জানুয়ারিতেও বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি দ্বিগুণ



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বনিম্ন দামে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম থাকায় প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনছেন না। বরং নতুন বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ কোনো ক্রমেই পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আর তাতে দরপতন লেগেই আছে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিদেশিরা মোট ৬৭৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে শেয়ার কিনেছেন মাত্র ২৭৪ কোটি টাকার। আর শেয়ার বিক্রি করেছেন ৪০২ কোটি টাকা। যা টাকার অংকে ১২৮ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে প্রায় দ্বিগুণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এর ফলে টানা ১১ মাস বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রির তুলনায় কিনেছিলেন বেশি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাইফ সাপোর্ট থাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেই লস। তাই লস কমাতে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছেন প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। কারণ, গত বছরের জানুয়ারিতে ২০১০ সালের ধসের চেয়ে ভয়াবহ ধস হয় পুঁজিবাজারে। এই ধসে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়েছে। এরপর অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়নি। বরং দিন যতই যাচ্ছে পুঁজিগুলো খোয়া যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বিদেশিরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুঁজিবাজার ভালো না থাকায় বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। এরা মূলত গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ারসহ বেশি কিছু শেয়ারের বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বাজারের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশি বলেন, বিদেশি বলেন সবাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন লাভের আশায়। কিন্তু যখন বিনিয়োগ করলেই মূলধন নাই হয়ে যায়, তখন আর বিনিয়োগ করবেনই কেন?’

ডিএসইর তথ্য মতে, গত বছরের ডিএসইতে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারী ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনা বেচা করেছেন। যা তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের চেয়ে ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। ২০১৯ সালে পৌনে ২৭ লাখ বিওধারী বিনিয়োগকারীরা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনা বেচা করেছেন। সেখানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন। তার বিপরীতে ৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২৪২ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীরা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন। তার মধ্যে প্রবাসী ও বিদেশিরা ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন। তারা ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৪৯৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। তার বিপরীতে ৫ হাজার ৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;