হাতের লেখায় সেলিব্রেটি স্কুলছাত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য কত জন কত কিছুই না করেন। সেখানে সেলিব্রিটি হতে নয় পড়াশোনায় ভাল রেজাল্টের তাগিদেই নিজের হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তোলেন এক স্কুলছাত্রী। আর তার এ হাতের লেখায় তাকে সেলিব্রিটি বানিয়ে দিয়েছে।

প্রত্যেক মানুষের হাতের লেখার স্টাইল আলাদা। কেউ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। কারও আবার লিখতে গিয়ে লেখা জড়িয়ে যায়, উঁচু-নিচু কিংবা লাইন এঁকে বেঁকে যায়। সুন্দর হাতের লেখার জন্য শিক্ষকদেরও প্রশংসা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

শুধু হাতের লেখা দিয়েই সেলিব্রিটি হয়েছেন নেপালের এক স্কুলছাত্রী প্রকৃতি মাল্য। এই হাতের লেখা দেখলে মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা। তার হাতের লেখাই নেপালে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

বর্তমানে প্রকৃতির বয়স ১৬ বছর। তার বয়স যখন ১৪ বছর সে সময়ই তা অসাধারণ হাতের লেখার জন্য স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন। তার অসাধারণ হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ হয় গোটা বিশ্ব। সে তখন নেপালের সৈনিক ওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

বিজ্ঞাপন

সেসময় তার একটি হাতের লেখা স্যোশাল মিডিয়ায় দিলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। গোটা বিশ্বের নেটিজেনরা পোস্ট দেখে লাইক, কমেন্ট করতে থাকেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান প্রকৃতি ও তার হাতের লেখা। প্রকৃতির হাতের লেখা সকলের সামনে আসার পরে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরাও রীতিমতো বিস্মিত।

প্রকৃতি মাল্যের হাতের লেখা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেন, তার প্রত্যেকটি লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গা গুলো প্রত্যেকটি সমান। তার লেখা প্রায় নিখুঁত। আর তাই তার এই লেখা শুধু নেপাল নয় হয়তো সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা লেখা।

প্রকৃতির হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন নেপাল সরকার। বলা হয়েছে, নেপালের সেরা হস্তাক্ষর এটি। নেপাল সশস্ত্র বাহিনীও তাকে পুরস্কৃত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন সকলের কাছে সেলিব্রিটি।