অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক কমিয়েও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসছে না আলুর দাম। সম্প্রতি আমদানি পর্যায়ে আলুর শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে পেঁয়াজেও। তবুও চড়া দাম বাজারে। তবে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে এসব পণ্যের।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও কচুক্ষেত বাজার বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিন বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান বড় পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, মানভেদে নতুন আলু ১২০- ১৩০ টাকা কেজি, রসুন ২২০-২৫০ টাকা কেজি এবং আদা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৬০-৭০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৯০-১০০ টাকা কেজি, শিম ১১০-১২০ টাকা কেজি, দেশি গাজর ১০০ টাকা কেজি, চায়না গাজর ১৫০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, শসা ৮০ টাকা কেজি, প্রতি পিস ফুলকপি মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি মানভেদে ৩০০-৩১০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি, ডজন প্রতি ফার্মের ডিম ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
শীতের সবজি বাজারে চলে আসছে তারপরও দাম কেন কমছে না জানতে চাইলে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারের এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করে বলেন, শীত তো আসতেছে, এখন কিছু কিছু সবজিও বাজারে ওঠা শুরু করছে, সেভাবে দামও কিন্তু কমছে। তবে সব দাম তো একবারে কমে যাবে না। একটু সময় লাগবে। সবজি বেশি আসলে দামও কমবে।
বাজার করতে আসা আসাদুল্লাহ নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকার নাকি এতো ট্যাক্স কমাচ্ছে, আমদানি করতেছে কিন্তু আলু-পেঁয়াজের দাম কমে না। আবার শীতের সবজি বাজারে আসলেও এখনো সবজির দাম অনেক বেশি। তবে আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমছে কিন্তু সরকারের উচিৎ মানুষকে স্বস্তি দেয়া সেজন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো। দরকার হলে আরও কঠোর হওয়া। আর না হয় আগে যেমন ছিলো, এখনো যদি তেমনই থাকে তাহলে আর লাভ হলো কি!