স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভারত থেকে বিশ্বমানের ডিগ্রির স্বপ্নপূরণ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো, ছবি: সংগৃহীত

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিশাল শিক্ষার্থী জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের সেরা আয়োজন ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’।

ভারতের শীর্ষ সারির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির দুয়ার খুলে দিতে, অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এ বছরও পুনরায় ভারতীয় শিক্ষা নিয়ে তাদের জনপ্রিয় মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে চার বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে।

এ বছর মেলা অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ে ৪ ও ৫ জুন ২০২৪, ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ৭ ও ৮ জুন, খুলনার সিটি ইনে ১০ জুন এবং রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভারভিউ হোটেলে ১২ জুন ২০২৪।

মেলায় একই ছাদের নিচে আসবে ভারতের ৩০টিরও বেশি শ্রেষ্ঠ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

এর ফলে ভর্তি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুখোমুখি আলাপ এবং সব দ্বিধা দূর করা সহজ হবে। এই মেলা সারা বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ করে দেবে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ও কথা বলার এবং তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

এ ছাড়া এই মেলা শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অনস্পট আবেদন করার এবং মেধার ভিত্তিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়ার অনন্য সুযোগ করে দেবে।

স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো এক ছাদের নিচে ভারতের নেতৃস্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুই শতাধিক কোর্স অফার করবে, যার অনেকগুলো NAAC-স্বীকৃত এবং NIRF ও QS-রেটপ্রাপ্ত। এসব কোর্সের মধ্যে আছে প্রচলিত জনপ্রিয় কোর্স যেমন- ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, সায়েন্স, ফার্মেসি, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। পাশাপাশি আছে নতুন যুগের কোর্স যেমন AI, ML, রোবটিক্স, ক্লাউড-কম্পিউটিং, AR, VR এবং আরও অনেক কিছু।

এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও এডমিশন টিম আগ্রহী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরবেন, পরামর্শ জানাবেন এবং তাদের শিক্ষা ও পেশাগত ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ বাছাইয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।

অনুষ্ঠানস্থলে পেশাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতারাও উপস্থিত থাকবেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঠিক কোর্স বাছাইয়ে নির্দেশনা দেবেন এবং ভর্তি বিষয়ে পরিপূর্ণ ও সঠিক তথ্য জানাবেন। মেলায় অনস্পট মূল্যায়ন ও আবেদনের ফলে ভর্তি কার্যক্রম হবে দ্রুত ও সহজ।

অ্যাফেয়ার্স স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো-২০২৪ আয়োজনে অনেক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান উপস্থিত থাকবে। যেমন- বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি বারাণসী, ভেল্লোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ভিআইটি), এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চেন্নাই, কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি, (কেআইআইটি) ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত ভুবনেশ্বর, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি পাঞ্জাব, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, এনআইটিটিই (ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত) মাঙ্গলুরু, সপ্তগিরি এনপিএস ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, অ্যালায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, আইইএম-ইউইএম গ্রুপ কলকাতা।

অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব বোলিয়া বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতে বিদ্যমান বিশাল ও বিবিধ উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করতে অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত স্টাডি ইন ইন্ডিয়া শুধুমাত্র একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে না। এই মেলা শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ শিক্ষা, একাডেমিক অংশীদারত্ব এবং ভারতে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করে তুলবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সঠিক উৎস থেকে সব নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করে ভর্তি প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও স্বচ্ছ করা।

ভারতে উচ্চশিক্ষার সেরা সুযোগগুলো এক ছাদের নিচে খুঁজে দেখতে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এমনকি কর্মরত পেশাজীবীরাও অংশ নিতে পারবেন। আবেদন করুন এবং পেয়ে যান চমকপ্রদ বৃত্তি।

মেলায় প্রবেশ মূল্য ফ্রি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নিবন্ধন করতে পারেন এখানে https://studyinindiaexpo.com/bangladesh/
studyinindiaexpo.com

   

ইউজিসির বাজেট: কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত পাচ্ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উন্নয়ন ও পরিচালন বাবদ মোট ১১ হাজার ৬৯০ কোটি ৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (১২ জুন) ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ১৬৭তম পূর্ণ কমিশন সভায় এই বাজেট অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া সভায় ইউজিসির ৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার (নিজস্ব আয়সহ) বাজেট অনুমোদন করা হয়।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ১১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার মধ্যে পরিচালন বাজেট ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা, যেখানে সরকারি বরাদ্দ ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব আয় ১ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এ ছাড়া উন্নয়ন বাজেট রয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা।

ইউজিসির সভায় জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল বাজেটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারের অনুদান হিসেবে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব আয় ধরা হয় ১ হাজার ২৭২ কোটি ৫৩ কোটি টাকা। পূর্ণ কমিশন সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গবেষণা খাতে ১৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ইউজিসি থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিদেশে পিএইচডি স্কলারশিপের জন্য ১০ কোটি টাকাসহ গবেষণা খাতে ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি।

কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত বরাদ্দ পেল

আসন্ন অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় বরাদ্দপ্রাপ্তির শীর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বরাদ্দ পাচ্ছে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গবেষণা খাতেও ঢাবিকে সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বরাদ্দ পাচ্ছে নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় এক টাকাও বরাদ্দ পাচ্ছে না।

