ঋণ বিতরণ ও আমানত সংগ্রহে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময়ের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংককে ছাড়িয়ে এখন শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণ, ঋণ বিতরণ ও আমানত সংগ্রহ করে ইসলামী ব্যাংক এ শীর্ষস্থান অর্জন করে।

২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংক মোট আমানত পেয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। আর একই বছর ঋণ বিতরণ করেছে মোট এক লাখ ৪১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।

ঋণ বিতরণ ও আমানত প্রাপ্তি-এ দুই ক্ষেত্রেই দেশের শীর্ষস্থানে থাকা সোনালী ব্যাংককে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে ইসলামী ব্যাংক। রেমিট্যান্স সংগ্রহে আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক শীর্ষস্থানে ছিল। প্রতি মাসেই ব্যাংকটি ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়ে থাকে। বছরশেষে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ বিলিয়নের মতো। এ পরিমাণ রেমিট্যান্স অন্য কোনো ব্যাংক পায়নি।

আমানত সংগ্রহে এতোদিন শীর্ষস্থানে থাকা সোনালী ব্যাংক ২০২৩ সালে মোট আমানত পায় এক লাখ ৫০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশের মতো। ২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংক এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা আমানত পায়। প্রবৃদ্ধি হয় ৯ শতাংশ ।

২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংক ১ লাখ দুই হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে।

২০২৩ সালে আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক এখন থেকে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ বলেছেন, ৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

ছবি: বার্তা২৪, খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ বলেছেন, ৯ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপকূলীয় এলাকায় ২২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ৯ গিগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ, এমপি।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকার বিআইসিসি কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশন আয়োজিত ‘ওশান প্রোসপারিটি ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে প্রাক-সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এতে ২২টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় ৯ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে।

ব্লু ইকোনমির সুফল প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, ব্লু ইকোনমি নিয়ে বিদ্যুৎ সেক্টর অনেক কাজ করছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করেছে। সেখানে ৮০ হাজার টন কয়লার জাহাজ ভিড়েছে। মাতারবাড়িতে ল্যান্ডবেজড এলএনজি এবং এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে, মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে শেষ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তেল-গ্যাসের বিশাল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সাগরের জোয়ার-ভাটা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। আমরা পাইলট আকারে প্রকল্প করে দেখবো। গ্যাস হাইডেড নিয়েও কাজ করা দরকার। আমাদের পুরো সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার। আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্লু ইকোনমি বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।

খুরশেদ আলম বলেন, নানাবিধ সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য আহরণ অন্যতম। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ জাহাজ নিয়ে আসেনি। সে কারণে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ এখনো শুরু করা যায়নি। আমাদের সাগরে ৬০-৭০ কিলোগ্রাম ওজনের অনেক টুনা রয়েছে কিন্তু আমরা কাজ শুরু করতে পারিনি। এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের ৩০-৩২ শতাংশ জ্বালানির জোগান আসে সাগরাঞ্চল থেকে। আমাদের সাগরে ১শ ৭ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেড রয়েছে; যদিও এগুলো উত্তোলনের কোনো প্রযুক্তি এখনো আসেনি।

ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস বলেন, আমাদের অফশোর এলাকায় ৯.৬ গিগাওয়াট আওয়ার বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। একটি প্রাক-সমীক্ষা রিপোর্টে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির সংকট রয়েছে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিভ সার্ভেতে দেখা গেছে, সুন্দরবন এলাকায় বিশাল মিঠা পানির আধার রয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকায় ৪৪ মিলিয়ন জনগণের মিঠা পানির সংকট দূর করতে পারে। কয়েক দশকের চাহিদা পূরণ করা সক্ষমতা রাখে ওই আধার।

সিসিসিসি সেকেন্ড হারবার কনসালট্যান্ট কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ লিহুয়া বলেন, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু ও ওয়েভ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জিয়াংজিং পোর্টের আদলে গ্রিন পোর্ট স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। চীন এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটির সাবেক ভিসি রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খালেদ ইকবাল। বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

;

লোকসান কাটিয়ে তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন রাকাব’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘ ৩৭ বছরের ২২৪ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ব্যাংকটি সম্প্রতি প্রায় তিন কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের লোকসানের ধারা থেকে মুক্ত হয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফা অর্জন করেছে এবং সব আর্থিক সূচকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রাসমূহও শতভাগ অর্জিত হয়েছে ।

রাকাব বলছে, এই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনকারী স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনার ভিত্তিতে টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয়। ফলস্বরূপ, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ২২৪.১৫ কোটি টাকার লোকসান কাটিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২.৯৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়।

অর্থবছরের শেষে লোকসানি শাখার সংখ্যা ৬০ থেকে কমে ১২তে নেমে এসেছে। এছাড়া আমানতের স্থিতি পূর্ববর্তী বছরের ৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ঋণ স্থিতি ৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে শ্রেণিকৃত ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৪৩০ কোটি থেকে কমে ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকায় এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১৯ শতাংশ থেকে কমে ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাকাবের ব্যবসায়িক পরিধি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক সহযোগিতা এবং সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আজন্ম ক্ষতির গ্লানি মোচন করে নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধান কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রম রাকাবকে বদলে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়, নিজস্ব উদ্ভাবিত পোর্টেবল বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ‘রাকাব লেন্স’ এর সাহায্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার প্রাত্যহিক হালনাগাদ তথ্য ভিত্তিক কঠোর মনিটরিং ও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে এই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবাসমূহ স্বল্প খরচে দ্রুততার সাথে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে নন-ফান্ডেড আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাকাবের গ্রাহকগণ এখন ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব খোলা, রাকাব মোবাইল অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিঙের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার, নেসকো এবং ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদান, সকল মোবাইল অপারেটরে টপ-আপ, আরটিজিএস, বিইএফটিএনসহ আধুনিক সব ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে গ্রহণ করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ, ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমানত ও ঋণ গ্রাহক, অংশীজন, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে রাকাবকে একটি মডেল ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

;

সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই: স্পিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, সমুদ্রের খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। 

বুধবার (৩ জুলাই) পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়ে টেকসই এ খাতের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের সঠিক ধারণা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আন্তর্জাতিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।  টেকসই সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারে প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সমুদ্রের ইকো সিস্টেমের উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন স্পিকার।

এ সময় তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হলে এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যের হাবে পরিণত হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানো যেতে পারে।

সমুদ্রের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে অতিমাত্রায় মৎস্য আহরণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলববায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাত ও গবেষকদের সমন্বয়ে সরকারের দেশের সমুদ্র সম্পদকে টেকসইভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্লু ইকোনমি কাজে লাগানোর বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি অর্থনীতির লাইফলাইনে পরিণত হতে পারে।

সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আরও গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার কাজ চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়ংএডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টও এডিমন গিন্টিং বক্তব্য রাখেন।

আমাদানি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমুদ্র পরিবহন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

তিনি বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই সমুদ্র নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসাইন বলেন, ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সমুদ্রকে কাজে লাগাতে বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে সরকার।

মৎস্য আহরণ, খনিজ সম্পদের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল অনেক সম্ভাবনাময় দাবি করে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ টেকসই অর্থনতির জন্য সুনীল অর্থনীতির বিকল্প নেই মন্তব্য করে এ খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ।

দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানসহ নীতি নির্ধারক ও দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

;

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে বরিশালে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে এবি ব্যাংক পিএলসি।

বুধবার (৩ জুলাই) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে নারী উদ্যোক্তাগণের মাঝে সনদ ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ ঋণ- স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল কার্যালয় এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব তারিক আফজাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবি ব্যাংক পিএলসি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও এজেন্টগণ।

;