জমকালো আয়োজনে শেষ হলো স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিশাল শিক্ষার্থী জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণ করতে 'স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো' একটি প্রধান আয়োজন। এ বছর অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশনস অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ভারতীয় শিক্ষার জনপ্রিয় প্রদর্শনী নিয়ে জমকালো আয়োজনে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো। এবারের মেলাটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় বোর্ডিং স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির জন্য সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপি এই এক্সপোটি শেষ হয়েছে আজ।

এক্সপোটি এক ছাদের নীচে ভারতের ৩০টির ও বেশী সেরা বোর্ডিং স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধানদের সাথে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের যোগাযোগ করা এবং ভর্তি হওয়া সহজ করে তোলে। এক্সপোটি শুধু ঢাকার শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও সুযোগ এনে দিয়েছে। এছাড়াও, এক্সপোটি শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অন-স্পট আবেদন করার এবং ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মেধা-ভিত্তিক বৃত্তি অর্জন করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো এক ছাদের নীচে ভারতের শীর্ষস্থানীয় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ২০০টির অধিক বিভিন্ন বিষয়ের কোর্স প্রদর্শন করবে, যার মধ্যে অনেকগুলি NAAC-স্বীকৃত এবং NIRF- রেটিংযুক্ত। এই কোর্সগুলিতে Al. মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, ক্লাউড-কম্পিউটিং, AR, VR এবং আরও অনেক নতুন যুগের কোর্সের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, ফার্মেসি, বিসনেস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় কোর্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান এবং ভর্তি টিম উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে সরাসরি আলাপ করে মূল্যবান মতামত প্রদান করবেন, অন- স্পট কাউন্সেলিং করবেন এবং তাদের একাডেমিক এবং পেশাদার ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ বেছে নিতে তাদের গাইড করবেন।

এক্সপোতে চারটি বোর্ড (Cambridge, IB, CBSE এবং ICSE) এর অধিন ঐতিহ্যবাহী এবং নতুন যুগের স্কুল সহ ১০টির ও বেশী ভারতের প্রধান শহরগুলির সেরা বোর্ডিং স্কুলগুলিও প্রদর্শিত হবে, যা সাশ্রয়ী মূল্যের ফি রেঞ্জে বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানরা এবং এডমিশন টিম ক্যাম্পাস, কোর্স, অনুষদ, ফি, বৃত্তি এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ভেন্যুতে উপস্থিত থাকবেন।

বিশেষজ্ঞ ক্যারিয়ার কাউন্সেলররাও শিক্ষার্থীদের সঠিক কোর্স বাছাই করতে এবং ভর্তি সম্পর্কিত আপডেট এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে গাইড করার জন্য ভেন্যুতে উপস্থিত থাকবেন। অন-স্পট মূল্যায়ন এবং অন-স্পট অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত এবং সহজ করে তোলে।

   

তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, গরম বেশি মানেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে; এটার কোনো মানে নেই। তবে কোনো জেলায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা উঠে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারনা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে, এবিষয়ে মন্ত্রণালয় পরে সিদ্ধান্ত নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কোনো জেলায় যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা যায়, সেখানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আছেন, তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনা করে সেই জায়গার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ও পাঠদানের সময়ও পরিবর্তন করতে পারেন।

এর আগে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এনএসডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান।

;

তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে খুলছে স্কুল-কলেজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। রোজা, ঈদ এবং তাপপ্রবাহে সব মিলিয়ে টানা ৩২ দিনের লম্বা ছুটি শেষে ফের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

বন্ধের কারণে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পোষাতে আগামী সপ্তাহ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

রাজধানীসহ সারা দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাপদাহ উপেক্ষা করে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে শুরু করেছে। শিশু শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দশনায় তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেমব্লি বন্ধ থাকবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

 

;

রোববার থেকে শুরু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস যথারীতি চলবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সারা দেশের কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এদিকে রোববার খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহে বিশেষ ব্যবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা নেয়া হবে।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি।

এ বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী শনিবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলবে। 

এছাড়া আগামী ৩ মে মানবিক শাখাভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এবার বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন। 

;