পর্যবেক্ষকদের ‘ভুলে’ পরীক্ষা শুরু হলো দেরিতে, দাবির মুখে পুনরায় পরীক্ষা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই পর্যবেক্ষককে শোকজ

দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই পর্যবেক্ষককে শোকজ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছে ৪০ জন পরীক্ষার্থী। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে আধাঘণ্টা দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হলেও উত্তরপত্র নিয়ে নেওয়া হয় ঠিক সময়েই। এর ফলে ওই শিক্ষার্থীরা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। পরে এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আধাঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেন। দায়িত্ব অবহেলা করায় ওই কক্ষে দায়িত্ব পালন করা দুজন পর্যবেক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিন বাংলা প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র দেওয়া হয়। এটির জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ ছিল। বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হতেই পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা হয়। দুটি পরীক্ষার মাঝখানে কোনো বিরতি না থাকলেও কলেজিয়েট স্কুলের ওই কক্ষে দুজন পর্যবেক্ষক বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের রচনামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেননি। এভাবে এক-দু মিনিট করে গড়িয়ে যায় ৩২ মিনিট। শিক্ষার্থীরা বারবার তাদের কাছে জানতে চাইলেও তারা চুপ থাকেন। পরে পাশের আরেকটি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেখে বেলা ১১টা ২ মিনিটে শিক্ষার্থীদের রচনামূলক প্রশ্নপত্র সরবরাহ করলেও আবার ঠিক বেলা ১টায় উত্তরপত্র নিয়ে ফেলেন। আধাঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও ঠিক সময়ে নিয়ে ফেলায় অনেক শিক্ষার্থীই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।

পরে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে সবাই চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের দপ্তরে যান। প্রধান শিক্ষক ওই কক্ষে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করা একই স্কুলের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং আলকরণ নূর আহমদ সিটি কর্পোরেশন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমকে ডেকে পাঠান। তখন ওই দুই পর্যবেক্ষক আধাঘণ্টা দেরিতে রচনামূলকের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের আধাঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

জানতে চাইলে কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ১ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৩০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এত পরীক্ষার্থীর মধ্যেও অন্য কোনো কক্ষে সমস্যা হয়নি। শুধু একটি কক্ষে দুই পর্যবেক্ষকের ভুলে ৪০ জন পরীক্ষার্থীকে দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেই উদ্যোগ নিই। তাদের আধাঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দিই। তারা ঠিকঠাকভাবে পরীক্ষা শেষ করেন।’

দুই পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঠিক সময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছি, ঠিক সময়ে বেলও বাজানো হয়েছে। একই বেলে যদি পুরো কেন্দ্র চলে তাহলে একটি কক্ষে কেন সমস্যা হবে? ওই দুই শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব দেওয়ার পরপরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কেন দেরিতে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছেন সেটি জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ এবং রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা মনে করেছি রচনামূলক প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে ঘণ্টা দেওয়া হবে। সেটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। ঘণ্টা কেন পড়ছে না সেটি জানতে পাশের রুমে গিয়ে দেখি পরীক্ষা চলছে। তখন আমরা প্রশ্নপত্র দিয়ে দিই। আমরা জানতাম না যে মাঝখানে ঘণ্টা দেওয়া হয় না। এই কারণে প্রশ্নপত্র দিতে একটু দেরি হয়ে যায়।’

পুনরায় ৩০ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হলেও এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাদের অবস্থা দেখে অভিভাবকদের কেউ কেউ কান্নাকাটি করতে থাকেন।

আকতার হোসেন নামের একজন অভিভাবক বলেন, ‘এটা শিক্ষার্থীদের প্রথম পরীক্ষা ছিল। প্রথম দিনেই তারা এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হলো, যেটার আঘাত বাকি পরীক্ষাগুলোতেও পড়তে পারে। প্রধান শিক্ষক মহোদয় যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। পুরো ভুলটা মূলত দুই পর্যবেক্ষকের। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

ওই কক্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ২০ জন এবং মেরন সান স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী ছিল। অভিভাবকেরা জানিয়েছেন পরেরবার পরীক্ষা নেওয়ার সময় ৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। বাকি একজন চলে গিয়েছিল। তবে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

 

 

   

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর। ওই শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ পছন্দ করেছিল সেগুলোতে আসন খালি না থাকায় প্রথম পর্যায়ে তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ধাপে সংশোধন করে আবেদন করলে তারাও পাবে কলেজ, পাবে একাদশে ভর্তির সুযোগ।

রোববার (২৩ জুন) রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলে দেখা গেছে সারাদেশে সাড়ে ৮ হাজার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। সেই তাদের মধ্যে আছে চট্টগ্রামের এই ৪০৮ শিক্ষার্থীও। মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষাবোর্ড। চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর কলেজ জোটেনি।

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক অতি আত্মবিশ্বাস থেকে ৪-৫টি কলেজ দিয়েই আর দেন না। তখন দেখা যায় সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এই ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক।

