এইচএসসি ফলাফল: কুড়িগ্রামে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

  • কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ। ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী কুড়িগ্রামের ৫টি কলেজের শতভাগ এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে। দিনাজপুর বোর্ডে এবারে মোট ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।

কুড়িগ্রামের শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা মডেল কলেজ, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ, নাগেশ্বরী উপজেলা সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজ ও রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ আদর্শ কলেজ।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা মডেল কলেজে ১ জন, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ এ ৪ জন, নাগেশ্বরী উপজেলা সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ এ ১ জন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজ এ ১ জন ও রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ আদর্শ কলেজ এ ১১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

এব্যাপারে বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপাল মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পুরোনো হলেও এইচএসসি ভর্তি শুরু হয় ২০০৫ সালে। এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এনটিআরসি থেকে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে তাঁরাও নিয়মিত কলেজে আসে না। এবারে মোট ৪ জন ছেলে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের ক্লাস ভালোভাবে হয়নি। গতবার কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি।

বিজ্ঞাপন

এব্যপারে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম বলেন, শতভাগ ফেল করার বিষয়টি দুঃখজনক। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষার মান নষ্ট করছে। আমি চাই সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এই ফলাফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১২ হাজার ২২৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ৩৩০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্য জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৩৩ জন।

অপরদিকে পাসের হার বিবেচনায় দিনাজপুর বোর্ড গত বছরের থেকে এবছর পিছিয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে গিয়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।