তথ্য সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত,  কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকে।

যেকোনো সংবাদকর্মী অফিস চলাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও বক্তব্য গ্রহণ করতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের কাছে প্রদানযোগ্য সব তথ্য প্রদানের জন্য বদ্ধপরিকর। সে আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্ণিত পদ্ধতিতে তথ্য সরবরাহ ও তার ব্যাখ্যা প্রদান করছে।

১৫ মে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবাধ তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংরক্ষিত সব প্রকাশযোগ্য অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্ত ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে। কোনো বিশেষ প্রয়োজনে কোনো নির্দিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রবেশ পাস সংগ্রহ করে উক্ত কর্মকর্তার কাছে সংবাদকর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও নিতে পারেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে প্রেস কনফারেন্স, প্রেস রিলিজ ও অন্যান্য মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করছে। সম্প্রতি, লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে।

ব্যাংক থেকে জানানো হয়, বিষয়টি স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কিত সংবাদমাধ্যমে প্রদানযোগ্য তথ্য প্রদান, তার ব্যাখ্যা ও সম্পূরক তথ্যাদি দেওয়ার জন্য নির্বাহী পরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা মুখপাত্র এবং পরিচালক পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা সহকারী মুখপাত্র হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের জন্য সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলে সাংবাদিকরা তথ্যপ্রাপ্তির সুব্যবস্থা সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে পারতেন। তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে অ্যাক্রিডিয়েটেড ও ব্যাংকের অনুমোদিত সাংবাদিকদের জন্য আলাদা অনলাইন পোর্টালে প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করলেও সাংবাদিকেরা দেশের অর্থনীতির আসল চিত্র জনগণ ও সরকারের কাছে তুলে ধরায় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

এ বিষয়ে বেসরকারিখাতের এক ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।

তিনি বলেন,সাংবাদিকেরা চাইলে যে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুমতি নিয়ে তার কাছে যেতেই পারেন।

সবদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের অধিকারে সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে সাংবাদিকবান্ধব এ ব্যাংকার সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের দাবি হলো, অবাধ প্রবেশ। এটি একেবারেই আবেগবশত দাবি তাদের।

সাংবাদিকেরা যখন-তখন যে ব্যাংকের রুমে রুমে যাবেন, এটা ঠিক নয়। আবার আমি এটাও বলবো যে, দেশের স্বার্থে যেসব তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা যেন সাংবাদিকরা পান, সেটিও বাংলাদেশ ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমার মনে হয়, এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি বা কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে, সাংবাদিকেরা ইচ্ছামতো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘোরাফেরা করতে চান। এটি একদমই ঠিক নয়। নিয়মিত তথ্য পেলে সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন-তখন প্রবেশের প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকদের হাতে তো এত সময়ও নেই।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ছবি-সংগৃহীত

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রথম কথা হলো, আমাদের তথ্য অধিকার আইনে মূল চেতনা ‘তথ্য’কে অবারিত করা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও আছে।

দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকেরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে তথ্য জানতে চান, তা ব্যক্তিগত তথ্য নয়, যা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন। সাংবাদিকেরা যা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান, তার সবই সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে চাওয়া। এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন ও হুইসেল ব্লোয়ার আইনে এ অধিকার দেওয়া আছে। আবার ওই একই আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে গোপনীয় রাখার বাধ্যবাধকতা আছে, তাও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক এই সভাপতি বলেন, তথ্য না দিলে গুজব সৃষ্টি হয়, সেটিও বিপজ্জনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিজস্ব তথ্য ব্যবস্থাপনা’ থাকা উচিত। প্রবেশাধিকার সংকুচিত করে তথ্যপ্রবাহ বন্ধ করা আদর্শ পথ নয়।

তিনি বলেন, তিনটি উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্যপ্রবাহ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারে। এর একটি হলো, ‘তাৎক্ষণিক’ এবং ‘অনলাইন বা ওয়েবসাইট’। দ্বিতীয়টি হলো- ‘নিয়মিত ব্রিফিং’ এবং সেইসঙ্গে তৃতীয়টি হলো- ‘জরুরি সংবাদ সম্মেলন’। ‘ব্রিফিং’ আর ‘সংবাদ সম্মেলন’-এর পার্থক্য হলো একটি, একতরফা আর অন্যটি ইন্টারঅ্যাকটিভ (পারস্পরিক যোগাযোগ)।

