অর্থবছর ২০১৯-২০

কারিগরি-মাদরাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৬৯৬ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন অর্থবছর ২০১৯-২০ এর প্রস্তাবিত বাজেটে কারিগিরি ও মাদরাসা শিক্ষা খাতে ৭ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব পেশ করা হয়।

গত অর্থ বছরে কারিগিরি ও মাদরাসা শিক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। তবে ২০১৯-২০ এর প্রস্তাবিত বাজেটে ১ হাজার ৬৯৬ কোটি বাড়িয়ে মোট ৭ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়।

জনপ্রত্যাশার এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশ।

টাকার অংকে বর্তমানে দেশের মোট জিডিপির পরিমাণ ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট।

   

ইসলামী ব্যাংকে শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা সেন্ট্রাল, নর্থ, সাউথ ও ইস্ট জোনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মানজুরে ইলাহী।

মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েট-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা সাউথ জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দিন। জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

;

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই'র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের মূলধন শিল্পায়নে বিনিয়োগ করতে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই'র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রোববার (২৬ মে) সকালে পুঁজিবাজার ও বন্ড বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে শিল্পায়নে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প মালিকদের জন্যও এটি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অল্পসংখ্যক বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এসময় দেশ-বিদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুঁজিবাজার উন্নত হলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়ে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় এই বিষয়ে এফবিসিসিআইতে মতবিনিময় সভা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, স্মার্ট বাংলাদেশসহ রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্যগুলো অর্জনে পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে দেশের মোট বাজারের তুলনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মুনতাকিম আশরাফ বলেন, পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের তুলনায় বড় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক কম। এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ এক্সিট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদসহ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের আকার বড় হওয়া দরকার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা ও জণসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্টক এক্সেঞ্জগুলোকে সহজ নিয়ম নীতি প্রদান করা দরকার। এছাড়া সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

;

তিতাস-১৪ কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক কমবেশি ১২ মিলিয়ন ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বাপেক্স, এসজিএফএল ও বিজিএফসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ।

বাপেক্স তাদের বিজয়-১১ রিগ ব্যবহার করে তিতাস ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শুরু করে গত ১৯ মার্চ। শুরুতে কূপটি হতে এক সময় ২৪৮৮ পিএসআই চাপে দৈনিক ২৯.৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হতো। অতিরিক্ত পানি উৎপাদনের কারণে ২০০৯ সালে কূপটি ওয়ার্কওভার করে ১৮৭৯ পিএসআইজি চাপে দৈনিক ১৯.৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হয়। আবার পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে গ্যাসের উৎপাদন দৈনিক ৬ মিলিয়নে নেমে আসে, পানি উৎপাদনের হার ৩৯ মিলিয়ন ঘনফুটে পৌঁছায়। অতিরিক্ত পানির কারণে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর কূপটির গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। নভেম্বর পর্যন্ত তিতাস-১৪ কূপ হতে ক্রমপুঞ্জিভূত উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ ছিল ১৬৩ বিলিয়ন ঘনফুট।

তিতাস ফিল্ডে তিনটি প্রধান গ্যাস স্তর রয়েছে। তিনটির মধ্যে বিস্তরের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৫৬৪ বিলিয়ন ঘনফুট। তিতাস কূপ নং-১৪ বি স্তরে অবস্থিত। কূপটি থেকে মোট ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে আশা করা হচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য (প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গ্রাহক প্রান্তে ওয়েটেড গড় মূল্য ২২.৮৭ টাকা হিসাবে) ২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা।

তিতাস কূপ-১৪ ওয়ার্কওভার শেষ করতে সর্বমোট ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। দেশে বিরাজমান গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সরকারকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। সংকটময় মুহূর্তে ওয়ার্কওভারকৃত কূপ হতে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ১০-১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ করা হলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

পেট্রোবাংলার অধীনে বিজিএফসিএল প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট প্রক্রিয়াজাতকারী একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির আওতায় তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, নরসিংদী, মেঘনা ও কামতা রয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, নরসিংদী ও মেঘনা। ৫টি গ্যাস ফিল্ডের ৩৯টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। পেট্রোবাংলার সর্ববৃহৎ দেশীয় গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে বিজিএফসিএল দেশীয় কোম্পানির মোট উৎপাদনের শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে গতিতে ফিরেছে পেট্রোবাংলা। যার ফল ইতোমধ্যেই পাওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। একদিন আগে ২৪ মে, কৈলাশটিলা থেকে ৮ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। নতুন খননকৃত ওই কূপটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ আসছে। মাস দুয়েক আগে রশিদপুর-৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। আরও অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে পেট্রোবাংলা জানিয়েছেন।

;

এ দফায় সোনার দাম কমল ১২৮৩ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয় দফা কমল সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। 

শনিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাজুস।

আগামীকাল রোববার (২৬ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৮৬৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৯ হাজার ২৫৭ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

;