মেলার আর্কষণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ‘কারুপণ্য শতরঞ্জি’
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের শতরঞ্জি প্যাভিলিয়ন মন কেড়েছে দর্শনার্থীর। প্যাভিলিয়ন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ, বাঁশ, খড়, বাঁশের চাটাই, মাছ ধরার পলো, সাজি প্রভৃতি।
সৌন্দর্য বর্ধনে প্যাভিলিয়নের সামনে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের তৈরি সাইনবোর্ড। লাগানো হয়েছে বাঁশ, বিভিন্ন লতাপাতা আর পাতাবাহারের গাছ।
প্যাভিলিয়নে খড়ের তৈরি ছাদের নীচে পাখির বসবাসের উপযোগী অসংখ্য বাসা স্থাপন করা হয়েছে। পাখির বাসার প্রত্যেক চেম্বারের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ মুখ রাখা হয়েছে।
প্যাভিলিয়নে প্রবেশ মুখে কাঠের ওপরে কবি জীবনানন্দের লেখা কবিতার একটি চরণ লেখা রয়েছে 'আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়'।
প্যাভেলিয়নের ইনচার্জ আশেকুর রহমান রুমেল বার্তা.২৪.কমকে জানান, ১৯৯১ সাল থেকে কারুপণ্য রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য শতরঞ্জি উৎপাদন এবং বিপণনের মাধ্যমে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের কাজ করে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য শতরঞ্জি শুধু দেশে জনপ্রিয় নয় আমরা তা ছড়িয়ে দিয়েছি পৃথিবীর ৬টি মহাদেশে।
রুমেল বলেন, বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন নির্মাণে আমরা কেবলমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান হতে তৈরি গ্রাম বাংলার দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করেছি।
স্টলের ভেতরটা সাজানো হয়েছে নানান পেশাজীবীর তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রীতে। ঐতিহ্যবাহী বাহারি ডিজাইনের শতরঞ্জি ছাড়াও রয়েছে মাটির, বাঁশের তৈরি তৈজসপত্র, কামারদের তৈরি জিনিসপত্র, মেয়েদের থ্রি পিচ প্রভৃতি।