কোনো সাংবাদিক ব্যাংকের নির্দিষ্ট কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি চাইলে এবং সেটি যদি পেয়ে যান, তাহলে তা রুদ্ধ করা যাবে না। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা সাংবাদিককে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া বা না-দেওয়ার স্বাধীনতার ব্যাপারে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ থাকা উচিত নয়।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, ছবি- সংগৃহীত

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, সব দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নিয়মের মধ্যে তথ্য শেয়ার করে। রুমে রুমে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ঠিক নয়। আমাদের সবাইকে নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে যেসব তথ্য স্পর্শকাতর নয়, তা দেশের স্বার্থে জনগণকে অবহিত করা উচিত হবে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের(সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এক ধরনের তিক্ততা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে প্রবেশের অধিকার চেয়ে সাংবাদিকদের দাবি, একেবারে ‘ইমোশনাল’।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নমুনা গবেষণা নিয়ে ‘লাল-নীল’ সূচক সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের সূত্র ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিঃসন্দেহে দেশের অন্যতম প্রধান ‘কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন’। আর দশটি এ ধরনের স্পর্শকাতর স্থাপনার মতোই এর নিরাপত্তা অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন। এসব তথ্য দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষকে জানানোর ক্ষেত্রেও সংবাদমাধ্যমই সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে পারে।

তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানও বটে। এর সুনির্দিষ্ট দায়িত্বও রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে অনেক তথ্য এবং ভৌত ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির পর এ ‘সুরক্ষা’র বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এবার যে নিষেধাজ্ঞা বা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, সেটি শুধু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে হলে প্রশ্ন থেকেই যাবে।

এ প্রসঙ্গে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, আমি মনে করি, একটা পয়েন্টে গিয়ে আমাদের থামতে হবে। সবাইকে ছাড় দিয়েই একটা বোঝাপড়া তৈরি করতে হবে। আমরা পেশাদার সাংবাদিক আর তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকার।

 ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ছবি- সংগৃহীত

আমাদের উভয়ের দায়িত্ব হলো, দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা। কোনো পক্ষই যেন সৃষ্ট বিষয়গুলো ‘ইগো’ হিসেবে না নেয়।

শামসুল হক জাহিদ বলেন, আত্মসমালোচনা করে আমি বলতে পারি যে, আমরা ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘রুলস অব বিজনেস’ ও বিশেষায়িত কোর অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখি না।

অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ন্যূনতম ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি (আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান) নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব কক্ষে সব ফাইলেই সাংবাদিকদের ‘অ্যাকসেস’ থাকতেই হবে, এটা ঠিক নয়। এতটা অবারিত সুযোগ থাকা উচিতও নয়।

আমাদের সময়ে আমরাও অনেক কর্মকর্তার কক্ষে যেতাম। সামনেই ফাইলের স্তূপ থাকতো। আমাদের বলে দিতেন, এটা দেখতে পারবেন। (আরেকটা দেখিয়ে) ওটা নয়। এইটুকু সীমাবদ্ধতা দেওয়ার অধিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে, তথ্যপ্রবাহের সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক অবরুদ্ধ করে দেবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, প্রবেশাধিকার যতটুকুই দেওয়া হোক না কেন, তা যেন মর্যাদাপূর্ণ হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। নিরাপত্তারক্ষী থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত যেন সবাই সাংবাদিকদের দেওয়া অধিকারটুকুর প্রতি মর্যাদাশীল আচরণ করেন।

আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ নেমে আসবে আশা অর্থমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সাথে সঙ্গতি রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রতাসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন,এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। অথচ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি। এমতাবস্থায়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা -এ দু’টি আপাত বিপরীতমুখী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান ঘুচিয়ে শিগগিরইই উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারবো।

