জমির মূল্য না দিলে ট্যানারি মালিকদের প্লট বাতিল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান / ছবি: বার্তা২৪

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব ট্যানারি মালিক সাভারে জমির নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করছে না, তাদের প্লট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব রয়েছে। যেসব ট্যানারি মালিক জমির নির্ধারিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী নন, তাদের প্লট বাতিল করা হবে।’

ইতোমধ্যে অনেক চামড়া শিল্প উদ্যোক্তা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই প্লটের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার ট্যানারি মালিকদের অনেক সুবিধা দিয়েছে। এ শিল্পের স্বার্থে আইনের আওতায় ভবিষ্যতেও যতটুকু সুবিধা দেওয়া সম্ভব, তা দেওয়া হবে।’

তবে জমির মূল্য কোনোভাবেই কমানো হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পসচিব আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, এলএফএমইএবি’র চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, বিএফএলএলএফইএ এর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিনসহ বুয়েট, বিসিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা।

   

'শিল্পের ভিত বাড়াতে উদ্যোক্তাদের কাছে মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি, সুদের হার বৃদ্ধি আর ক্রলিং পেগের মত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনীতির বড় কল্যাণ হবে না।

তিনি বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর পরিবর্তে উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যাপক পুঁজি সরবরাহের মাধ্যমে দেশের শিল্পের ভিত্তি বাড়াতে হবে।

বিনিয়োগ বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে বাজারে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে মূল্যস্ফীতি এমনিতেই কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে প্যানালিস্টের বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “What Lies Ahead for the Banking Sector in Bangladesh?” শীর্ষক ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

মূল প্রবন্ধে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অব্যস্থাপনা তুলে ধরে শক্তিশালী আর্থিক খাত গড়ে তুলতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন, উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিসহ বিভন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন ড. ফাহমিদা।

প্যানালিস্টের বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ভালনারেবিলিটি (ঝুঁকিপ্রবণতা) বাড়ছে এবং ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ঠিক না হলে এই অস্থিরতা কমবে না।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না নিয়ে সাময়িক প্রয়োজনে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে মন্তব্য করেন সালেহিউদ্দিন।

এ সব সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনি সংস্কারে উল্টো পথে হাটঁছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, এক পরিবার থেকে ব্যাংকে সর্বোচ্চ দুই জন পরিচালক ছয় বছরের জন্য মনোনয়নের সুযোগ থাকলেও এখন তিনজন পরিচালক নয় বছর ধরে থাকতে পারছেন। আগে কোন ব্যাংকে কোন শিল্প গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপী হলে এই গ্রুপের অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারত না। এখন খেলাপী প্রতিষ্ঠানের মূল গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর ধরে রিজার্ভে চাপ থাকলেও বিনিময় হার ৮২ টাকায় ধরে রাখতে ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। এখন এক সাথে ২৭ শতাংশ কমাতে হচ্ছে টাকার মান।

বাংলাদেশ ব্যাংক এখন দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন না করে দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করে চলছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই গভর্নর।

তিনি বলেন, অতীতে মোট ঋণ সঞ্চিতির ১০ শতাংশ জমা দিয়ে ঋণ রিশিডিউলের সুযোগ ছিল। দ্বিতীয়বার ও তৃতীয়বার রিশিডিউলের জন্য এই হার আরও বাড়ত। এখন মাত্র দুই শতাংশ জমা দিয়েই এই ঋণ রিশিডিউলের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ হলে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়া নতুন বিজনেস মডেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালহউদ্দিন। এর ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং খাতে এমনটা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমঝোতা, রাজনৈতিক চাপ অতীতেও ছিল। তবে অতীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বায়ত্তশাসনের চর্চা করায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়নি।

ব্যাংক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আর নীতিমালা প্রণয়নে আলাদা সংস্থা গঠনের তাগিদ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সমবায় সমিতির আদলে পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক, ও ব্যাংক পরিচালক যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

;

স্বাধীনভাবে কাজ না করায় ব্যাংকিংখাতে পুঞ্জীভূত সংকট বাড়ছে: সিপিডি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে বাধা এমন কি অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ না করায় ব্যাংকিং খাতে পুঞ্জীভূত সংকট বাড়ছে বলে মন্তব্য করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে?’ শীর্ষক সংলাপে এ মন্তব্য করে সিপিডি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, স্বাধীনভাবে কাজ না করার অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বাধীন সত্তা হারিয়ে ফেলেছে। এর ফলে সুদের হার, ব্যাংকের লাইসেন্স, সুদ মওকুফ, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের মত বিষয়াদির নীতিমালা বাংলাদেশ বাংকের বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ডা. ফাহমিদা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সুশাসনের অভাব, নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা, আইনি জটিলতা আর অবাধ তথ্যের অভাবে ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে।

পরিস্থিতির উত্তরণে খাতভিত্তিক সাময়িক উদ্যোগের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দৃঢ় রাজনৈতিক সংকল্প এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা না আসলে এই খাতকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর পরিচালক নিয়োগ থেকে শুরু করে ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা চর্চা সমুন্নত করা, দুর্বল ব্যাংকগুলোর এক্সিট পলিসি নিশ্চিত করা, অর্থ ঋণ আদালতে চলমান মামলাগুলোর দ্রুত সমাধান করার সুপারিশ করা হয়।

