ফেনী সরকারি কলেজে প্রয়োজন ১৮০ শিক্ষক, আছেন ৭২
দেশজুড়ে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট নতুন কিছু নয়। তার ধারাবাহিকতায় ব্যতিক্রম নয় শতবর্ষী ফেনী সরকারি কলেজ। কলেজের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সুযোগ থাকলেও সৃষ্টি হচ্ছে না এবং পদ শূন্য থাকছে। এর ফলে স্বল্প শিক্ষক দিয়ে একাধিক বিষয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। বর্তমানে কলেজে ১৮০ জন শিক্ষক প্রয়োজন হলেও আছেন মাত্র ৭২ জন।
১৯৭৯ সালে সরকারি হওয়ার সময় ডিগ্রি প্যার্টানে শিক্ষকদের যে পদ সৃষ্ট ছিল তা দিয়েই কলেজে অনার্স মাস্টার্সেরও পাঠদান চলছে। সময়ের সাথে সাথে অল্প কিছু পদ সৃষ্ট করা হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের অনাগ্রহের ফলে এনাম কমিটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের জন্য সুপারিশকৃত পদসমূহ এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেনী সরকারি কলেজে বর্তমানে ১৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্সসহ ১৬টি বিষয় চালু আছে। এছাড়াও রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক, মাস্টার্স, ডিগ্রি (পাস) কোর্স। ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর এই কলেজে ১৫ টি বিষয় ও আইসিটিসহ মোট ১৬টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ৭২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছে। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ছাড়া ১ জন শরীর শিক্ষা শিক্ষক ও সহকারী গ্রন্থগারিক কাম ক্যাটালগার রয়েছেন। এর মধ্যে আবার রসায়নবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যার কোনো প্রদর্শক নেই।
শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক(সম্মান),মাস্টার্স ও ডিগ্রি( পাস) কোর্সে পাঠদানের জন্য প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১ জন অধ্যাপক, ২ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৪ জন সহকারী অধ্যাপক ও ৫ জন প্রভাষকসহ মোট ১২ জন করে জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এনাম কমিটি। কিন্তু ফেনী কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ৭ জন ও অন্যান্য বিভাগগুলোতে ৪ থেকে ৬ জন করে শিক্ষক কর্মরত আছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশে জোর দেয়ার এ সময়ে কলেজে আইসিটির জন্য আছে মাত্র একজন প্রভাষক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফেনী কলেজের আইসিটি ছাড়া ১৫ টি বিভাগের জন্য ১২ জন করে ১৮০ জন শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু ফেনী কলেজে তার অর্ধেকেরও কম শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম চলছে। শিক্ষক সংকটের কারণে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়ে চালাতে হচ্ছে অনার্স-মাস্টার্সের মতো উচ্চশিক্ষা। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ব্যতিত অন্য কোনো বিভাগে অধ্যাপকের পদই সৃষ্টি হয়নি। এছাড়াও ১ জন করে সহযোগী অধ্যাপক পদ সৃষ্টি আছে যার মধ্যে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদ শূন্য এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানে এই পদ সৃষ্টি হয়নি। সহকারী অধ্যাপক পদে বাংলা, হিসাববিজ্ঞান ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ২ জনের পদ সৃষ্টি থাকলেও অন্যান্য বিভাগে রয়েছে ১ জন করে। প্রভাষক পদে কোন বিভাগে ৩ জন অথবা ২ জন করে পদ সৃষ্টি আছে। এর মধ্যে বাংলা বিভাগের ৩ জনের মধ্যে ২ জনের পদ শূন্য এবং প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে ২ জনের মধ্যে ১ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, কলেজে অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র দুইটি বিভাগে। যার ফলে অধ্যাপক পদে উন্নীত শিক্ষকরা নিজ পদে দায়িত্ব নিতে পারছেন না। অনেকে সংযুক্ত হিসেবেই আছেন। অন্যদিকে অধ্যাপক পদে উন্নীত শিক্ষকরা দায়িত্ব নিতে পারাতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে উন্নীত হয়েও দায়িত্ব নিতে পারছেন না অনেক শিক্ষক। যার অন্যতম বড় কারন পদ সৃষ্টি না হওয়া।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন বার্তা ২৪ কে বলেন, এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি বিভাগে ১২ জন করে থাকার কথা হলেও ফেনী কলেজে নেই। ১৭৪ জন পদ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা আছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে অতি শীঘ্রই তা সামাধান করা হবে।
