পাঁচদিনে গড়াল পুঁজিবাজারের দরপতন
দেশের দুই পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দরপতন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও (১০ ফেব্রয়ারি) অব্যাহত ছিলো। ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির খাতের শেয়ারের দাম কমায় এদিনও সূচক, লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে উভয় বাজারে দরপতন হলো টানা পাঁচ কার্যদিবস। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের নতুন করে বাজার মূলধনও কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে না। বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে চলেযাচ্ছে। আর তাতে চরম আস্থার সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজার।
তাতে সোমবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের ওঠানামা। যা অব্যাহত ছিলো দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৬৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ারের।