বেরোবি’র উপাচার্য কলিমউল্লাহর বক্তব্য অনভিপ্রেত: ইউজিসি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও ইউজিসিকে দোষারোপ করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বক্তব্য অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটি বলেছে, ‘উপাচার্যের মতো দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে এমন বক্তব্য কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।’

শনিবার (০৬ মার্চ) ইউজিসির পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগ) শামসুল আরেফিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই সময় তিনি জানান, এসব অভিযোগ ও ইউজিসির ‘এমন তদন্ত’ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আশ্রয়-প্রশ্রয় ও আশকারায় হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর আশকারায় পরিস্থিতি এ অবস্থায় এসেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় ইউজিসির মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য।

উপাচার্যের ওই সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলো দেশে উচ্চ শিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ইউজিসি। সংস্থাটি বলেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনিয়মের অভিযোগটি পরিকল্পনাসংক্রান্ত হওয়ায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য, পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ, সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তদন্তকাজ দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। কোনো পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বা অন্য কেউ প্রভাব বিস্তার করার কোনও ধরনের সুযোগ নেই। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও প্রভাবমুক্তভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রী ও তদন্ত কমিটি নিয়ে ব্যক্তিগত বিষোদ্‌গার করেছেন, তা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।