‘প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেই নতুন শিক্ষাক্রম’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমটা একটা রূপান্তর। আমরা প্রথম থেকেই মুখস্ত বিদ্যার জগৎ পার করে এসেছি। আমরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগামীতে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রয়োজন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. দীপু মনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে মুখস্ত বিদ্যা নয়, জেনে-বুঝে ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমটি হুট করেই তৈরি হয়নি। ২০১৭-১৮ সালের অনেকগুলো গবেষণা থেকে আমরা আজকের অবস্থায় এসেছি যা ২০২৭ সালে পরিপূর্ণ রূপ পাবে।

শিক্ষাক্রম নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা আজকে এই শিক্ষাক্রমের বিপক্ষে আন্দোলন করছে তারা তথাকথিত নোট-গাইড ও কোচিং ব্যাবসায়ী। তাদের দাবি হচ্ছে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত রাখা। যাতে করে ওই নম্বর প্রাপ্তির জন্য কোচিং করা লাগে আর নোট-গাইড কেনা লাগে। আমি খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, এর সঙ্গে আমাদের কিছু শিক্ষকরাও জড়িত আছে। যারা এসব ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বিজ্ঞাপন

নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। নিয়মিতভাবে আমাদের বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে, অংশীজনদের সঙ্গেও আমরা পরামর্শ করছি। পদ্ধতি অপরিবর্তিত থাকবে তবে বইগুলোকে কিভাবে আরও ভালো করা যায় আমরা সেটা নিয়ে কাজ চলছে।

আগামী বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে না পারার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিপরীতমুখী খবর প্রকাশ করছে।কেউ বলছে বই দিতে পারবো আবার কেউ বলছে পারবো না। বছরের শুরুতেই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে বদ্ধপরিকর।