‘উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রসঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো দেশে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি তৈরি। আমরা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র মাধ্যমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। ব্যবসা সহজীকরণের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে ১১০টি সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সঞ্চালনের পরিকল্পনা করেছি। এসব উদ্যোগের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্যমেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখছি। তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা জালের আওতায় বরাদ্দ ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২.২ শতাংশ বেশি।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে কর রাজস্ব আহরণে গতি বৃদ্ধি এবং কর প্রশাসনকে আরও জনবান্ধব এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আইনি কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের গতিকে টেকসই করতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে আমরা কর অব্যাহতি কমিয়ে আনাসহ কর আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করেছি। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধান করে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একইসাথে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের বাস্তবতা মাথায় রেখে জাতীয় শুল্কনীতি সংস্কার করা হয়েছে।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস রোববার

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করতে অর্থ বিল পাস হয়েছে। বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থবিল আজ শনিবার (২৯ জুন) পাস হলেও বাজেটের উপর দীর্ঘ আলোচনা ও যাচাই বাছাই শেষে আগামীকাল রোববার বাজেট পাস হবে। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।

আগামীকাল রোববার (৩০ জুন) নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হবে জাতীয় সংসদে। যা পরের দিন সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। এবারের বাজেট আলোচনায় ২৬৪ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলো।

এর আগে চলতি মাসে গত ৬ জুন আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে 'সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার' স্লোগান সামনে রেখে বাজেট ঘোষণা করা হয়। নতুন বাজেটে খাতভিত্তিক যেহারে বরাদ্দ দেওয়ায় হয়। আগামী বাজেটে ১৫টি খাতে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

খাতভিত্তিক বরাদ্দ হলো—জনপ্রশাসন খাতে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, গৃহায়ন খাতে ছয় হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ছয় হাজার ৭০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে পাঁচ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা, সুদ খাতে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং অন্যান্য খাতে আট হাজার ৫৭৬ টাকা।

;

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

আংশিক উৎপাদনে থাকা আদানি বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দিন ধরেই একটি ইউনিট বন্ধ থাকায় আংশিক উৎপাদনে ছিল ভারতের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

শনিবার (২৯ জুন) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে।

আদানি গ্রুপের বাংলাদেশ অফিস সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই উৎপাদনে আসবে। বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অনেক টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই বকেয়ার কোন ইস্যু এখানে রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকেয়ার সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

ঈদের পর থেকেই লোডশেডিংয়ের খবর আসছে। গ্রামে কোন কোন এলাকায় দিনে-রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অনেকে আক্ষেপ ঝাড়ছেন ফেসবুকে।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থবিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করতে অর্থ বিল পাশ হয়েছে। বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামীকাল নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হবে জাতীয় সংসদে। যা সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। হ্যাঁ ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড শিরীন শারমীন চৌধুরী।

নতুন অর্থবছরের ২০২৪-২৫ বাজেট প্রস্তাবের ওপর ১১ দিন সাধারণ আলোচনা শেষে আজ এই বিল পাশ হয়। ফলে নতুন অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল সংসদে পাস হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে আগের মতই ২৫ শতাংশ থাকছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন বাবদ যেকোনো আয় এবং পেনশন স্কিমে প্রদত্ত যেকোনো পরিমাণ চাঁদা করের আওতামুক্ত থাকবে। কোম্পানি, তহবিল ও ট্রাস্ট কর্তৃক অর্জিত মূলধনি আয়ের উপরও ১৫ শতাংশ কর বসছে।

নতুন বিল অনুযায়ী একাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না বলে অর্থবিলে সংশোধন আনা হয়েছে। এছাড়াও কেবল সিটি করপোরেশনে অবস্থিত কোনো কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল ভাড়া নিলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এছাড়া নতুন অর্থবিলে রয়েছে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট, বাজেটের মঞ্জুরি দাবি এবং দায়যুক্ত ব্যয় নির্দিষ্টকরণ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধন করে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) অবিলম্বে বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হোক। এরপর অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) পাস করা হোক। পরে সংসদ সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসে গত ৬ জুন আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

;