এসএসসি পরীক্ষা: পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসকে ইতিবাচক দেখছেন অভিভাবকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

করোনা পরবর্তীতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। তারা মনে করছেন পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা ইতিবাচক, এতে সন্তানরা পরিপূর্ণভাবে তাদের মেধাকে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। যদিও করোনাকালীন সময়ে অর্ধ সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় ছেলেমেয়েরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। তবে তা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।  

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, মহামারি করোনায় এলোমেলো হয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা আবার আগের রুপে ফিরবে বলে প্রত্যাশা তাদের। যেহেতু দীর্ঘদিন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উলটপালট হয়ে পড়ে পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচিও। তাই এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাদ দিয়ে পূর্ণ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা।

বিজ্ঞাপন

বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হলো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত সারাদেশের তিন হাজার ৭০০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছে প্রায় সোয়া ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। তবে গত বছরের চেয়ে এবার এসএসসিতে প্রায় অর্ধলাখ পরীক্ষার্থী কমেছে বলে জানা গেছে। আর বরাবরের মতো এবারও ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি।


মধ্য পীরেরবাগ আলীমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আখি মনির বাবা অপেক্ষা করছে্ন দারুসসালাম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মেয়ের সাথে কথা বলে তো মনে হচ্ছে মোটামুটি ভালো প্রস্তুতি আছে । তবে যেহেতু এবার পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে তাই একটু দুশ্চিন্তাও হচ্ছে। তবে এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। আজকে যেহেতু প্রথম দিন দেখা যাক মেয়ে বের হলে বলতে পারবো।'  

বিজ্ঞাপন

হজরত শাহ আলী মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সাউদিয়া খাতুন দিয়ার মা অপেক্ষা করছেন তার মেয়ের জন্যে। প্রথমদিন হওয়ার কারণে অনেক আগে থেকে এসে হাজির হয়েছেন কেন্দ্রের সামনে। পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় মেয়ে একটু ভয়ে আছে। যেহেতু মাঝখানে অর্ধ সিলেবাসে পরীক্ষা ছিল। তবে মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে তিনি আশাবাদী। মেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছে। রেজাল্ট ভালো করলে মেয়েকে বড় ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন তার। তবে পরীক্ষার দিনগুলোতে রাস্তায় জ্যাম হয় সেদিকে একটু নজর দেয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে কেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ সভাপতি জলিলুর রহমান জানান, ১৪ আসনের সংসদ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পক্ষ থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অভিভাবকদের জন্যে ছাউনি তৈরি করে চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। এবং তাদের আপ্যায়নের জন্যে পানি ও খেজুরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। 

এদিকে কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞায় পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।