মধ্য নভেম্বরে এসএসসি ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি: শিক্ষামন্ত্রী

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আসছে নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। আমরা এখন সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য দেন। এ সময় পাশে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রমকুমার দোরাইস্বামী।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেগুলো দেখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।’

মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মানিকগঞ্জের একটি জায়গায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। ঘটনাটি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সেই শিক্ষার্থী শুধু ১৫ সেপ্টেম্বর একবার স্কুলে এসেছিল। এরপর প্রায় সাতদিন পরই তার করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মারা যায়। আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, সে যেদিন স্কুলে এসেছিল তখন তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। যে কারণে সেখানকার সবার পরীক্ষা করার প্রয়োজন নাই। আমরা তারপরও পর্যবেক্ষণ করছি।’

বিজ্ঞাপন

দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যতজন ক্লাসে এসেছিল সকলেরই পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু আর কারো মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।

ডা. দীপু মনির কথায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন প্রায়ই আমাকে লিখে জানানো হচ্ছে, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আমরা প্রতিটি জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান করছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও এসবের সত্যতা কিন্তু পাইনি।’

তবে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা শনাক্তের হার যদিও শতকরা ৫-এর নিচে নেমে এসেছে, তবুও অতিমারি কিন্তু সারাবিশ্বেই চলমান। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতেও অসুস্থ হতে পারে কিংবা যাতায়াতের পথে অসুস্থ হতে পারে, এমনকি তাদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেটি যদি কোথাও ঘটে, আমরা যেন ব্যবস্থা নিতে পারি সেজন্য সম্পূর্ণ সচেতন এবং সজাগ ও তীক্ষ্ণ ‍দৃষ্টি রাখছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আসা মাত্রই বা কোনো তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জনের অফিসসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে রেখেছেন, কোথাও যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে বন্ধ করে দেবেন। তার কথায়, ‘এক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা করবো না। যদিও এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম পরিস্থিতি তেমনভাবে প্রভাব ফেলেনি। যদি কোথাও আশঙ্কা দেখা দেয়, নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

প্রাক-প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের সপ্তাহে একদিন স্কুলে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদের এই মুহূর্তে একদমই আনতে চাচ্ছি না। তারা এখন বাড়িতে থাকুক আপাতত। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আবার সিদ্ধান্ত নেবো কী করা যায়।’