তিনি বলেন, সকল কলেজেই এই সমস্যা আছে। পদ সৃষ্টি না হওয়াতে নিয়োগ সম্ভব হচ্ছেনা। তবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির দাবি রয়েছে পদ সৃষ্টি করা। এত বড় কলেজে স্বল্প শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করাতে শিক্ষকদের সমস্যা হয়। এখানে শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি পরীক্ষার হল ডিউটি, খাতা মূল্যায়নসহ অনেক কাজ থাকে। তবে শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
ফেনী কলেজে স্বল্প শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যহত হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১২০ থেকে ১২৫ জনের পদ সৃষ্টি হলে ফেনী কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদের ১০০ জনেরও অধিক শিক্ষকের ঘাটতি আছে। যার ফলে শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
শিক্ষক সংকট নিরসনের কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিমাসে এবং তিনমাসে পদ সংখ্যা কর্মরত সংখ্যা ও শূন্য কত সংখ্যা যে অনুযায়ী রিপোর্ট পাঠানো হয়। আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি বিষয়টি সামাধান করার জন্য কিন্তু এখনও হচ্ছেনা কারন দেশের সকল কলেজের চিত্রই একই।’
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ফেনী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম সরকার জানান,ফেনী কলেজের জন্য সর্বনিম্ন ১৫০ জন শিক্ষক প্রয়োজন। যেখানে দেশের অন্যান্য জেলা শহরের কলেজে ২৫০ জন পর্যন্ত শিক্ষক আছে তার তুলনায় ফেনী কলেজের শিক্ষক অতি নগণ্য।
তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে পদ সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির একটি কমিটিও মন্ত্রণালয়ে কাজ করছে। কিন্তু এটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি যার ফলে পদ সৃষ্টি হচ্ছেনা।
কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতিটি বিভাগে ১২জন করে শিক্ষকের পদ সৃষ্টির আবেদন করা আছে। মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানো আছে। সারাদেশে যেহেতু একই সমস্যা সে সূত্রে সারাদেশের সকল কলেজ একযোগে এ বিষয়ে দাবি জানানোর কথা কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন না হওয়াতে এখনও কোন অগ্রগতি হয়নি। এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের যেমন শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনায় সহজ হবে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা ও সুন্দরভাবে ক্লাস করতে পারবে।
কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নূরুল আজিম ভুঞা বলেন,অনার্স ও মাস্টার্স আছে এমন বিভাগে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১২ জন করে দরকার হলেও আছে ৪ থেকে ৫ জন করে। আমাদের পাশ্ববর্তী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ১৬ জন করে শিক্ষক আছে প্রতি বিভাগে। যেটি ফেনী কলেজে নেই। ইন্টারমিডিয়েট, মাস্টার্স, অনার্সের ৪টি বর্ষ, ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ৪ জন শিক্ষক দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং শিক্ষকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
উল্লেখ্য, কলেজে ডিগ্রির ৩টি, অনার্সের ৪টি, মাস্টার্সের ২টি, উচ্চ মাধ্যমিক ২টি বর্ষসহ মোট ১১টি শিক্ষাবর্ষ চলমান আছে। এতাগুলো শিক্ষাবর্ষকে ৭২ জন শিক্ষক দিয়ে চালানো অসম্ভব বলে মনে করছেন কলেজের শিক্ষকরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কলেজ প্রশাসন আগ্রহী হলে দূর হবে শিক্ষক সংকট
কলেজের একটি গোপন সূত্রে জানা যায়, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ উৎপল কান্তি বৈদ্য মন্ত্রণালয়ে জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন পদ সৃষ্টির জন্য। কিন্তু পরবর্তী কোনো অধ্যক্ষ সে চেষ্টা অব্যাহত না রাখার ফলে পদ সৃষ্টি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
