মাধ্যমিকে কমেছে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী, বেড়েছে মাদরাসায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাধ্যমিকে কমেছে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী, বেড়েছে মাদরাসায়

মাধ্যমিকে কমেছে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী, বেড়েছে মাদরাসায়

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারীর পর থেকেই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো'র (ব্যানবেইস) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বর্তমানে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। এর আগে ২০১৯ সালে সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসেবে গত চার বছরে শিক্ষার এই স্তরে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।  

শিক্ষার্থীর কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যানবেইস ২০২৩ এর এক খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

ব্যানবেইস বলছে, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসে নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দপ্তর কাজ করতে পারে।

সংস্থাটির তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়ার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ে। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

   

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহে বিশেষ ব্যবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা নেয়া হবে।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি।

এ বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী শনিবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলবে। 

এছাড়া আগামী ৩ মে মানবিক শাখাভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এবার বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন। 

;

৪৬তম বিসিএসের প্রিলি আজ, মানতে হবে যত নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

সাংবিধানিক এই সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইলফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইলফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধসামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইলফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার, শনিবারও চলবে ক্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণি কক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

 

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের বিষয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস করা যাবে। কিন্তু অনেক স্কুলের সেই সুযোগ নেই। ফলে সবকিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এর আগে ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ ফের বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

;