একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) সকাল ৮টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। অনলাইনে ভর্তির এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির কাজটি হয়। আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অবশ্য ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।

অনলাইনে আবেদন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন না। এবার আবেদন ফি ১৫০ টাকা। এই আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

মেধা কোটা কত

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।

গ্রুপ নির্বাচন পদ্ধতি

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবেন। একইভাবে ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা শুধু ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ছাড়া যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবেন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনে গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন, ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও ভর্তির সিডিউল

প্রথম ধাপ: এ ধাপে আবেদন শুরু হবে ২৬ মে, চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। ১২-১৩ আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি এবং পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। একই সময়ে (১২-১৩ জুন) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত হওয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৪-১৮ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।

২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম ধাপে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ২৩ জুন ফল প্রকাশের পর থেকে ২৯ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে হবে। ৪ জুলাই পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: ৩০ জুন শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন। এ ধাপে আবেদন চলবে ২ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৫ থেকে ৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে। ১২ জুলাই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।

তৃতীয় ধাপ: ৯-১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে। ১২ জুলাই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ এবং ১৩-১৪ জুলাই তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন করতে হবে।

ভর্তি: ১৫ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। এরপর ৩০ জুলাই অনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮৫০০ টাকা

এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।

ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।

অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।

ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা

২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

একাদশ শ্রেণিতে আসন কত

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন।দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট আসন প্রায় ৩৪ লাখ। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ফাঁকা থাকবে অর্ধেকের বেশি আসন।

ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

   

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর। ওই শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ পছন্দ করেছিল সেগুলোতে আসন খালি না থাকায় প্রথম পর্যায়ে তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ধাপে সংশোধন করে আবেদন করলে তারাও পাবে কলেজ, পাবে একাদশে ভর্তির সুযোগ।

রোববার (২৩ জুন) রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলে দেখা গেছে সারাদেশে সাড়ে ৮ হাজার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। সেই তাদের মধ্যে আছে চট্টগ্রামের এই ৪০৮ শিক্ষার্থীও। মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষাবোর্ড। চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর কলেজ জোটেনি।

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক অতি আত্মবিশ্বাস থেকে ৪-৫টি কলেজ দিয়েই আর দেন না। তখন দেখা যায় সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এই ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক।

তিনি বলেন, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫-৬টির বেশি কলেজ দেয় না। তাদের ধারণা থাকে ৫-৬টি কলেজে আবেদন করলে তাদের নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করেছে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো বেশি ছিল। সে কারণে যারা ৫-৬টি কলেজের বেশি পছন্দ দেয়নি, তাদের একটিতেও সুযোগ হয়নি। কিন্তু দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয়তো হতো না।

জাহেদুল হক বলেন, একাদশে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আমরাও বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই তা করেননি।

তবে এসব শিক্ষার্থীর কলেজ পাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক আরও বলেন, যারা প্রথম ধাপে মনোনীত হয়নি তারা ভর্তি হতে পারবে। কারণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মোট আসন সংখ্যার তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা কম। যার কারণে সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামে আসন সংকট হবে না। তবে তারা যে কলেজে ভর্তি হতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেটি হয়তো পাবে না। যারা প্রথম তালিকায় মনোনয়ন পায়নি, তাদের পরবর্তী তালিকায় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের সময় পছন্দ সংশোধন করতে হবে।

এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুন এবং শেষ হবে ২ জুলাই। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই রাত ৮টায়। সেদিনই প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অবশ্য তৃতীয় ধাপেও আবেদনের সুযোগ থাকছে। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৯ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ জুলাই। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ ১২ জুলাই রাত ৮টায়। আর ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই এবং শেষ হবে ২৫ জুলাই। আর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মোট পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। তবে চট্টগ্রামের ২৮৫টি সরকারি-বেসরকারি কলেজে আসন রয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ফাঁকা থাকবে প্রায় ৪৬ হাজার আসন।

;

প্রথম ধাপে কলেজ পাননি ৪৭ হাজারের‌ বেশি শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইন আবেদনে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও কলেজ পায়নি। এদিকে, জিপিএ ফাইভ পেয়েও কলেজ পায়নি ৭ হাজার ৫৯৯ জন। এছাড়া দেশের ২২০টি কলেজে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও আবেদন করেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবেদনের সময় কম কলেজ নির্বাচন করা এবং ফলাফল অনুযায়ী প্রত্যাশিত কলেজ নির্বাচন না করায় এমন হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) রাতে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানা যায়, ফলাফলে দেখা গেছে গত ২৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত একাদশে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো পছন্দের কলেজ পাননি। কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। আর একজন শিক্ষার্থীও পায়নি এমন কলেজের সংখ্যা ২২০টি।

যে কারণে কলেজ পাননি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা-

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষার্থী ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ঠিক একই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নজর ছিল দেশের ভালো কলেজগুলোর দিকে। তারা হাতেগোনা কয়েকটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। যেখানে সবার আকর্ষণ বেশি। এজন্য সেখানে প্রতিযোগিতাও বেশি ছিল। আর সেসব কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই কেবল চান্স (সুযোগ) পান। অনেক সময় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে নম্বরের হিসাবে সামনের কয়েকজন সুযোগ পান। আর জিপিএ-৫ পেয়েও নম্বর কম থাকায় অনেকে বাদ পড়েছে।

তিনি আবারও বলেন, কলেজ পছন্দের সময় সব ভালো মানের কলেজকে পছন্দ দিয়েছেন যেমন শিক্ষার্থীরা, তেমনি তাদের উচিত ছিল তার প্রাপ্ত নম্বরের দিকে নজর রেখে কলেজ পছন্দ দেয়া।

কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বর্তমানে করণীয়-

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করেন। তবে কলেজ আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবেন।

এদিকে প্রথম ধাপে আবেদন করে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমেই তাদেরকে ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ‘ফি ‘ পরিশোধ করতে কারও অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়েও নিশ্চায়ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

কেউ যদি প্রথম ধাপে কাঙ্ক্ষিত কলেজ না পান, সেক্ষেত্রেও তাকে প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। ২৯ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে পারবেন। এরপর তিনি মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন। ৪ জুলাই পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে আবেদন ও ফল-

৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছর সব শিক্ষা বোর্ড (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) মিলিয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। সব মিলিয়ে এবার প্রায় ১০ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।

;

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) রাত আটটায় একাদশ শ্রেণীর ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে (https://xiclassadmission.gov.bd) এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও ভর্তিচ্ছুদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে এ ফল পাঠানো হচ্ছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তা মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভর্তির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী পরর্বতী কার্যক্রম শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী-প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন ধরে চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ভালো কলেজ পাওয়ার প্রত্যাশায় আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গত ১৩ জুন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঈদের ছুটির কারণে ফল প্রকাশ পিছিয়ে যায়।

;

রাত ৮টার অপেক্ষায় সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত ৮টার অপেক্ষায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।

রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় প্রথম ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, তিনি কোন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র ও একাদশে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে রোববার ফল প্রকাশের বিষয়টি জানা যায়।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী-প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন ধরে চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে ভালো কলেজ পাওয়ার প্রত্যাশায় আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গত ১৩ জুন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও ঈদের ছুটির কারণে ফল প্রকাশ পিছিয়ে যায়।

;