নগদের জমি জিতলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আলাউদ্দিন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি আলাউদ্দিন ‘নগদে জমি’ ক্যাম্পেইনে পঞ্চম প্লট জিতে নিয়েছেন। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তিনি জিতে নিয়েছেন এই পুরস্কার।

সম্প্রতি নগদের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সোলাইমান ও জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ মালয়েশিয়া গিয়ে নগদের প্লটের কাগজপত্র আলাউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন। নগদের জমি ক্যাম্পেইনে প্রবাসী কারো কাছে জমি হস্তান্তর এটাই প্রথম। এই ক্যাম্পেইনে আটজন ভাগ্যবান বিজয়ী এই প্লট উপহার পাবেন, আলাউদ্দিন ছিলেন পঞ্চম বিজয়ী। ইতিমধ্যে নগদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নগদের হয়ে কয়েকজন বিজয়ীর হাতে নগদের প্লট বুঝিয়ে দিয়েছেন।

নগদের এই ক্যাম্পেইনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নিতে পারবেন। সরকার ঘোষিত ইনসেনটিভের বাইরে কেউ দেশে সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা নগদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জিতে নিতে পারেন ঢাকায় একটি প্লট।

মুন্সিগঞ্জের অধিবাসী আলাউদ্দিন মালয়েশিয়ায় একটি সেবাদাতা কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি দেশে তাঁর মায়ের নগদ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লীতে নগদের জমি জিতে নিয়েছেন। নগদের জমি জেতার খবরে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি আলাউদ্দিন। খবর শোনার সাথে সাথে তিনি তাঁর মায়ের কাছে ফোন করেন এবং নগদের জমি জেতার খবর জানান। ঢাকায় একখ- জমির মালিক হওয়ায় নগদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলাউদ্দিন।

জমি হস্তান্তরের বিষয়ে নগদের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘রেমিট্যান্স পাঠানো মানুষেরা আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখেন, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একটি পিলার। প্রবাসীদের সম্মান জানানোর একটি ছোট্ট প্রয়াসের অংশ আমাদের এই মেগা ক্যাম্পেইন। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে জমি হস্তান্তর করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে মোট আটটি জমি বিজয়ী গ্রাহকদের উপহার দেবে নগদ। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জমি জেতার অফার নিয়ে আসে নগদ। এই ক্যাম্পেইনে নগদের সাথে জমির জন্য ল্যান্ড পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড। এই ক্যাম্পেইনে মাত্র তিন ধাপে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহকেরা। এছাড়াও তালিকায় আছে শতাধিক মোটরবাইক, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ ২০ কোটি টাকার পুরস্কার।

জমি জেতার এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত নগদে কমপক্ষে ৫০০ টাকার লেনদেন অথবা কমপক্ষে ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ বা ব্যাংক থেকে নগদে ১,০০০ টাকা অ্যাড মানি করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে পাঠানো ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি (সরকারি প্রণোদনা ব্যতীত) রেমিট্যান্স নগদে গ্রহণ করেও এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাথে সাথে এই ব্যবহারকারী এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন বলে একটি মেসেজ পাবেন। সে ক্ষেত্রে তাকে তিনজনের একটি দল গঠন করতে হবে। এদের সবার নগদ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এরপর দলের সবাই ক্যাম্পেইন জুড়ে নগদে নিয়মিত লেনদেন করলেই জমি জেতার সুযোগ পাবেন।

পুরোমাত্রায় উৎপাদনে ফিরেছে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি: ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরোমাত্রায় উৎপাদনে ফিরেছে ভারতের গোড্ডায় স্থাপিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ৯টায় ১৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে বলে জানিয়েছে আদানি গ্রুপ সুত্র।

আদানির ওই কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। একটি ইউনিট ঈদের ছুটিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে যায়।

আরেকটি ইউনিট থেকে আংশিক উৎপাদনে থাকা অবস্থায় ২৯ জুন টেকনিক্যাল কারনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারন করে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২ জুলাই উৎপাদনে ফেরার তথ্য আগেই নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে ছিল আদানির একটি ইউনিট। সেটিও কাল-পরশুর মধ্যে উৎপাদনে আসবে। আর যে ইউনিটটির টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যেই উৎপাদনে এসেছে। আমাদের পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। সেটিও শিগগিরই উৎপাদনে আসবে। তখন আর বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতি থাকবে না।

