পুঁজিবাজারের সূচকে ওঠানামা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সূচকের ওঠানামা প্রবণতায় চলছে লেনদেন কার্যক্রম। এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৬ পয়েন্ট।

এছাড়া একই সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচক কমে। লেনদেনের শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়, শুরুতেই সূচক কমে যায়। প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স সূচক কমে ৫ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক কমে ৭ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক কমে ৮ পয়েন্ট। এরপর থেকে সূচক বাড়তে থাকে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেলা ১১টায় সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে।

অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক প্রায় এক পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।

এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একই সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আছে- স্কয়ার ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বিকন ফার্মা, মুন্নু সিরামিকস, মুন্নু স্টাফলারস, এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইনটেক অনলাইন, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং স্টাইল ক্রাফটস।

সিএসই

অন্যদিকে, একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ৬ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

একই সময়ে দাম বাড়ার ভিত্তিতের সিএসই’র শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- বিডি ওয়েল্ডিং, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ইনফরমেশন সার্ভিস, মেঘনা সিমেন্ট, সমতা লেদার, এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইনটেক অনলাইন অ্যাডভেন্ট এবং লিবরা ইনফিউশন।

   

ই-কমার্স ব্যবসার চ্যালেঞ্জ দূরীকরণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা পরিচালনা, লজিস্টিকস ও পেমেন্টের জটিলতা দূর করা এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই খাতের অংশীজনদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত গ্লোবাল ই-কমার্স বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় মিটিংয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নকল পণ্য বিক্রি ও প্রতারণা রোধে এই খাতের উদ্যোক্তাদের আরও সতর্ক এবং কঠোর হতে হবে। ক্রসবর্ডার ট্রেডের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় বেড় করতে হবে। লজিস্টিকস সহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা-বাণিজ্যর সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানের জন্য করণীয় নির্ধারণে উদ্যোক্তা, নীতি নির্ধারক, ই-কমার্স খাতের এক্সপার্ট সহ অংশীজনের উপস্থিতিতে সেমিনার বা সম্মেলন আয়োজনের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী।

স্ট্যান্ডিং কমিটির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে- ই-কমার্স খাত নিয়ে শীঘ্রই একটি পলিসি কনফারেন্স আয়োজন করা হবে বলেন জানানা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্যবৃন্দের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

ই-কমার্স খাতের ওপর একটি কৌশলপত্র তৈরি এবং পলিসি কনফারেন্স আয়োজনের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি, গবেষণা সেল তৈরি, ই-কর্মাস বিষয়ক ডেস্ক চালুসহ বেশকিছু প্রস্তাব উঠে আসে মুক্ত আলোচনায়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মিস শমী কায়সার, মোঃ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

;

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ অর্জন করেছে স্নোটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’-এর ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। জাতীয় অর্থনীতির শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ৬ ক্যাটাগরির মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

যার মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি প্রতিষ্ঠান এই সম্মাননা অর্জন করে।

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তম বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;

টানা ৬ দফা বাড়ার পর কমেছে সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ৬ দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।  

;

‘নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত ন্যূনতম অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে?’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার বিষয়টি না দেখে অতীতে অনেক তরুণ ও অপরিপক্ক লোকজনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যংকের সঙ্গে একীভূত করার আগে আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ধরনের ব্যর্থ্যতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, “হঠাৎ একদিন সকালে আপনি কেন বলছেন যে ১০ টি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে? রেগুলেটরি মেজার হিসেবে এগুলোকে ভালো করার উদ্যোগ কেন নিচ্ছেন না? নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক।”

দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের মতো ইচ্ছাকৃত নন গভর্নেন্স প্রেক্টিস হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়ির সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

তিনি এ সময় বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না। বরং রাজনৈতিকভাবে পছন্দের ব্যক্তিদের মাঝে ব্যাংক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালে এমন সমালোচনার মধ্যেই তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তখনকার অর্থমন্ত্রী কোনো সমালোচনাই আমলে নেননি।

তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংক নাই হয়ে গেল। এটা ঠিক করতে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও লুটপাট করেছেন। আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্ট পিকে হালদার বাংলাদেশে ধরা পড়ে না, দেশের বাইরে ধরা পড়ে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিযোগ, প্রবৃদ্ধি, বণ্টন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের বড় গুরুত্ব রয়েছে। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক উদ্যোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুব সতর্কতার সাথে এ সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় লাভের ব্যক্তিকরণ হয় আর লোকসানের রাষ্ট্রীয়করণ হয়ে যায়।

নতুন লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সাবধানী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে খুব ভালো সুফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

;