পরীক্ষার হলে বসলেন ১৪ লাখ শিক্ষার্থী
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বসলেন প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা হবে দুই শিফটে। সকালের শিফটের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে, শেষ হবে ১১টা ৩০ মিনিটে। আর বিকেলের শিফট ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে প্রথম শিফটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হলো এএইচএসসি ও সমমানের এই পরীক্ষা।
এইচএসসি পরীক্ষা সাধারণত প্রতিবছরেরর এপ্রিলে শুরু হলেও এবছর করোনা মহামারীর কারণে বিলম্বে শুরু হয়েছে। এছাড়া আনা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আর সময়ের কমতি।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে দেখা যায়, সকাল থেকেই শিক্ষার্থী এবং অভিভাকরা আসছেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা জানা যায়, তারা খুব আনন্দিত এবং উৎপল্লিত। এই করোনার সময় তারা পরীক্ষা দিতে পারছেন এটাও তাদের জন্য অনেক।
কবি নজরুল কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ইয়াসমিন বলেন, আমরা আসলে চিন্তায় ছিলাম পরীক্ষা হবে কিনা। যেভাবে করোনার হানা ছিলো, তাতে পরীক্ষা দিতে পারছি এটাই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।
রাসেল বলেন, আমাদের প্রস্তুতিও খারাপ না। তবে সময় আরেকটু বাড়ালে ভালো হতো। তবে পরীক্ষা দিতে পারছি এটাই আনন্দের বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
নাজমা বলেন, আমাদের মেধা যাছাই অন্যতম একটা মাধ্য হলো পরীক্ষা। এই পরীক্ষা যদি না হয় তাহলে আমরা যে শিক্ষার্থী সেটাই নিজেদের কাছে মনে হয় না। তাই পরীক্ষা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দের এবং প্রস্তুতিও নিয়েছি ভালো।
অভিভাকরাও জানিয়েছেন তাদের আনন্দের কথা। তারা বলছেন আসলে আমাদের বাচ্চারা করোনার সময় এমনিতেই একটু কম পড়া-লেখা করেছে। তারউপর পরীক্ষাও যদি না হতো একেবারে মেধাশূণ্য হয়ে যেতো। পরীক্ষা হচ্ছে এটা আমাদের সন্তানদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি আমাদের জন্য ভালো লাগার।
স্বাস্থ্যবিধির দিকেও দেয়া হয়েছে কড়া নজর। শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মেপে এবং মাক্স নিশ্চিত করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
এ বছর ২ হাজার ৬২১ টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকারও রয়েছে পূর্বঘোষণা।