আদানির ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে বাংলাদেশে আসে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

পিজিসিবি সুত্র জানিয়েছিল, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বাই রোটেশনে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিটথেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

;

১০০ কূপ খনন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কূপ খনন প্রকল্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

কূপ খনন প্রকল্প/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে ১০০ কূপ খনন প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন বলে বার্তা২৪কমকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার আগে থেকেই আমরা কাজগুলো এগিয়ে রেখেছিলাম। যাতে দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) করা যায় সে বিষয়ে কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা সময় ও অর্থ সাশ্রয় করার জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ এড়াতে চাইছি। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে কাজগুলো করতে চাচ্ছি, যেখানে পেট্রোবাংলার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কনসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই দীর্ঘ প্রক্রিয়া, আবার অনেক ব্যয়বহুল। কনসালটেন্টের মাধ্যমে যে কাজ ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। একই কাজ আমরা নামমাত্র মূল্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় সম্পন্ন করতে পারবো। কনসালটেন্ট যে কাজ করতে কয়েকমাস সময় নেবে আমরা সেই কাজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবো।

পেট্রোবাংলার চেয়ার‌ম্যান বলেন, পেট্রোবাংলা কূপ খনন করবে সেই কূপে গ্যাস পাওয়া যেতে পারে আবার নাও পাওয়া যেতে পারে। যেখানে শতভাগ ফেল করার সম্ভাবনা থাকে সেখানে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত না। পেট্রোবাংলার কাজের ধরণ পুরোপুরি ভিন্ন বিধায় সেইভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। তাহলেই দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে গতি আসবে।

বর্তমানে ৪৮ কূপ খননের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ১০০ কূপ খনন প্রকল্প ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। এতে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৭ হাজার কোটি টাকা। সরকারের কাছে প্রত্যেক বছরে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা করে অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে।

দেশে গ্যাস সংকটের জন্য অনুসন্ধান স্থবিরতাকেই দায়ী করে আসছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। পেট্রোবাংলার কয়েক দশকের ঢিলেমির কারণে সমালোচনায় মুখর ছিলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই দিন এখন বদলে যেতে শুরু করেছে। পেট্রোবাংলার খোলনলচে বদলে দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। একদিকে যেমন গতিময় হয়েছে, অন্যদিকে নতুন মাত্রাও যুক্ত হয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার

এতদিন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকে ছিল বাংলাদেশ। আরও ছোট করে বলতে গেলে সুরমা বেসিন তথা, সিলেট থেকে শুরু করে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং ভোলার মধ্যে আটকে ছিল। অন্যান্য এলাকায় কিছু অনুসন্ধান কার্যক্রম হলেও তার পরিমাণ নগণ্য বলাই যায়। সেখানেও আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।

বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে ১১২ বছরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে কমবেশি ৯৯টি। আর ৩ বছরে ৬৯টি কূপ খনন করতে চায় পেট্রোবাংলা। একে অনেকে উচ্চাভিলাষী মনে করলেও খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, একটি কূপে গ্যাস পাওয়া না গেলে হৈচৈ শুরু করলে চলবে না। ১০টির মধ্যে ৮টি ড্রাই হলে ফেলে আসবো তাহলে সম্ভব না। রাজস্থানে ইউনোকল টানা ১৩টি কূপ খনন করে ড্রাই পায়। এরপর কোম্পানির সদরদফতর বলেছিল আর কূপ খনন না করতে, কিন্তু জিওলজিস্ট অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চৌদ্দ নম্বর কূপ খনন করে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় খনি আবিষ্কার করেছে।

পেট্রোবাংলার ১০০ কূপ খনন প্রকল্প সংক্রান্ত সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেছিলেন, ২৫টি কূপ খনন করে যদি ব্যর্থ হন, আর ছাব্বিশ নম্বর কূপে গিয়ে যদি গ্যাস পাওয়া যায়, তার দাম অনেক বেশি। খরচের কয়েকগুণ উঠে আসবে।

