এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে না: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ জুন

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে পরীক্ষা পেছাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের এ দাবি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

বুধবার (২৬ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তাদের দাবি ভিত্তিহীন, এটা মানার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রতি বছর কতিপয় শিক্ষার্থী এই ধরনের আন্দোলন করে থাকে।

তিনি বলেন, এ সময় শিক্ষার্থীদের অযথা সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া দরকার।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ জুন) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই স্মারকলিপি জমা দেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পত্রের মাধ্যমে আমাদের দাবির সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছি এবং আপনার সদয় বিবেচনা কামনা করছি।

সিলেট ছাড়া বাকি সব বোর্ডেই নির্ধারিত সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছি। সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অন্যান্য এলাকায় কিছুদিন পর অনেক বৃষ্টি হবে। আমরা যদি বিলম্ব করি তাহলে সেখানে পরীক্ষা নিতে পারব না।

উল্লেখ্য, বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে তা স্থগিত থাকছে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (৩০ জুন)। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন দেশের ৬০ জেলায় একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র সিলেট বিভাগের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে ৮ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। ৯ জুলাই থেকে প্রকাশিত সময়সূচি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সময়সূচি অনুযায়ী—প্রথম দিনে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোতে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসির (বিএম/বিএমটি) বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা হবে। সব বোর্ডের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হবে, যা শেষ হবে দুপুর ১টায়।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট অঞ্চলের চারটি জেলার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ৯ জুলাই থেকে এসব জেলায় পূর্বঘোষিত সময়সূচি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি পরবর্তীতে প্রকাশ করবে স্ব স্ব বোর্ড।

চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ লাখ ৪৪৮ জন।

এবার সারা দেশে মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি। এছাড়া বিদেশের আটটি কেন্দ্রে মোট ২৮১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের পুনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ একটি রেজিস্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যেমন– পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

অন্যদিকে, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীর জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট পাবেন।

;

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রোববার)। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহনের লক্ষ্যে আজ ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।

এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।

এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি। গতবছরের তুলনায় ২০২৪ সালে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।

;

শনিবার থেকে ৪৪ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শনিবার থেকে ৪৪ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

শনিবার থেকে ৪৪ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী রোববার (৩০ জুন) শুরু হচ্ছে। এই পরীক্ষাকে নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু করতে আগামীকাল ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৪ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে আইএসটিএস, বিসিএস পরীক্ষার মতো অন্যান্য কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে পারে।

আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত ৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ ৫০৯ জন। এবার মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।

;

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু রোববার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহনের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।

এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।

এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপলীতে ২টি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবীতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি, সাহাম ওমানে ২৬টি।

পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ঐ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

২। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

৩। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

৪। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

এছাড়া বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;