তিনি বলেন, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫-৬টির বেশি কলেজ দেয় না। তাদের ধারণা থাকে ৫-৬টি কলেজে আবেদন করলে তাদের নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করেছে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো বেশি ছিল। সে কারণে যারা ৫-৬টি কলেজের বেশি পছন্দ দেয়নি, তাদের একটিতেও সুযোগ হয়নি। কিন্তু দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয়তো হতো না।

জাহেদুল হক বলেন, একাদশে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আমরাও বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই তা করেননি।

তবে এসব শিক্ষার্থীর কলেজ পাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক আরও বলেন, যারা প্রথম ধাপে মনোনীত হয়নি তারা ভর্তি হতে পারবে। কারণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মোট আসন সংখ্যার তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা কম। যার কারণে সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামে আসন সংকট হবে না। তবে তারা যে কলেজে ভর্তি হতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেটি হয়তো পাবে না। যারা প্রথম তালিকায় মনোনয়ন পায়নি, তাদের পরবর্তী তালিকায় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের সময় পছন্দ সংশোধন করতে হবে।

এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুন এবং শেষ হবে ২ জুলাই। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই রাত ৮টায়। সেদিনই প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অবশ্য তৃতীয় ধাপেও আবেদনের সুযোগ থাকছে। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৯ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ জুলাই। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ ১২ জুলাই রাত ৮টায়। আর ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই এবং শেষ হবে ২৫ জুলাই। আর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মোট পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। তবে চট্টগ্রামের ২৮৫টি সরকারি-বেসরকারি কলেজে আসন রয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ফাঁকা থাকবে প্রায় ৪৬ হাজার আসন।

;

প্রথম ধাপে কলেজ পাননি ৪৭ হাজারের‌ বেশি শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইন আবেদনে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও কলেজ পায়নি। এদিকে, জিপিএ ফাইভ পেয়েও কলেজ পায়নি ৭ হাজার ৫৯৯ জন। এছাড়া দেশের ২২০টি কলেজে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও আবেদন করেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবেদনের সময় কম কলেজ নির্বাচন করা এবং ফলাফল অনুযায়ী প্রত্যাশিত কলেজ নির্বাচন না করায় এমন হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) রাতে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানা যায়, ফলাফলে দেখা গেছে গত ২৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত একাদশে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো পছন্দের কলেজ পাননি। কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। আর একজন শিক্ষার্থীও পায়নি এমন কলেজের সংখ্যা ২২০টি।

যে কারণে কলেজ পাননি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা-

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষার্থী ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ঠিক একই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নজর ছিল দেশের ভালো কলেজগুলোর দিকে। তারা হাতেগোনা কয়েকটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। যেখানে সবার আকর্ষণ বেশি। এজন্য সেখানে প্রতিযোগিতাও বেশি ছিল। আর সেসব কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই কেবল চান্স (সুযোগ) পান। অনেক সময় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে নম্বরের হিসাবে সামনের কয়েকজন সুযোগ পান। আর জিপিএ-৫ পেয়েও নম্বর কম থাকায় অনেকে বাদ পড়েছে।

তিনি আবারও বলেন, কলেজ পছন্দের সময় সব ভালো মানের কলেজকে পছন্দ দিয়েছেন যেমন শিক্ষার্থীরা, তেমনি তাদের উচিত ছিল তার প্রাপ্ত নম্বরের দিকে নজর রেখে কলেজ পছন্দ দেয়া।

কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বর্তমানে করণীয়-

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করেন। তবে কলেজ আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবেন।

এদিকে প্রথম ধাপে আবেদন করে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমেই তাদেরকে ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ‘ফি ‘ পরিশোধ করতে কারও অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়েও নিশ্চায়ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

কেউ যদি প্রথম ধাপে কাঙ্ক্ষিত কলেজ না পান, সেক্ষেত্রেও তাকে প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। ২৯ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে পারবেন। এরপর তিনি মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন। ৪ জুলাই পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে আবেদন ও ফল-

৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছর সব শিক্ষা বোর্ড (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) মিলিয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। সব মিলিয়ে এবার প্রায় ১০ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।

;

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) রাত আটটায় একাদশ শ্রেণীর ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে (https://xiclassadmission.gov.bd) এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও ভর্তিচ্ছুদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে এ ফল পাঠানো হচ্ছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তা মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভর্তির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী পরর্বতী কার্যক্রম শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী-প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন ধরে চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ভালো কলেজ পাওয়ার প্রত্যাশায় আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গত ১৩ জুন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঈদের ছুটির কারণে ফল প্রকাশ পিছিয়ে যায়।

;

রাত ৮টার অপেক্ষায় সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত ৮টার অপেক্ষায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।

রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় প্রথম ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, তিনি কোন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র ও একাদশে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে রোববার ফল প্রকাশের বিষয়টি জানা যায়।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী-প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন ধরে চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ভালো কলেজ পাওয়ার প্রত্যাশায় আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গত ১৩ জুন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঈদের ছুটির কারণে ফল প্রকাশ পিছিয়ে যায়।

;