ওই অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আমরা অন্ধকার যুগ থেকে বের করে এনেছি। কূপ ফেল করলে আমি চেয়ারম্যান দায় গ্রহণ করবো। কথা দিচ্ছি কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা কিংবা তদন্ত কমিটি হবে না। সাফল্য পেলে সবার আর ফেল করলে দায়িত্ব আমি মাথা পেতে নেবো।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের এমন ঘোষণা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সাহসের সঞ্চার করেছে। যে কারণে বাস্তবিক অর্থেই গতিতে ফিরেছে পেট্রোবাংলায়।

;

দেশের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডলার/ছবি: সংগৃহীত

ডলার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা জুন মাসের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব কেবলমাত্র আইএমএফকে সরবরাহ করা হয় এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না।

ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর রিজার্ভ বেড়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

;

বেনাপোল কাস্টমসে ১২ বছর পর রাজস্ব আয়ে রেকর্ড- ৬১৬৪ কোটি টাকা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় বেনাপোল বন্দরে

ছবি: বার্তা২৪, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় বেনাপোল বন্দরে

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ১২ বছর পর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার পর তা রেকর্ড ছুঁয়েছে, বেনাপোল কাস্টমস হাউস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানি পণ্য থেকে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৫ হাজার ৯শ ৪৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১শ ৬৫ কোটি টাকা।

এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেশি আর শতকরা প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। 

এসময় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭শ ৮০ মেট্রিক টন পণ্য।

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে এ অর্জন পদ্মাসেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমস বন্দরের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বন্দরে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসংশিষ্টরা।

১৩ স্থলবন্দরের মধ্যে বেশি রাজস্ব আয় হয় বেনাপোলে
রাজস্ব আয়ের দিক থেকে চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। দেশের চলমান ১৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় আর রাজস্ব আসে বেনাপোল বন্দর থেকে।

তবে আরো বেশি বাণিজ্যের চাহিদা থাকলেও সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা আর অবকাঠামোগত নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারতেন না আমদানিকারকেরা। এতে গত ১২ বছর ধরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছিলেন না কাস্টমস হাউস, বেনাপোল।

অবশেষে, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি অবকাঠামো উন্নয়ন করে বেনাপোল বন্দরে আর সেইসঙ্গে পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় অন্য বন্দর ব্যবহারকারীরাও আমদানি শুরু করেন বেনাপোল দিয়ে। এর সুফল পেলো এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউস।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭শ ৮০ মেট্রিক টন পণ্য, ছবি- বার্তা২৪.কম


যেসব পণ্যে রাজস্ব আয় বেশি

বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে, ফেব্রিকস, পচনশীল দ্রব্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মোটরপার্টস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে আর সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল আমদানিকারক পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বিডি, এসএমসিএল নিলয়এসএম করপোরেশন

আমদানিকারক আব্দুস সামাদ জানান, ৫ ঘণ্টায় এখন সহজে বেনাপোল থেকে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে। পদ্মাসেতু চালুর আগে ফেরিতে যানজট ও ঘন কুয়াশার কারণে দুইদিন পর্যন্ত সময় লাগতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যারা অন্য বন্দর ব্যবহার করতেন তারা এখন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করছেন। এটাও রাজস্ব বৃদ্ধির বড় একটা কারণ।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, এ বছরের শেষের দিকে বেনাপোল বন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হবে। এতে ব্যাপক সুবিধা সৃষ্টি হবে বন্দরে। তখন এপথে রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল জানান, পদ্মাসেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে গত বছর সক্রিয় ছিল কাস্টমস।

তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর বেশি ব্যবহার করেছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমসের পাশাপাশি বন্দরেরও ভূমিকা রয়েছে। তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বন্দরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন ও পণ্যের ওজন স্কেলের সঠিক পরিমাপের কারণে রাজস্ব আয়ে এবার রেকর্ড গড়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা জানান, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান কাস্টমস কমিশনারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও কাজের স্বচ্ছতার কারণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এ বছর ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছিল ৫ হাজার ৭শ ৮৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি দেখা দেয় ১ হাজার ৪শ ৫০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩শ ৯২ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১শ ৪৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১শ ৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা আবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ২শ ৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ১শ ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৪শ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১শ ৯৪ কোটি টাকা।

;