‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ছড়ালে বন্ধ করতে দ্বিধা করব না’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপ মনি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপ মনি। ছবি: বার্তা২৪.কম

শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের যে খবর আমরা পাচ্ছি, এখন পর্যন্ত কোথাও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছে, এখানে আক্রান্ত, ওখানে আক্রান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও সত্যতা কিন্তু পাইনি। তারপরেও একটা অতিমারি এখনো চলমান। কোথাও যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি প্রয়োজন হয় বন্ধ করে দেব, কোনো দ্বিধা করব না। এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম পরিস্থিতি তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। যদি কোথাও হয় নিশ্চিই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর’ উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শনাক্তের হার যদিও শতকরা ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, তারপরও সারাবিশ্বেই অতিমারি চলমান। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে, কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতেও অসুস্থ হতে পারে, যাতায়াতের পথে অসুস্থ হতে পারে। এমনকি তাদেরকে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেটি যেন না ঘটে এবং কোথাও ঘটা মাত্র আমরা যেন তার ব্যবস্থা নিতে পারি, আমরা সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন এবং সজাগ।’

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আসা মাত্রই বা কোনো তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসন সিভিল সার্জনের অফিস সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তের বিষয়ে আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়।সেখানে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় তারা সেগুলোর ব্যাপারে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষামন্ত্রণালয়। আমরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখি। আমরা আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে সমস্যা হয়েছে দুই-এক জায়গায়। বিশেষ করে মানিকগঞ্জের একটি জায়গায় আমাদের অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী তিনি মারা গেছেন।

দীপু মনি বলেন, আমরা সেই কেইসটি (মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর) নিয়ে কথা বলেছি সিভিল সার্জনের সঙ্গে। সিভিল সার্জন আমাদের জানিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী শুধু মাত্র ১৫ সেপ্টেম্বর একবার স্কুলে এসেছিল, এরপর প্রায় ৭ দিন পরই সে করোনা সনাক্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মৃত্যুবরণ করে। আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি বলেছেন ও একদিনই স্কুলে এসেছিল তখন তার কোন ধরনের উপসর্গ ছিল না, যে কারনে সেখানে সকলের আর পরীক্ষা করবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু আমরা তারপরও পর্যবেক্ষণ করছি। দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী তার করোনা সনাক্ত হয়েছে। আর অষ্ট শ্রেণির যে মারা গেছে তার করোনা সদৃশ, কিন্তু তার করোনা সনাক্ত হয় নাই। দশম শ্রেণির যার করোনা হয়েছে তার সাথে যতজন ক্লাসে আসছিল সকলেরই পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু সেখানে আর কারো কোনো রকম করোনা পাওয়া যায়নি।

প্রাক-প্রাথমিকের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাক প্রাথমিকের বাচ্চাদের এ মুহূর্তে আনতে চাচ্ছি না। সপ্তাহে একদিন আনা হবে কি না এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, না একদমই না। এ মুহূর্তে না, তারা এখন বাড়িতে থাকুক আপাতত। আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক তারপর আবার সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়?