়হাম কটন, ইউনাইটেড পাওয়ার, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ব্র্যাক ব্রাংক।

সিএসই

অপরদিকে লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ১০৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করে।

লেনদেন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

এদিন দাম বাড়ার ভিত্তিতের সিএসই’র শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- কে অ্যান্ড কিউ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সায়হাম টেক্সটাইল, এমারেল্ড অয়েল, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুড এবং জেএমআই সিরিঞ্জ।

   

ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। 

আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। 

;

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে বাজারে এলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান অর্জনে ব্রত নিয়ে বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এই পণ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিলমুনের চেয়ারম্যান, এস আলম গ্রুপ ও একুশে টিভির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু।

এসময় তিনি, গুণগত মান বজায় রেখে সিলমুন পাইপ প্লাস্টিক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে জানান।

দেশে দিন দিন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে ভবন নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে।

গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবার বাজারে আসলো সিলমুন পাইপ এন্ড ফিটিংস।

'সঠিক পাইপে টেনশন ফ্রি লাইফে' এমন শ্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলমুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জানান পণ্যের মান নিশ্চিতের কথা। দামও সাশ্রয়ীর কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিলমুনের, ডিলার, বিক্রয়কর্মী ও ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

;

রাসায়নিক খাতের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, চাষাবাদ, তৈরি পোশাকসহ প্রায় সবক্ষেত্রে রাসায়নিক এর ব্যবহার হয়। বিশাল সম্ভাবনাময় এ খাতের বড় একটি বাজার বাংলাদেশ। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই রাসায়নিক কারখানা প্রতিষ্ঠা ও এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজিকরণ ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বরাদ্দকৃত জমির দ্রুত হস্তান্তর চান তারা।

শনিবার (মে ১৮, ২০২৪) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রাসায়নিক ও পারফিউমারি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাসায়নিকের ব্যবহার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিল্পকারখানা আছে যেগুলো রাসায়নিক ছাড়া চলে না। কিন্তু এর ব্যবহার পরিকল্পিত ও সুরক্ষিত হতে হবে। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স দরকার। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান ও কারখানা কমপ্লায়েন্সের বাইরে চলে যাবে। ব্যবসায়ীদের রাসায়নিক এর গুদাম ও কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় জমি বিতরণ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।

বিশাল সম্ভাবনাময় এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে সরকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এফবিসিসিআই আলোচনা করবে বলেও জানান মাহবুবুল আলম।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাত একসাথে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে দেশকে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটির সাথে ব্যবসায়ীরা সমন্বয় করে কাজ করতে পারলে দেশে রাসায়নিক শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, খাদ্য, চাষাবাদ, পোশাক শিল্পসহ প্রায় সবখানে রাসায়নিকের ব্যবহার রয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ উপাদানের প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশেই এর কারখানা তৈরি করা গেলে আমদানি কমানোর পাশাপাশি রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে এটি ব্যবহারের পর রাসায়নিকের সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও রি-সাইক্লিং নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ। তিনি বলেন, রাসায়নিক বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে পেছন থেকে অবদান রাখছে। আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে দেশে রাসায়নিক এর কারখানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারি পরিচালক ফয়সালুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহিদ উল্লাহ, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

;

জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরশিল্প এসএমইখাতের আওতাভুক্ত।

তিনি বলেন, এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে, যা মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এসএমইখাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগের জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের সরকার এবছরকে ‘জাতীয় হস্তশিল্প বছর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

১৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা ২০২৪ আয়োজন করছে। 

শিল্প উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিল্প উন্নয়ন ভাবনার পরিস্ফুটন হয় ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনি ইশতেহারে, যা তিনি নিজেই প্রস্তুত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ইশতেহারটির ২১ দফা ঘোষণাপত্রের চারটি দফা ছিল তাঁর শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে শিল্প প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম শিল্প ও বিনিয়োগনীতি ঘোষণা করেন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রয়োজনীয় দপ্তরসমূহ গঠন করেন। জাতির পিতার উন্নয়ন দর্শনের আলোকে বিগত ১৫ বছর আমরা শিল্পখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ফলে দেশের শিল্পখাত ক্রমেই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরশিল্প এসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এখাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে, যা মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এসএমইখাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্প পণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগের জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের সরকার এ বছরকে ‘জাতীয় হস্তশিল্প বছর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে তার সরকারের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে আমরা বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্পনীতি-২০২২ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিয়েছি।

করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় আমরা এসএমই শিল্পে আর্থিক প্রণোদনা এবং রফতানিখাতে অবদানের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে এবং নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে।

এসএমইএফ কর্তৃক নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও স্টার্টআপ বিষয়ে ১শ ৫০টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৩০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে ক্রেডিট হোলসেলিং মডেল ব্যবহার করে ৭শ ১৬ কোটি টাকা ৮ হাজার ২শ ৮৬ জন উদ্যোক্তাকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার ২৩ শতাংশ নারী।

শিল্পখাতে অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার শিল্পখাতে সফল উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিতকরণে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার, সিআইপি (শিল্প) সম্মাননা প্রদান চালু করেছে।

ফলে বিগত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ১১২ দশমিক ২৪ শতাংশ বাস্তবায়ন এবং চামড়া শিল্পে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার রফতানি আয় অর্জন উল্লেখযোগ্য, যার মধ্যে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ।

২০৩১ সালের মধ্যে এসএমই খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় তথা এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করার বিকল্প নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমইখাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে আর এভাবেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ।

;