রাজস্ব আদায়ের টার্গেট অবাস্তব, কর ফাঁকি-অর্থ পাচার রোধে পরামর্শ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিপিডি লোগো

সিপিডি লোগো

চলতি অর্থবছরের বাজেটের রাজস্ব আদায়ের লক্ষামাত্রা অবাস্তব বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। ফলে  আসছে অর্থবছরেরর (অর্থাৎ ২০২০-২০২১) বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে হলে অবশ্যই কর ফাঁকি ও অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (৭ জুন)  ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান এবং বাজেটের চ্যালঞ্জ নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন’র সঞ্চলনায় এতে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।এতে অংশগ্রহণ করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র রিসোর্চ ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায় কমছে। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে এ বছর আমাদের ঘাটতি প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হবে।  চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবছর রাজস্ব প্রবৃদ্ধি শূন্য ৪ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে করে রাজস্ব জিডিপির অনুপাতেও পতন ঘটবে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সামনে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা দরকার বলছে সিপিডি।

বিজ্ঞাপন

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আগামী অর্থবছরে রাজস্ব  লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়াতে পারে জানিয়ে সিপিডির বলছে, এটি অর্জন করা কঠিন হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার যে অবস্থা তাতে করহার বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। উল্টো অনেক খাত থেকে কর কমানোর চাপ আসছে। এতে করে আগামী অর্থবছরে সরকারের সম্পদ সংগ্রহ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে।

এ ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতি কেমন হবে এ নিয়ে তিনটি  বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সিপিডির পক্ষ থেকে। তা হলো; দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যের চাহিদা বাড়াতে হবে। এজন্য ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে ব্যক্তিশ্রণির করসীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা যেতে পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর যে শুল্ক আছে তা কামানো। যেন গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। এ ক্ষেত্রে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাজস্ব নীতির মধ্যে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন ছাড়ের সমন্বয় রাখতে হবে।

এছাড়া আগামী বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে হলে অবশ্যই কর ফাঁকি ও অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।