৯ মাস উপবৃত্তি পায়নি ফুলবাড়ীর ১৭১৯ শিক্ষার্থী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির অর্থ ঢুকলেও, ১ হাজার ৭১৯ জনের মোবাইল ফোনে নয় মাস ঢুকেনি উপবৃত্তির অর্থ। কেনো বা কি কারণে তাদের ফোনে অর্থ ঢুকছে না তা জানেন না বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল ফোনে মোবাইল ব্যাংকিং শিওর ক্যাশের মাধ্যমে অর্থ উপবৃত্তির অর্থ দেওয়া হতো। কিন্তু তা হস্তান্তর করে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং করা হয়। এই হস্তান্তরকরণের পর থেকেই উপবৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ওই ১ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখা যায়, উপবৃত্তি বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত রয়েছে। কয়েক মাস পরেই এই শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা জীবন পেরিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনে পা রাখবে। ওইসব শিক্ষার্থীরা মাঝে তাদের প্রাপ্য উপবৃত্তির অর্থ না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অভিভাবকরা জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ হিসেবে উপবৃত্তির অর্থ পেয়েছে আমাদের সন্তানরা। প্রথমে শিওর ক্যাশ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমাদের ফোনে উপবৃত্তির অর্থ প্রতি মাসে ঢুকতো। কিন্তু তা বদলে আবার নগদে হস্তান্তর করা হয়েছে। নগদে হস্তান্তরের পর থেকে আমাদের সন্তানরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নয় মাস থেকে ফোনে উপবৃত্তির টাকা ঢুকছে না।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আপনাদের সমস্যা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান ঘটবে।

শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপবৃত্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের মোবাইল ব্যাংকিং শিওর ক্যাশ থেকে নগদে হস্তান্তর করার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে কয়েক দফায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত উপবৃত্তির অর্থ পায়নি। প্রায় ৯ মাস থেকে তারা উপবৃত্তির অর্থ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে, নগদে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নগদের যে কর্মীরা হস্তান্তর করেছে তাদের মাধ্যমেই কোথাও ভুল হয়েছে। তাই এই শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভূঁইয়া বলেন, শিওর ক্যাশ থেকে হস্তান্তর করে নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা অধিদফতর। হস্তান্তরের পর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল ফোনে ঢুকলেও অজানা কারণে ১ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল ফোনে ঢুকেনি। যে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির অর্থ ঢুকেনি তাদের তালিকাসহ নাম্বার শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে দিনাজপুর জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও।