প্রাথমিক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন দাবি শিক্ষকদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নতুন প্রণীত প্রাথমিক নিয়োগ বিধিমালার কিছু নিয়ম ও শর্তে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ৫৭নং উত্তর দাড়িয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোমানা ইসলাম রিমু এ স্মারকলিপি জমা দেন। ওই সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কার্যালয়ে না থাকায় তার ব্যক্তিগত সহকারী এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। পরে মহাপরিচালকের একান্ত সচিব (শিক্ষা অফিসার) মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অবগত করেন শিক্ষকরা।

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও প্রশাসনিক পদে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া, কোনো অভিজ্ঞতা না রেখে ৪৫ বছর পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য করে বিধিমালা সংশোধন করা। এটিইও/এইউইও পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে শতভাগ পূরণযোগ্য আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এবং শিক্ষাবান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা, যাতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী হয়।

বিজ্ঞাপন

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগ বিধিমালা প্রকাশ করে, যাতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষকদের জন্য হতাশার। যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা ৩-৫ বছরের মধ্যে পদোন্নতি পান এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দুই বছর হলে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়, সেখানে শিক্ষকদের আবেদন যোগ্যতা অর্জনে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। এ শর্ত মেধাবী প্রজন্মকে শিক্ষকতার মতো মহৎ পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত করার শামিল। ফলে এ নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা হতাশাব্যঞ্জক।

জিপিএস বিভাগীয় প্রার্থিতা সমন্বয় পরিষদের সমন্বায়ক এম এ সালাম বলেন, আমাদের শিক্ষক প্রতিনিধিরা আজকে ডিজি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এর আগে আমাদের সাথে ডিজি মহোদয়ের মিটিং হয়েছে। তিনি আমাদের দাবির ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা তার অংশ হিসেবে আজকে অবহিত করেছি ও স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা আশা করি, দ্রুত এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পদক্ষেপ নিবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের একান্ত সচিব (শিক্ষা অফিসার) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষক এসেছিলেন। তারা যে স্মারকলিপি দিয়ে গেছেন, সেটা ডিজি স্যারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।