শিক্ষা খাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। মঙ্গলবার সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক ছাত্র সমাবেশে তারা এ দাবি জানায়।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম। এসময় সংগঠনের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ অর্থমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি পেশ করেন।

সমাবেশে ছাত্র নেতারা বলেন, জুন মাসের ৯ তারিখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা বলে— প্রতিবছরই বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও সামরিক খাতের মতো অনুৎপাদনশীল খাতগুলোতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ছে। এর বিপরীতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ দিন দিন কমছে। শিক্ষা খাতের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ খাত এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের সঙ্গে সরকারের সুদ, সরকারি কর্মজীবীদের পেনশন ও কৃষিতে ভর্তুকি যোগ করে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা খাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ ও জাতীয় আয়ের ৮ শতাংশ বরাদ্দের যে দাবি ছাত্র সমাজ উত্থাপন করে আসছে, তা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শিক্ষা খাতে আয় কমিয়ে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির কথা বলে প্রতিনিয়ত নামে-বেনামে বিভিন্ন ধরনের ফি’র বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য শিক্ষার দ্বার ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য শিক্ষার দ্বার ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম-শিক্ষক নেই, আবাসন ব্যবস্থা ও পরিবহন ব্যবস্থা অপ্রতুল, স্বাস্থ্যসম্মত সাশ্রয়ী খাদ্যের অধিকার থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র, বন্দুক হাতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাত্রদলের ওপর অব্যাহত হামলা চালিয়েছে। ভিন্ন মত ও সংগঠনকে বলপূর্বক দমন করাই আজ তাদের একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জোর জবরদস্তি ও ভয়ের রাজত্ব ভাঙতে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা এবং শিক্ষা সংকোচন ও বাণিজ্যিকীকরণে শাসক শ্রেণির পরিকল্পনা প্রতিহত করার পাশাপাশি অবিলম্বে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র সমাজকে আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।

   

‘প্রযুক্তি সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তির সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ন্যায় ও সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রযুক্তির সুবিধাও সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেন এই সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংস্থা ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে ‘এমপাওয়ার্ড ২০২৩: এআই পাওয়ার স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর এ ফিউচার রেডি ওয়ার্কফোর্স সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কর্মদক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও চাহিদা পূরণ করে স্কিল গ্যাপ কমাতে হবে। এতে করে চাকরিদাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে। চাকরিদাতারা যেমন দক্ষ মানবসম্পদ পাবে তেমনি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠতে পারবে। সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা প্রযুক্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আরেক শ্রেণির মানুষ প্রযুক্তিতে খুবই দক্ষ এবং একইসঙ্গে তারা সমাজে প্রিভেলেইজড অংশ। আমাদের সকলের দায়িত্ব সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণিকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা। তাদেরকে প্রযুক্তির সুবিধার আওতায় আনার মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

কোভিড উত্তর পৃথিবীর নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কোভিড উত্তর পৃথিবী মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশ্ব যুদ্ধ, সংঘাত দেখবে না। সকলে শান্তির জন্য কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবতায় আমরা দেখেছি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। কীভাবে শিশু, নারীসহ নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করে হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী। এই পৃথিবী আমরা চাইনি। উন্নত রাষ্ট্রগুলো এসব যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। আমরা চেয়েছিলাম মানবিক পৃথিবী, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়াবে। শান্তিময় হবে পুরো বিশ্ব।

উপাচার্য ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য-বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. ওজেয় কেলা, সংস্থাটির ইভিপি সুনিল দাহিয়া, আশরাফুজ্জামান, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রমুখ।

;

একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের মতানৈক্য



আহসান জোবায়ের, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) রোখছানা বেগমের সই করা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।

একইসঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে গঠিত ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের’ প্রধানের দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্যের অভিপ্রায় অনুসারে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য গত ১৫ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনমূরে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্ধারণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার কথা। কিন্তু তা না করে ইউজিসি সরাসরি অধ্যাদেশের খসড়া প্রেরণ করেছে।

এতে আরও বলা হয়, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৩’ প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকা অর্থাৎ বিলুপ্ত থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা বিবেচনায় অধ্যাদেশ জারি করে থাকেন। বর্তমানে দেশে কোনো জরুরি অবস্থা বিদ্যমান নেই বিধায় এক্ষেত্রে অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।

এরপরই চিঠিতে ইউজিসির ক্ষমতার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছে মন্ত্রণালয়। চিঠির ক্রমিক নম্বর ২ (গ)-তে বলা হয়, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ধারা পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি প্রস্তাবিত কর্তৃপক্ষ স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবে, যার চেয়ারম্যান হবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান। যিনি ইতোমধ্যেই একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত। এ প্রেক্ষিতে তার আরেকটি কর্তৃপক্ষের প্রধানের দায়িত্ব পালন করা সমীচীন হবে না। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ, ১৯৭৩’ বলে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার অধীনে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আরেকটি কর্তৃপক্ষ থাকতে পারে না।

উদাহরণস্বরূপ—বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা গ্রহণকারী সংস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের একক পরীক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও এ বিভাগের অধীনে এরকম একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ গঠন করা সমীচীন হবে। এমতাবস্থায়, উপযুক্ত পর্যালোচনার আলোকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নিমিত্তে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির গঠনকাঠামো, কার্যক্রম, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি বিষয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব নির্দেশক্রমে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ইউজিসিতে আয়োজিত এক কর্মশালায় একক ভর্তি পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। ফলে আগের নিয়মে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কেও গুচ্ছের আওতায় আসার অনুরোধ জানান তিনি।

;

এবারও হচ্ছে গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসার কথা বললেও তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও দেশের সব পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়ে আগের নিয়মে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনের সঙ্গে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় তিনি পাশাপাশি স্বায়ত্বশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি, রাবি, জাবি, চবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) গুচ্ছে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুসারে ইউজিসি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একক আওতাভুক্ত করে একটি ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছিল। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে এবং বিস্তারিত আলোচনা শেষে একটি অধ্যাদেশের খসড়াও তৈরি করেছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত বছরের মতো আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

সভায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. রাজু আহম্মেদ, ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন ও মো. শাহীন সিরাজসহ ইউজিসি ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

গত ২৬ জুলাই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন শিক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

;

স্কুল ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি ৬৫৮ বিদ্যালয়ে আসন পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ জন। বেসরকারি ৩ হাজার ১৮৮ টি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ২ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

লটারিতে প্রথম ধাপে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বুধবার (২৯ নভেম্বর) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনে Click করতে হবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানে কারা আবেদন করেছিল, সেই তালিকা পাওয়া যাবে।

ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তাও জানা যাবে।

এক্ষেত্রে কোন আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবেন।

ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওই কোটাসমূহে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা হয় সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

লটারির ফলাফল ই-মেইলে স্কুল প্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। আর শিক্ষার্থীরা কে, কোনো স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।

;