এ সব সমস্যার সমাধানে বরাবরের মতই একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনেরও তাগিদ দিয়েছে সিপিডি।

সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির ফেলো প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যাংকিংখাতের অবস্থা ভালো থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও ভালো থাকবে।

আর এই খাতে চ্যালেঞ্জ দেখা দিলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এর গুণক প্রভাব পড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে অর্থনীতি নতুন করে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।

মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০১২ সালের ৪২,৭২৫ কোটি টাকা থেকে তিন গুণ বেড়ে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১,৪৫,৬৩৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর বাইরে ২০২২ সালের হিসেবে অবলোপন করা ৪৪৪৯৩ কোটি টাকা এবং রিসিডিউল করা ২১২৭৮০ কোটি টাকা যোগ করলে মোট মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩.৭৮ লাখ কোটি টাকায়।

বর্তমাণে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজারের বেশি বিচারাধীন মামলায় ১.৭৮ লাখ কোটি টাকা আটকে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই টাকা কখন পাওয়া যাবে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়।

খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট বৃদ্ধির পাশাপাশি সব ধরনের ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যয় বৃদ্ধির জন্য সুদের হারকে দায়ী করা হলেও খেলাপ ঋণের বিষয়টি আলোচনায় আসে না। বাস্তবতা হচ্ছে খেলাপি ঋণের আশঙ্কায় ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণের আগেই একটা কুশন রাখতে হয়।

সচরাচর সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে পাল্লা দিয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। এর ফলে ব্যাংকে প্রভিশনিং ঘাটতির পাশাপাশি তারল্যের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরের সময় ৯৮৯৪১ কোটি টাকা প্রয়োজনের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর প্রভিশনিং ছিল ৭৯৬৭৯ কোটি টাকা। এ হিসেবে ব্যাংকের প্রভিশনিং ঘাটতি ছিল ১৯. ৫ শতাংশ। এ সময় ১৯২৬১ কোটি টাকা মোট প্রভিশনিং ঘাটতির মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর অংশ প্রায় সমান ছিল।

তিনি আরও বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকিংখাতে বাড়তি তারল্য ১৬২০০০ কোটি টাকায় নেমে আসে, যা ২০২১ সালের জুনে ছিল ২৩২০০০ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকের মোট তারল্যের বিপরীতে উদ্বৃত্ত তারল্যের হার  ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদের হার বাড়লেও আমানতের সুদের হার মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় অনেক নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. ফাহমিদা।

তিনি বলেন, সুদের গড় হার আর মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আমানতের প্রকৃত সুদ হার ২০২০ সালের ০.০৩ শতাংশ থেকে কমে -৪.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

ব্যাংক ব্যবস্থায় তথ্য উপাত্তের বড় ঘাটতি রয়েছে মন্তব্য করে ফাহমিদা বলেন, ব্যাংকগুলো নিজেদের পারফর্মেন্সের তথ্য ওয়বসাইটে দেয়ার কথা থাকলেও ব্যাসেল-৩ সম্পর্কিত অনেক তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। আবার যে সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তার মান নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করার সমালোচনা করে এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে তথ্য আসছে সেগুলোর বড় অংশই সাধারণ মানুষের কাছে আসছে না। সেটার দরজাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য আমরা মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতাম, সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্ত তথ্য হাতের মুঠোয়, কম্পিউটারের একটা বাটনে থাকা উচিত। সেটা হলে সাংবাদিকদের তথ্যের জন্য কোথাও ঘুরতে হবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েও বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন ড. ফাহমিদা। স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান এবং পরিষ্কার রোডম্যাপ ছাড়াই সাময়িক উদ্যোগ হিসেবে জোর করে মার্জার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনেক দেশেই ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হলে অন্য ব্যাংককে তা কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়। কোথাও জোর করে মার্জার চাপিয়ে দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, দুটো ব্যাংক যোগ করে দিলেই হবে না। যারা চাকরি করছেন তাদের জব ইন্টিগ্রেশন, জব কালচার, প্রফেশনাল কালচার, টেকনোলজি ইন্টিগ্রেশন, তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিও ভাবতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আহসান এইচ মনসুর, সাবেক ব্যাংকার নূরুল আমিন, বিজিএমইএর সহসভাপতি আরশাদ জামাল দিপু ও সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

;

‘স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পুরস্কার’ পেল আইবিসিএমএল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (আইবিসিএমএল) দেশের পুঁজিবাজারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রদত্ত ‘‘ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পুরস্কার-২০২৩’’ লাভ করেছে।

বুধবার (২২ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিএসইসি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী’র কাছ থেকে আইবিসিএমএলের চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

এসময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ আবদুর রহমান খান, বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং ড. রুমানা ইসলামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে। এবং তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে জেলার সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কূপ সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।

কূপ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড এলাকায় ২০২০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি ৩টির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে। গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। এরপর গতকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কূপ থেকে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে এবং উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে।

;