‘শ্রমিক আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ কলকাটি নাড়ছে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পোশাক শিল্পের শ্রমিক আন্দোলন-অসন্তোষ, বিষয়টি শ্রমিকদের নয়। এটা রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগ নেতৃত্ব দেওয়া পোশাক খাতকে ধ্বংসের আন্দোলন। শ্রমিকের সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও তাদের আন্দোলন চলমান থাকায় বোঝা যায় এটার পেছনে কলকাটি নাড়ছে তৃতীয় পক্ষ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর গল্প গার্ডেনে আয়োজিত ‘পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা দূরীকরণে করণীয়’ বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন শিল্প উদ্যোক্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরাম সভাপতি এম এ সালাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পোশাক খাতের শিল্প উদ্যোক্তারা।

বিজ্ঞাপন

নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ হোসাইনী বলেন, দেশের সুশিলসহ সবার কাছে একটাই দাবি যারা শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করে না, টাকা পাচার করে তাদের তুলে ধরুন। তাদের কারণে বেকায়দায় থাকেন সত্যিকারের মালিকরা। সবার কথাগুলো আমরা যথাযথভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দিব।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক লুৎফর আমিন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রচার হয়েছে সেটার সমাধান নিয়ে কেউ কথা বলছেন না। ভাঙচুর-হুমকি চলছে। আমার কারখানা ভাঙচুর না হলেও পাশেরগুলোর অবস্থা ভালো না। আর্মির লোক এসে কথা বলে চয়ে যায়, পুলিশ আসে না। ১৮ বছর ধরে কারখানা চালানোর পর সেই উদ্যোক্তাকে আটক করা হলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পোশাক খাত নিয়ে বিচলিত, সমাধান খুঁজছেন। বায়ারের দাম নিয়েও উনি কথা বলবেন। আমরা উনার কাছে গিয়ে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করতে প্রস্তুত আছি। কোনো দলের কথা চিন্তা না করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বসতে হবে।

রাইজং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ খান বাবু বলেন, যে আইন ভঙ্গ করবে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছি। অতীতেও এ সমস্যা ছিল এখন কেন সমাধান হবে না। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব, তারা দায়িত্ব পালন করছেন না বা করতে পারছেন না। আমার ৬টি কারখানায় সর্বনিম্ন বেতন ২৪ হাজার টাকা। এটা সকল সুশিল সমাজের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।