ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি ও সেশন ফি-এর ১০০% ছাড়ে



প্লে-৯ম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বৈশ্বিক করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকগণের আর্থিক বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রেখে আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্লে-৯ম শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে আবাসিক/অনাবাসিকসহ ভর্তির জন্য ভর্তি ও সেশন ফি-এর ১০০% ছাড়ে সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।

ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য- ভর্তি ফি ও সেশন ফি ১০০% ফ্রি এবং অন্য প্রতিষ্ঠান হতে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য- ভর্তি ফি ১০০% ফ্রি ও সেশন ফি ৫০% ফ্রি।

দেশে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল পর্যায়ের সিলেবাস সম্পন্ন করার জন্য কোনো ধরনের পাঠ-পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয় না। এক্ষেত্রে ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম; গতানুগতিক মুখস্থবিদ্যা, নোটসংস্কৃতি, পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তকরণ বা সাজেশন নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সিলেবাস সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে সর্বদা দৃঢ় প্রত্যয়ী। সৃজনশীল ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বায়নের উপযোগী, আলোকিত মানুষ ও দক্ষ জাতি গঠনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন অনন্য

“করোনার শুরু থেকেই আমাদেও সকল একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে  আসছে।”

*এখানে সম্পূর্ণ পাঠ্যবই যত্নসহকারে পড়ানো হয়।

*পাঠ্যবইসমূহের আলোকে পাঠ-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

*কোনো বিষয় বা অধ্যায় শেষ হলেই শ্রেণি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং পর্যালোচনা করা হয়। সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে। এসব পরীক্ষার জন্য কোন প্রকার ফি নেয়া হয় না।

*দুর্বল ও অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

*বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী দ্বারা পাঠদান করানো হয়।

*নিয়মিত অভিভাবক সভার আয়োজন করা হয়, সেখানে তাঁদের পরামর্শ ও সুপারিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।

*ক্লাসে সীমিত শিক্ষার্থী (২০/২৫ জন) থাকাতে শিক্ষকম-লী সবাইকে পড়া শেখানো ও মূল্যায়নের সুযোগ পান।

*মানসিক ও চারিত্রিক উন্নতি সাধনের জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হয়।

*শ্রেণি শিক্ষক বা গাইড শিক্ষক তাঁদের গাইডের শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজ-খবর রাখেন। কোনো ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলেই কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

*পড়ালেখায় আগ্রহী করার জন্য শিক্ষকম-লী নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকেন, তাতে

*ছাত্রছাত্রীদের একগুয়েমী ভাব দূর হয় এবং পড়ালেখায় অধিক মনোযোগী হয়।

*অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবকগণের উপস্থিতিতে দেয়া হয়। তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।

*সারা বছরের কার্যক্রম লিখিত আকারে আমরা অভিভাবকগণের হাতে প্রদান করি যাকে আমরা বলি সার্ভিস ম্যানিফেস্টো বা বছরব্যাপী কর্ম সম্পাদনের অঙ্গীকারনামা।

*প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ও শিক্ষকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হোস্টেল পরিচালিত হয়। যেখানে নিরাপত্তা ও পড়ালেখার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ব্যতিক্রমি পাঠদান পদ্ধতি:

১.একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সম্পূর্ণ বই ছাত্রছাত্রীদেরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অত্যন্ত যত্নসহ পড়ানো হয়। ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সাজেশনভিত্তিক পড়ালেখায় বিশ্বাসী নয়। ছাত্রছাতীদেরকে সম্পূর্ণ সিলেবাসের ওপর জ্ঞানসমৃদ্ধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেজন্য এক বছরের সিলেবাস বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দুইটি টার্মে ভাগ করা হয়। প্রতিটি টার্মের নির্ধারিত ক্লাসের সংখ্যা অনুযায়ী অধ্যায়নসমূহ সাজিয়ে প্রতিদিনের ক্লাস পরিচালিত হয়ে থাকে।

২.পাঠ-পরিকল্পনা

প্রতিটি ক্লাস পূর্বনির্ধারিত পাঠ-পরিকল্পনা অনুযায়ী নিখুঁতভাবে গ্রহণ করা হয়। ক্লাসের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকগণ কী বিষয়ে কোন পদ্ধতিতে পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন পাঠ-পরিকল্পনায় তা নির্ধারণ করা থাকে।

৩.সম্পূর্ণ বই পড়ানো হয়

চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে প্রতিটি বিষয়ের মূল বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়। সেই সাথে শ্রেণিকক্ষেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি অধ্যায়ের সকল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করানো হয়।

৪.মানসম্মত নোট

কোনো বিষয়ের লেচার শুরুর পূর্বেই ছাত্রছাত্রীদের ‘অ+’ পাওয়ার উপযোগী মানসম্মত হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয় (অধ্যক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে)। ছাত্রছাত্রীরা এই নোটের সঙ্গে নিজের সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।

৫.কোচিং ক্লাস

নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং কম মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাইভেট কোচিং-এর বিকল্প হিসেবে কলেজের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়।

