ঈদের ছুটিতে প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস: এনসিটিবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন। এরই ধারাবাহিকতায় কতটুকু শিখন কার্যক্রমের ওপর এর মূল্যায়ন নেওয়া হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

এনসিটিবি জানিয়েছে, ঈদের আগে যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত অংশের শিখন কার্যক্রম শেষ না হয়, প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস নিবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৯ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্দেশে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এনসিটিবি’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি সারাদেশ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে এনসিটিবি। এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য নিয়ে একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তাতে ষান্মাসিক মূল্যায়নে বইয়ের শুরু থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ১২ জুন বুধবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে। এরপর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে। ঈদের ছুটির আগেই সিলেবাসের অবশিষ্ট সিলেবাস সম্পন্ন করতে সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য বিকল্প উপায় অবলম্বন করতে নির্দেশনা দিয়েছে এনসিটিবি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে। কোন দল গত কাজ এখন তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে গত কাজের বিষয়ে দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশেপাশের থেকে ভিডিও দেখে ডকুমেন্ট দেখে বা অন্য করা সাহায্যে করা যেতে পারে। কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিবে তার ধারণা আমাদের সময় ধারণ করে দেওয়ার বিষয়েও শিক্ষকদের দেওয়া হয়, এছাড়া অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপ, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে করা কাজ শিক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফিডব্যাক দেবেন।

তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগেই ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের করণীয় অভিজ্ঞতার ধাপগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতেও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।