সারাবিশ্বে স্কিল্ড প্রফেশনালসদের ঘাটতি, আমাদের সুযোগ: শিক্ষামন্ত্রী
সারা বিশ্বে স্কিল্ড প্রফেশনালসদের একটা ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপে প্রায় ৩০ মিলিয়ন স্কিল্ড প্রফেশনালসের ঘাটতি হবে। জাপান, নর্থ আমেরিকাতেও ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রোববার (১০ মার্চ) বিকালে সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১১ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দেশে বসে বিশ্ব বাজার থেকে অনেক ধরনের কাজ আমাদের দেশেও আসছে। কিন্তু ভাষাগত বা কম্পিটেন্সির জায়গায় যথাযথ সার্টিফিকেশন না নেয়ার কারণে আমরা অনেক কাজ পাচ্ছি না। তাই নতুন প্রজন্মের সন্তানদের বলবো, আমাদের নিজস্ব যে ঐতিহ্য, নিজস্ব ভাষাবোধ, নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেই বাংলাদেশ, সেই মূল্যবোধের জায়গাতে অবশ্যই আমরা আত্মবিশ্বাসী হব। সেটা আমাদের নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করব। এবং পাশাপাশি দক্ষতার জায়গায় বিশ্ব নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারি।
সামনে আমাদের যে বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, শিল্পায়ন হচ্ছে, নির্মল একটা বিপ্লব আমরা প্রত্যাশা করছি, কৃষি অর্থনীতিতে একটা মহা বিপ্লব ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে। সেখানে যেন আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশের কারিকুলাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন যে আমাদের কারিকুলাম আসছে, সেখানে আমরা অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষা এবং লাইফ স্কিল বা জীবনের সাথে সম্পর্ক যেসমস্ত দক্ষতার ওপরে জোর দেয়ার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
‘আমরা যাতে সকলেই মাথায় রাখি, এই শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে আমাকে অবশ্যই কর্মসংস্থানের উপযোগী হতে হবে। সেই লক্ষে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ফলাফলের দিকে জোর না দিয়ে ভোকেশন এবং প্রফেশনাল এডুকেশন নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা যাতে মনোযোগী হই।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। আরও উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান ও বিভিন্ন অনুষদের ডিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তনে ৬ হাজার ২৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।