প্রথমদিনেই প্রাথমিকের সব বইয়ের ঘ্রাণ নেবে শিক্ষার্থীরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপর শুরু হবে নতুন দিন, নতুন সাল। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাঙ্গনে চলবে নতুন বইয়ের উৎসব। সেই উৎসবের অপেক্ষায় চট্টগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩ লাখ শিক্ষার্থী। অপেক্ষায় রয়েছে বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠার।

তবে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিকের শতভাগ শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে পারলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা শতভাগ তা পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন কারিকুলামের কারণে এবার মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই পেতে দেরি হলেও অন্যান্য শ্রেণির বই চলে এসেছে। বাকি বইগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হবে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস থেকে।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে বছরের প্রথমদিনে উৎসব আয়োজন করতে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এরপর স্কুলে স্কুলে শুরু হবে বই বিতরণ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবার নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি। বছরের প্রথমদিন চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বই। যেখানে গতবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২৯৭টি।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সব উপজেলাসহ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৩ জন। আর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ জন।

এছাড়াও চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮১০টি, যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং নগরীর পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা এবং গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা বই পেয়ে থাকে। এ বছর চট্টগ্রামের সাগরিকা প্রিন্টার্স এবং দি মক্কা আল মুকারাম প্রিন্টার্স নামের দুটি ছাপাখানায় প্রাথমিকের বই ছাপানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল হক বলেন, এবার বই উৎসবের দিন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চাহিদার শতভাগ বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবার নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার। এরমধ্যে ২০ শতাংশ বই এখনো পৌঁছেনি।

ইবতেদায়ি, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল, মাধ্যমিক বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন মিলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে মাধ্যমিকের রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা বলেন, ‘মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম হওয়ায় এ দুটি শ্রেণির বই পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। আমরা মোট ৮০ শতাংশ বই পেয়েছি। আশা করছি, বাকি ২০ শতাংশ বই কিছু দিনের মধ্যে চলে আসবে। আমরা সবাইকে বই উৎসবের জন্য সব উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনী বছর হলেও আমাদের সব প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের মতো ১ জানুয়ারী চট্টগ্রামেও বছরের প্রথমদিন বই উৎসব জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে ০নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে উৎসবে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এছাড়া চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বই উৎসবে আমি উপস্থিত থাকবো।’