কলেজে ১৫ টি বিভাগে অনার্স মাস্টার্স চালু থাকলেও শিক্ষকের পদ ডিগ্রী প্যার্টান অনুযায়ী চলছে। যার কারণে ১৮০ টি পদে শিক্ষক থাকার সুযোগ থাকলেও আছে মাত্র ৭২ জন। কলেজ প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা আগ্রহী হলে শিক্ষক সংকট দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ফেনী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম সরকার বলেন, ফেনী কলেজের শিক্ষক সংকট শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য চরম ক্ষতি। শিক্ষক না থাকাতে ক্লাস ই হচ্ছেনা। নামমাত্র ক্লাস হচ্ছে পরীক্ষা হচ্ছে। পদ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় ভাবে সংসদ সদস্য মহোদয়রা সহ কলেজ প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয় এই সমস্যা দ্রুত সামাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, বিসিএস শিক্ষা সমিতি কেন্দ্রীয় ভাবে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যা সামাধান হয়৷ এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ১২ জন করে প্রতিবিভাগে শিক্ষক যাতে নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে দেশের অনেক কলেজে একসাথে ৭০ টির বেশী পদ সৃষ্টির নজির আছে। সেক্ষেত্রে ফেনী কলেজের এই সমস্যা সামাধানে কলেজ প্রশাসনকে আগ্রহী হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রিতিনিধিরা চেষ্টা করলে এই সমস্যা সামাধান সম্ভব।
কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা বলছেন, কলেজের এই সমস্যা অনেক পুরাতন। আমরা যারা শিক্ষকরা আছি প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস নিতে পারিনা। যার কারনে কলেজে ক্লাস কম হচ্ছে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করি নিয়মিত ক্লাস নেয়ার। কিন্তু এই সমস্যা সামাধানের জন্য উদ্যোগ ভালোভাবে নিতে হবে।অন্যথায় ফেনী কলেজের সে সুনাম তা অক্ষুণ্ণ থাকবেনা।
শিক্ষক সংকট নিয়ে যা বলছেন শিক্ষার্থীরা
শিক্ষক সংকট সারা দেশের সমস্যা হলেও এর প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায়। ফেনী কলেজে ২৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে প্রতি বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স, ডিগ্রি মিলিয়ে নিয়মিত ১১ টি বর্ষ রয়েছে৷ এই বৃহৎ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক মাত্র ৭২ জন। যার কারণে কলেজে হয়না নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম। দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই কলেজে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
যার ফলে শিক্ষক সংকটের কারণে ক্লাস না হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতার মান খারাপ হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এ অবস্থায় নিয়মিত ছাত্ররাও ক্লাসে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্ররা কোচিং ও প্রাইভেটমুখী না হয়ে পারছে না। আবশ্যিক বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে একজন শিক্ষক থাকায় তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কলেজের অনার্সের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগে ৪ টি বর্ষ রয়েছে৷ করোনার কারণে সেশন জট ও রয়েছে। এতগুলো বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হয়না। প্রথম বর্ষে কিছুটা ক্লাস হলেও পরবর্তীতে আর নিয়মিত হয়না। পাশাপাশি নিয়ম নীতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক আছে ৪ জন। বর্ষ আছে ৪ টি, এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক আছে। এই অল্প শিক্ষক দিয়ে স্যারদের পক্ষেও ক্লাস নেয়া সম্ভব না। এতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক যে শিক্ষা তা কখনওই পরিপূর্ণ ভাবে পাইনা। পাশাপাশি আমরা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র আমাদের নিয়মিত ল্যাব ক্লাস হওয়ার কথা কিন্তু শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় ল্যাব করা হয় আমাদের। এতে আমরা হাতে কলমে কিছুই শিখতে পারিনা। শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব এই শিক্ষা দিয়ে।’
কলেজের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়মিত ক্লাস হলেও ডিগ্রী অনার্সে ক্লাস হয়না৷ আমরা শুধু পরীক্ষার সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি৷ এতে করে আমরা দেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশী পিছিয়ে পড়ছি৷ কলেজে ভর্তির পর থেকে শুনে আসছি শিক্ষক সংকট কিন্তু কলেজ প্রশাসনকে কখনও উদ্যোগ নিতে দেখিনা। এই কলেজে শিক্ষক সংকট সামাধান করা এখন সময়ের দাবি। যাতে আমাদের নিয়মিত ক্লাস হয় আমরা যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিতে যেতে পারি।’
এছাড়াও কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, অনার্স মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়মিত ক্লাস করানোর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান একাধিক শিক্ষার্থী।