বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়: শিক্ষার্থী ৮২ জন, শিক্ষক শূন্য



রেদওয়ান আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের বদলে দেওয়ার ঠিকানা বলা হয়ে থাকে-চট্টগ্রাম সরকারি বাক-শ্রবণ বিদ্যালয় এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের ছোঁয়ায় অনেক শিশুই নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই ফিরে এসেছে সমাজের মূলধারায়।

কিন্তু বাক-শ্রবণ বিদ্যালয়টি আজ যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। চার বছর ধরে কোনো শিক্ষকই নেই এই বিদ্যালয়টিতে। ফলে-আগামীতে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কোথায় পাবে জীবনের দিশা, সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।

চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরের অদূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি বাক-শ্রবণ বিদ্যালয় ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। ফিজিক্যাল হ্যান্ডিক্রাফ্ট ট্রেনিং (পি.এইচ.টি.) সেন্টার নামে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত এই দুই বিদ্যালয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুরা কম খরছে পড়াশোনার সুবিধা পায়। কিন্তু বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়টিতে কোনো শিক্ষক না থাকায় এখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের একজন ধর্মীয় শিক্ষক দিয়ে কোনোরকমে চলছে পাঠদান। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পড়ালেখা।


পিএইচটি সেন্টার, চট্টগ্রাম অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রাম সরকারি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে মোট ১০৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বছরের শুরুতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০-১২জন। এর মধ্যে আবাসিক ও অনাবাসিক মিলিয়ে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে রয়েছে ৮২ জন এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৫ জন। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে নেই একজন শিক্ষকও। তবে, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষকের অনুমোদন রয়েছে। আর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে রয়েছে ১০ জন শিক্ষকের অনুমোদন।

এই শিক্ষক শূন্যতার কারণে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা থেকে। কেননা, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি অন্যদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে গত প্রায় চার বছর ধরে কোনো শিক্ষক না থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তাদের পড়ালেখা। যদিও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগের ওই শিক্ষক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কোনোরকম চালিয়ে নিচ্ছেন পাঠদান কার্যক্রম।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগের ধর্মীয় শিক্ষক মনছুরুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। এরপর সাধারণ স্কুলে ভর্তি হতে হয়। মূলত চট্টগ্রামে এই বিদ্যালয়টি দুটি প্রতিবন্ধী শিশু কিশোরদের মধ্যে পড়ালেখার ভিত তৈরি করে দেয়। তবে, বর্তমানে কিছু সংকট রয়েছে এখানে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় শিক্ষক সংকট। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে ৩জন শিক্ষক থাকলেও বাক-শ্রবণে একজন শিক্ষকও নেই। যার কারণে বাধ্য হয়ে আমাকে অ্যাপের সাহায্যে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের পড়ানো আমার পক্ষে কঠিন। কেননা, তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শিক্ষক লাগে।

এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার বিষয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। শিক্ষক নেই, স্থায়ী শ্রেণিকক্ষ নেই, পর্যাপ্ত আবাসন নেই। তাদের এই দুরবস্থা সহজেই অনুমেয়। যার কারণে, অভিভাবকেরা তাদের এই বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভবিষ্যৎ পড়াশোনার চিন্তায় খুবই উদ্বিগ্ন। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের দাবি, বিদ্যালয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।

পিএইচটি সেন্টার, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ও স্কুলটির তত্ত্বাবধায়ক কামরুল পাশা ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রায় চার বছর ধরে স্কুলটিতে কোনো শিক্ষক নেই। সমাজসেবা অধিদপ্তরে আমরা শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এখনো কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। শিক্ষক না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে তারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের যেকোনো শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দেওয়া সম্ভব হয় না। তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন হয়। অতিসত্বর তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হলে তারা অনেক পিছিয়ে পড়বে।

প্রতিষ্ঠান দুটিতে কবে নাগাদ শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে জিজ্ঞেস করলে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটিতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ও নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন ওই সেন্টার সম্পর্কে। আশা করি, খুব শিগগিরই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা তাদের উপযুক্ত শিক্ষক পাবেন।

এ বিষয়ে জানতে পিএইচটি সেন্টারের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

   

উচ্চশিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ: ইউজিসি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উচ্চশিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ: ইউজিসি চেয়ারম্যান

উচ্চশিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ: ইউজিসি চেয়ারম্যান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উচ্চ শিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলা ও কারিকুলাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইউজিসি আয়োজিত 'উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সামাজিক রূপান্তর এবং সহযোগিতা' বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।

এসময় তিনি উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, সামাজিক রূপান্তরে সমাজের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতেও ডিজিটাইজেশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন বিষয় প্রবর্তনসহ কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুবিধার কাল অতিক্রম করছে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক বেশি। এ দক্ষ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তর করা দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।

সভায় জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. আলরিক কাচ, ইউনিভার্সিটির চেয়ার অব রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রফেসর ড. এখারড ক্রাফট, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড.বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ কমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ড. আলরিক কাচ তার বক্তব্যে সমাজের ইতিহাস, রাজনীতি, ইকোলজি, অর্থনীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করাকে উচ্চ শিক্ষা খাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো সামাজিক রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সমাজ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

প্রফেসর ড. এখারড ক্রাফট বলেন, বাংলাদেশে বাউহাউস ইউনিভার্সিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মোংলা পোর্ট, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মোংলা পোর্টের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে।

তিনি বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন।

সভায় আলোচনাকালে বক্তারা জানান, বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিস্তার নিশ্চিত করতে বিশ্বের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কারিকুলাম পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

তারা বলেন, উচ্চশিক্ষা খাতে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এবং অ্যাক্রিডিটেশন ব্যাপকভাবে প্রধান্য পাচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে যথার্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সামাজিক রূপান্তরের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সভায় ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বায়ো ম্যাটেরিয়ালস এর উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাউহাউস ইউনিভার্সিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

;

স্বাভাবিক হচ্ছে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান।

আগামী শনিবার (৪ মে) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আগামী শনিবার থেকে (৪ মে) দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।

এর আগে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর এবং গরমের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি মিলিয়ে মোট ১ মাস ৩ দিন পর গত রোববার খুলে দেশের শিক্ষাঙ্গন। একদিন খোলা রেখে সোমবার থেকে ফের বন্ধ হয় মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। সোমবার খোলা থাকে প্রাথমিক স্কুল। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উভয় স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষা ঘাটতি পূরণের জন্য আগামী ৪ মে থেকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাস চালু রাখা হবে।

;

গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৩৩.৯৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাস করেছেন ৫০ হাজার ৭৬০ জন। পাশের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে থেকে জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯১ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।

জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ, আগামী ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা ভোট: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষ ও ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষের আগামী ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ মে এবং ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ কারণে ওইদিনের পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে (ভাইস চ্যান্সেলর) পাঠিয়েছে ইসি।

ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

;