একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফল আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফল আজ

একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফল আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ১৩ জুন। এ ধাপে আবেদন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। আজ রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় প্রথম ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। এদিন শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, তিনি কোন কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

এর আগে গত শুক্রবার (২১ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র ও একাদশে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর ২৯ জুনের মধ্যে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একইদিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে।এই ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চায়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে, যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই, চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে। সব ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে।

ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। একজন শিক্ষার্থী যে কটি কলেজে আবেদন করবেন তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। শুধু শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

গত মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে না: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ জুন

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে পরীক্ষা পেছাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের এ দাবি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

বুধবার (২৬ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তাদের দাবি ভিত্তিহীন, এটা মানার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রতি বছর কতিপয় শিক্ষার্থী এই ধরনের আন্দোলন করে থাকে।

তিনি বলেন, এ সময় শিক্ষার্থীদের অযথা সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া দরকার।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ জুন) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই স্মারকলিপি জমা দেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পত্রের মাধ্যমে আমাদের দাবির সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছি এবং আপনার সদয় বিবেচনা কামনা করছি।

সিলেট ছাড়া বাকি সব বোর্ডেই নির্ধারিত সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বন্যা ও ভারি বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছি। সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অন্যান্য এলাকায় কিছুদিন পর অনেক বৃষ্টি হবে। আমরা যদি বিলম্ব করি তাহলে সেখানে পরীক্ষা নিতে পারব না।

উল্লেখ্য, বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ জুন থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে তা স্থগিত থাকছে।

;

দেশের ৩৭ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নেই: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি, যার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ১০৫টিতে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭টিতে ভাইস-চ্যান্সেলর ও ৩৪টিতে ট্রেজারার পদ শূন্য রয়েছ বলে সংসদে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর।

ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে আছে ৫ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৯৮১টি পদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে ৭৯ জন সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শূন্য পদ পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

;

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ৪০৮ শিক্ষার্থীর। ওই শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ পছন্দ করেছিল সেগুলোতে আসন খালি না থাকায় প্রথম পর্যায়ে তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ধাপে সংশোধন করে আবেদন করলে তারাও পাবে কলেজ, পাবে একাদশে ভর্তির সুযোগ।

রোববার (২৩ জুন) রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলে দেখা গেছে সারাদেশে সাড়ে ৮ হাজার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। সেই তাদের মধ্যে আছে চট্টগ্রামের এই ৪০৮ শিক্ষার্থীও। মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষাবোর্ড। চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর কলেজ জোটেনি।

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক অতি আত্মবিশ্বাস থেকে ৪-৫টি কলেজ দিয়েই আর দেন না। তখন দেখা যায় সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এই ২ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক।

তিনি বলেন, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫-৬টির বেশি কলেজ দেয় না। তাদের ধারণা থাকে ৫-৬টি কলেজে আবেদন করলে তাদের নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করেছে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো বেশি ছিল। সে কারণে যারা ৫-৬টি কলেজের বেশি পছন্দ দেয়নি, তাদের একটিতেও সুযোগ হয়নি। কিন্তু দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয়তো হতো না।

জাহেদুল হক বলেন, একাদশে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আমরাও বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই তা করেননি।

তবে এসব শিক্ষার্থীর কলেজ পাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক আরও বলেন, যারা প্রথম ধাপে মনোনীত হয়নি তারা ভর্তি হতে পারবে। কারণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মোট আসন সংখ্যার তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা কম। যার কারণে সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামে আসন সংকট হবে না। তবে তারা যে কলেজে ভর্তি হতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেটি হয়তো পাবে না। যারা প্রথম তালিকায় মনোনয়ন পায়নি, তাদের পরবর্তী তালিকায় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে আবেদনের সময় পছন্দ সংশোধন করতে হবে।

এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুন এবং শেষ হবে ২ জুলাই। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ জুলাই রাত ৮টায়। সেদিনই প্রথম ধাপে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অবশ্য তৃতীয় ধাপেও আবেদনের সুযোগ থাকছে। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৯ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ জুলাই। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ ১২ জুলাই রাত ৮টায়। আর ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই এবং শেষ হবে ২৫ জুলাই। আর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মোট পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। তবে চট্টগ্রামের ২৮৫টি সরকারি-বেসরকারি কলেজে আসন রয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ফাঁকা থাকবে প্রায় ৪৬ হাজার আসন।

;

প্রথম ধাপে কলেজ পাননি ৪৭ হাজারের‌ বেশি শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইন আবেদনে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও কলেজ পায়নি। এদিকে, জিপিএ ফাইভ পেয়েও কলেজ পায়নি ৭ হাজার ৫৯৯ জন। এছাড়া দেশের ২২০টি কলেজে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও আবেদন করেননি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবেদনের সময় কম কলেজ নির্বাচন করা এবং ফলাফল অনুযায়ী প্রত্যাশিত কলেজ নির্বাচন না করায় এমন হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) রাতে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানা যায়, ফলাফলে দেখা গেছে গত ২৬ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত একাদশে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো পছন্দের কলেজ পাননি। কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। আর একজন শিক্ষার্থীও পায়নি এমন কলেজের সংখ্যা ২২০টি।

যে কারণে কলেজ পাননি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা-

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থী তার এসএসসির ফলাফল ও অনলাইন আবেদনের সময়ে দেয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষার্থী ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে দিতে পারেন। অনেকে পছন্দের দুই, তিন বা চারটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। মূলত তাদের সেই কলেজগুলোতে আসন শূন্য না থাকায়, তারা ভর্তির সুযোগবঞ্চিত হয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ঠিক একই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নজর ছিল দেশের ভালো কলেজগুলোর দিকে। তারা হাতেগোনা কয়েকটি কলেজ পছন্দক্রমে দিয়েছেন। যেখানে সবার আকর্ষণ বেশি। এজন্য সেখানে প্রতিযোগিতাও বেশি ছিল। আর সেসব কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই কেবল চান্স (সুযোগ) পান। অনেক সময় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে নম্বরের হিসাবে সামনের কয়েকজন সুযোগ পান। আর জিপিএ-৫ পেয়েও নম্বর কম থাকায় অনেকে বাদ পড়েছে।

তিনি আবারও বলেন, কলেজ পছন্দের সময় সব ভালো মানের কলেজকে পছন্দ দিয়েছেন যেমন শিক্ষার্থীরা, তেমনি তাদের উচিত ছিল তার প্রাপ্ত নম্বরের দিকে নজর রেখে কলেজ পছন্দ দেয়া।

কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বর্তমানে করণীয়-

প্রথম ধাপে আবেদন করে যারা কলেজ পাননি, তাদের জন্য কী করণীয় তাও জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় ধাপে চলে যাবে। এখন শিক্ষার্থীদের শুধু অনলাইন আবেদনে গিয়ে পছন্দক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। পরামর্শ থাকবে, তারা যেন পছন্দক্রমে নতুন কিছু কলেজ যোগ করেন। তবে কলেজ আসনের কোনো সংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারবেন।

এদিকে প্রথম ধাপে আবেদন করে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমেই তাদেরকে ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ‘ফি ‘ পরিশোধ করতে কারও অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি দিয়েও নিশ্চায়ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

কেউ যদি প্রথম ধাপে কাঙ্ক্ষিত কলেজ না পান, সেক্ষেত্রেও তাকে প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। ২৯ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে পারবেন। এরপর তিনি মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন। ৪ জুলাই পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।

দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে আবেদন ও ফল-

৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

চলতি বছর সব শিক্ষা বোর্ড (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) মিলিয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। সব মিলিয়ে এবার প্রায় ১০ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।

;