প্রয়োজনে ৪৩তম বিসিএস’র সময় বাড়ানো হবে: পিএসসি চেয়ারম্যান
সব বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘৪৩তম ছাড়া বিসিএস-এর অন্য পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন নেই। ফলে ৪০, ৪১ এবং ৪২তম বিসিএস-এর পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনের সময় বাড়ানো হতে পারে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিএসসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘৪০তম বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষা চলছে। এছাড়া ৪১তম বিসিএস আবেদন শেষ হয়েছে গত বছরের। তাই তাদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন নেই। তবে করোনার কারণে পরীক্ষা নিতে পারিনি। এখন যথারীতি এই পরীক্ষা চলবে। ৪২তম বিসিএস হচ্ছে- বিশেষ বিসিএস (চিকিৎসক নিয়োগ)। ইতোমধ্যে আমরা ৪৩তম বিসিএস ২ মাস পিছিয়েছি, যদি প্রয়োজন হয় তবে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ে হয়তো বলেছেন। অন্যান্য পরীক্ষাগুলো তো আগের বছরের। তাই সেগুলো পেছানোর প্রয়োজন নেই। বিষয়টি প্রার্থীদের জানা প্রয়োজন তা না হলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন, অপেক্ষা করছেন, তাদের জন্য বলছি- বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার তারিখের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন তারিখ ঘোষণা করা এবং করোনার কারণে বিসিএস এর আবেদনের বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়ে যেন কোনও শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, ৪০তম বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে। ৪১তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৯ মার্চ হবে বলে ঘোষণা করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ৪২তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৪৩তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ৬ আগস্ট।