অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক ইতিবাচক



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তবে সার্বিক অর্থনীতি চাঙা করতে ও নেতিবাচক সূচক ইতিবাচক করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের সার্বিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থনীতির মৌলিক সূচকগুলোর মধ্যে রফতানি আয় বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী, আমদানি ব্যয় কমেছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে, শিল্প ঋণে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্রের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিপরীতে ব্যাংকিং খাতে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ কমেছে, আমানত সংগ্রহে মন্দা, সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ও বেসরকারি খাতে কমেছে, গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ও কৃষিঋণ বিতরণে মন্দা, রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধির হার ও বৈদেশিক অনুদান কমেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০১৭-২০১৮) প্রথম ছয় মাসে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) বেড়েছে ৪ দশমিক ০২ শতাংশ। গত অর্থবছরে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছিল ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তবে চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছিল ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

দেশের বর্তমান অর্থনীতির বিষয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অর্থনীতি গতানুগতিক ধারায় চলছে। এ ধারায় চললে অর্থনীতিতে দ্রুত বড় কোনো অগ্রগতি হবে না। এখন বড় অস্থির কারণ বিনিয়োগে স্থবিরতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও ব্যাংক ঋণের স্বল্পতা।’

তিনি আরও বলেন, 'প্রতি বছরই জিডিপি বাড়ছে। এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। এখন আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করার দিকে নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় অংশই বেসরকারি খাতের। এ কারণে বেসরকারি খাত চাঙা হলে অর্থনীতির গতি ও কর্মসংস্থান বাড়ে। তাই এ খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো উচিত।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয় ২৯ হাজার কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে নিয়েছে ৩০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমানত প্রবাহ বেড়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ বেড়েছিল ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমানতের চেয়ে ঋণ বেশি বাড়ায় ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট বিরাজ করছে। এ সংকট দূর করতে হয় আমানত বাড়াতে হবে, নয় ঋণের লাগাম টানতে হবে। ব্যাংকগুলোকে এখন বকেয়া ঋণ আদায় বাড়িয়ে ও ব্যয় কমিয়ে সংকট মোকাবিলা করতে হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোতে তারল্য আছে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক লাখ ৭৮ হাজার কোটি ও ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে কৃষি খাতে ঋণ প্রবাহ ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরে কমেছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ঋণ প্রবাহ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরে কমেছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শিল্প খাতে মেয়াদী ঋণ প্রবাহ ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

এছাড়া গত ২৭ মার্চ রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ২৩৫ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ১৬৫ কোটি ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে ৮২ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ২৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় বাড়ে ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে আমদানির জন্য এলসি খোলা বেড়েছিল ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে কমেছে ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তির হার বেড়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে রফতানি আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বৈদেশিক অনুদান বেড়েছিল ১২০ দশমিক ০৪ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল ৮২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে এসেছে ৯১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ২১ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে এসেছে ৭ কোটি ডলার।

গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ৫৪০ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩৪ কোটি ডলার। মূলত আমদানি ব্যয় কমায় এ ঘাটতির পরিমাণ কমেছে। এদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আয় বেড়েছিল ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ।

   

ফের বাড়ল সোনার দাম, প্রতি ভরি ১১৯৫৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এবার এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, হল-মার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এনিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৪ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১৭ দিনে এলো ১৩৬ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে আবার রেমিট্যান্স প্রবাহে ‍সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;

‘সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (১৯ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা হতে ২৪টি ইনোভশন উদ্যোগ প্রদর্শন করা হয়।

ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশকে সামনে রেখে পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় তত হবে। একই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নিজস্ব প্রযুক্তির উদ্ভাবন বা ব্যবহৃত প্রযুক্তির নিজস্ব ভার্সন সৃজন করতে হবে।

ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট” ২য় স্থান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) জিআইএস বেসড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থপনার আউটেজ ডিজিটালি মনিটরিং এবং লোড ম্যানেজমেন্ট-এ ২য়, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) আন্ডারগ্রাউড ক্যাবল টেস্ট ভ্যান, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) অটোমেটিক ইমার্জেন্সী রেসপন্স টেস্ট অব এসটি ইমার্জেন্সী লুব অয়েল পাম্প থ্রো ডিসিএস ইন্ট্রিগেশন এবং রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (আরপিসিএল) চার্জ এয়ারকুলার এন্ড চার্জ এয়ার রিসিভার ড্রেইন লাইন মডিফিকেশন ফর প্লান্ট আউটেজ রিডাকশন তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান ইনোভেশন কর্মকর্তা নিরোদ চন্দ্র মন্ডেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির। স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সহ দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;