বাজেট বরাদ্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী অর্থবছরের বাজেটের পরিমাণ ৪৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টি পাচ্ছে ১৪ কোটি টাকা। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাবে ৩৯৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা, আর গবেষণায় বরাদ্দ পাচ্ছে ১২ কোটি টাকা। চতুর্থ অবস্থানে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাবে ২৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণায় পাবে ৭ কোটি ২০ লাখ।

অন্যান্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৭৩ কোটি ৫ লাখ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৬৯ কোটি ২১ লাখ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৫৪ কোটি ৯৪ লাখ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৫ কোটি ৫২ লাখ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬১ কোটি ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৭১ কোটি ৪৪লাখ টাকা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ৪৯ কোটি ২৬ লাখ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ কোটি ৩ লাখ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ৭ কোটি ৪০ লাখ, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ১০ কোটি ৩০ লাখ, নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি ৯৫ লাখ এবং মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বাজেট পাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৮ কোটি ৫০ লাখ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ কোটি ৭৮ লাখ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১০২ কোটি ৬৮ লাখ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৬ কোটি ৫২ লাখ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ কোটি ৭৮ লাখ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫২ কোটি ৫৮ লাখ, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৮ কোটি ৫০ লাখ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯ কোটি ৫৬ লাখ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২১ কোটি ৫৫ লাখ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

কৃষিবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪৫ কোটি ৯৮ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ কোটি ৭১ লাখ, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা পাচ্ছে।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২২৯ কোটি ৩০ লাখ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ৮৩ কোটি ৪২ লাখ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ১০০ কোটি ১৭ লাখ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১১৬ কোটি ৮৯ লাখ এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ৮৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

চিকিৎসাবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ১৬১ কোটি ৬৪ লাখ এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৪ কোটি ১ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে। বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ৬০ কোটি ৮৮ লাখ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ৪১ কোটি ১১ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ১৬ কোটি ২১ লাখ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা।

;

ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করে ৮ হাজার ৮৭৫ জন পরীক্ষার্থীর ফলে পরিবর্তন এসেছে। ফলে তারা এখন নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত কলেজে আবেদন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত পোর্টালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানায়, কলেজ ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন যেহেতু চলমান, তাই পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে, তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। আর যেসব শিক্ষার্থী আগের গ্রেডে বা নম্বরের কারণে কাঙ্ক্ষিত কলেজের জন্য আবেদন করতে পারেননি, কিন্তু পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হয়েছে এখন তারা কাঙ্ক্ষিত কলেজে আবেদন করতে পারবেন। এসব শিক্ষার্থী চাইলে আবেদন এডিট করে সেই সুযোগ নিতে পারবেন।

ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ২২৪ জন। আর আগের ফলাফলে অনুত্তীর্ণ থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ জন। আগের ফলাফলে অনুত্তীর্ণ থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা চ্যালেঞ্জ করে পাস করেছেন ১ হাজার ১১০ শিক্ষার্থী।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শেষ হচ্ছে। ভর্তিচ্ছুকরা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

এবার কলেজে আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী যত কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

;

ঈদের ছুটিতে প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস: এনসিটিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন। এরই ধারাবাহিকতায় কতটুকু শিখন কার্যক্রমের ওপর এর মূল্যায়ন নেওয়া হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

এনসিটিবি জানিয়েছে, ঈদের আগে যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত অংশের শিখন কার্যক্রম শেষ না হয়, প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস নিবে।

রোববার (৯ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্দেশে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনসিটিবি’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি সারাদেশ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে এনসিটিবি। এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য নিয়ে একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তাতে ষান্মাসিক মূল্যায়নে বইয়ের শুরু থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ১২ জুন বুধবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে। এরপর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে। ঈদের ছুটির আগেই সিলেবাসের অবশিষ্ট সিলেবাস সম্পন্ন করতে সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য বিকল্প উপায় অবলম্বন করতে নির্দেশনা দিয়েছে এনসিটিবি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে। কোন দল গত কাজ এখন তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে গত কাজের বিষয়ে দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশেপাশের থেকে ভিডিও দেখে ডকুমেন্ট দেখে বা অন্য করা সাহায্যে করা যেতে পারে। কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিবে তার ধারণা আমাদের সময় ধারণ করে দেওয়ার বিষয়েও শিক্ষকদের দেওয়া হয়, এছাড়া অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপ, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে করা কাজ শিক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফিডব্যাক দেবেন।

তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগেই ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের করণীয় অভিজ্ঞতার ধাপগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতেও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;

এবার মাউশি থেকে বদলি হলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত ডিজি শাহেদুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও শিক্ষা বিভাগ (মাউশি) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও (কলেজ প্রশাসন) শাখার পরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে এবার বদলি করা হয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপককে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ ২ এর উপ-সচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

এর আগে, শাহেদুল খবিরের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল বার্তা২৪.কম। মাউশির মহাপরিচালক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

একই আদেশে মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক করা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ এ বি এম রেজাউল করীমকে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১০ জুন তারিখের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

;