৬.অডিও-ভিজ্যুয়াল শিক্ষা মাধ্যম

প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি ছাড়াও প্রজেক্টর, কম্পিউটার, সিডি, ভিসিডিসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষাদান পদ্ধতির বৈচিত্র্যের কারণে শিক্ষা আনন্দময় এবং আকর্ষণীয় হয়। এতে দুর্বল এবং অমনোযোগী ছাত্রছাত্রীরা সহজেই পঠিত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সক্ষম হয়। শিক্ষা হয় স্থায়ী ও ফলপ্রসূ।

৭.বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা

ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বিধায় হরতাল ও অবরোধে ক্লাস অব্যাহত থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অনিবার্য কারণে ক্লাস চালানো সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্ধারিত ছুটির দিনে বিকল্প ক্লাসসমূহের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

৮.মেকআপ ক্লাস

অসুস্থতা অথবা বিশেষ কোনো কারণে ছাত্রছাত্রী কোনো দিন অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মেকআপ ক্লাস প্রদান করা হয়। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকদের নিকট ছাত্রছাত্রীকে উপস্থিত করার বিষয়টি অভিভাবকগণ নিশ্চিত করবেন।

৯.ব্যবহারিক ক্লাস

শ্রেণিকক্ষে পঠিত তত্ত্বীয় বিদ্যাকে আরও কার্যকর এবং বাস্তবজীবনে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাগারে হাতে-কলমে (ঐধহফং ঙহ) শিক্ষা দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা ব্যবহারিক রূপ পায়। এসব বিবেচনায় ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ দেশে একটি নতুন শিক্ষা ধারার সূচনা করেছেÑ এ কথা নিঃসন্দেহে বালা যায়। বিশ্বমানের (ডড়ৎষফ ঈষধংং) শিক্ষা প্রদানে ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাফল্যের শীর্ষে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

১০.আবাসিক হোস্টেলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান

ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এ ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল সুবিধা রয়েছে, যা পৃথক পৃথক হোস্টেল সুপার দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে হোস্টেলে অবস্থান করে ছাত্রছাত্রীদের তত্ত্বাবধান করে থাকেন (এ কার্যক্রম অধ্যক্ষের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সময়ে সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।)।

১১.গাইড শিক্ষক/ফর্ম মাস্টার

প্রতি ক্লাস/সেকশন/বিভাগের ছাত্রছাত্রীর জন্য ১জন গাইড শিক্ষক/ফর্ম মাস্টার নির্ধারণ করা থাকে। এই গাইড শিক্ষক/ফর্ম মাস্টার সার্বক্ষনিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করে থাকেন এবং যে-কোন সমস্যায় ছাত্রছাত্রীর পাশে থেকে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়মাবলি:

সাপ্তাহিক পরীক্ষা (কোনো ফি প্রদান করতে হয় না)

১. অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে প্রতি বিষয়ে ২টি করে সাপ্তাহিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২. সাপ্তাহিক পরীক্ষার পূর্ণমান প্রতি বিষয় ২০/২৫ নম্বর এবং সময় ৪৫/৫০ মিনিট।

৩. সাপ্তাহিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে প্রতি বিষয় ১০০ টাকা ফি জমা দিয়ে পুনঃপরীক্ষা দিতে হয়। (এটি জরিমানা নয়, পুনঃপরীক্ষার ফি)

অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা (নির্ধারিত হারে ফি প্রদান করতে হবে)

১. প্রতিটি বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে ১টি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২. প্রত্যেক অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের সেকশন পরিবর্তন করা হয়।

৩. অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে প্রতি বিষয় ২০০ টাকা ফি জমা দিয়ে পুনঃপরীক্ষা দিতে হয়। (এটি জরিমানা নয়, পুনঃপরীক্ষার ফি)

৪. অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার পর অভিভাবকগণের উপস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অভিভাবক দিবসে মাতা-পিতা উভয়কে উপস্থিত থাকতে হবে। মাতাপিতা (যদি জীবিত থাকেন) ব্যতীত কোনো ছাত্রছাত্রীর ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।

বার্ষিক পরীক্ষা (নির্ধারিত হারে ফি প্রদান করতে হবে)

১. পূর্ণ সিলেবাসের ওপর একটি বোর্ড মানের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় কোনো ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিত থাকলে কিংবা ৫০% এর কম নম্বর পেলে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে না।

২. বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল, ক্লাসের উপস্থিতি, আচার-আচরণ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করে প্রতি গ্রুপে ৩ জন ছাত্রছাত্রীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

৩. বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত এবং উক্ত পরীক্ষায় কোনো বিষয়ে ৫০% নম্বরের কম পেলে পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুনঃপরীক্ষার ফি প্রতি বিষয়ে ৩০০/- (তিনশত) টাকা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে (এটি জরিমানা নয়, পুনঃপরীক্ষার ফি)। পুনঃপরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে না।

অন্যান্য

১. একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২. অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা বা বার্ষিক পরীক্ষার আগে সমুদয় বকেয়া, টিউশন ফি ও জরিমানা (যদি থাকে) পরিশোধ সাপেক্ষে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রবেশপত্র ব্যতীত কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৩. সাপ্তাহিক পরীক্ষা ব্যতীত অন্য পরীক্ষায় বই, খাতা, নোট, লেকচার শিট বিদ্যালয়ে আনা যাবে না।

৪. আন্তঃপরীক্ষার সময় কলম, পেন্সিল, ক্যালকুলেটর, ইরেজার ও স্কেল নিয়ে আসতে হবে। পরীক্ষা কক্ষে অন্যের কাছে এ সব উপকরণ ধার নেয়া বা দেয়া যাবে না।

৫. প্রত্যেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। অসুস্থ থাকলে ‘সিক বেড’-এ পরীক্ষা দিতে হবে।

৬. সকল পরীক্ষায় ৫০% এর কম নম্বর পেলে অনুত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে।

৭. পরীক্ষায় অসদুপায় (নকল করা, অন্যের খাতা দেখে লেখা, খাতা বদল করা, বেঞ্চে লেখা, সাপ্তাহিক পরীক্ষার খাতায় বাসা থেকে লিখে আনা) অবলম্বন করলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা

ট্রাস্ট কলেজের স্কুল শাখায় অনুষ্ঠিত প্রত্যেক অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার সাথে ১০০ নম্বরের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মানসম্পন্ন ৫০০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তরসহ একটি সেট ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। এর মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১০০টি প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মাধ্যমে ১ বছরে ছাত্রছাত্রীরা ১০০০টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তরসহ আত্মস্থ করার সুযোগ পায়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম:

শিক্ষার সাথে সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীর অর্ন্তলোক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রাস্ট স্কুলে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালিত হয়। ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে সমস্ত সহশিক্ষা কার্যক্রম আছে তার মধ্যে বার্ষিক শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বার্ষিক বনভোজন, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, নবাগত সংবর্ধনা, কৃতি সংবর্ধনা, বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, গণসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, সেবামূলক কার্যক্রম, সেমিনার, বিজ্ঞানমেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিক্ষামূলক জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, ঈদ পুনর্মিলনী ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আরো আছে নানাবিধ ক্লাব। যে সমস্ত ক্লাব আছে তার মধ্যে সায়েন্স ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ছাত্র উপদেষ্টা ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব, রাইটার্স ক্লাব, আবৃত্তি সংঘ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা ও সুপরিসর প্লে-জোন

ট্রাস্ট স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের ক্লাসের পাশাপাশি রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চারও ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

ট্রাস্ট স্কুলের প্লে-৪র্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে সুপরিসর প্লে-জোন। যেখানে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তাদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার করতে পারে নানাবিধ খেলার সামগ্রী। যা শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত হওয়ার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ব্যাপক সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-

প্লট ২৭, রোড ৫, সেক্টর ১৩, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

ফোন: +৮৮-০২-৫৫০৮৬১০১-৩

মোবাইল নম্বর: ০১৭৩০৩২২৬০০-১১

   

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। এ শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেই কারণে এসএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় এসএসসিতে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা রাখাসহ পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তুত করেছে সেই কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ বা গড় ভারিত্ব ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখা। আর পরীক্ষা হবে মোট পাঁচ ঘণ্টার।

এসএসসির লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখা যেতে পারে। এছাড়া, আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্কুল ভিত্তিক ষাণ্মাসিক (ছয় মাস) ও বার্ষিক মূল্যায়ন এবং পাবলিক মূল্যায়ন একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপস হালনাগাদ করা, চূড়ান্ত মূল্যায়নে সনদ/ট্রান্সক্রিপ্টের সাত পর্যায়ের স্কেলে যোগ্যতা এবং পারদর্শিতার সূচক অভিভাবক ও অংশজনদের অবহিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এ বিষয়ে কমিটি প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বেশি কিছু সুপারিশ রয়েছে। এগুলো এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে শিগগিরই প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হবে। সুপারিশে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখার বিষয়টি রয়েছে। অবশ্য কত নম্বরের পরীক্ষা হবে তা বলতে রাজি হননি তিনি।

নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।

গত ৫ মার্চ গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীম ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত (বিলম্ব ফি ছাড়া) বাড়ানো হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে পর্যন্ত।

এদিকে বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণ চলবে ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ এপ্রিল। তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়িয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

;

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিলম্ব ফি ছাড়া ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম আগামী ২৬ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ৫ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করতে পারবে। ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে। বিলম্ব ফি সহ ফরম পূরণ করা যাবে ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে। ‘সোনালি সেবা’র মাধ্যমে ফি পরিশোধের সবশেষ তারিখ ১৩ মে পর্যন্ত পুনর্নির্ধারিত করা হলো।

বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফরম পূরণ ফি নেওয়া হবে।

আর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৩০ জুন।

 

;

তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা

তীব্র তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।  

 

;