আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়াতে সহযোগিতা করবে ইউজিসি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইউজিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত কর্মশালা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ইউজিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত কর্মশালা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আগামী তিন বছরে জাপানে ১০ হাজার আইটি ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান তৈরি, আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সচেতনতা বাড়াতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ইঞ্জিনিয়ার ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন (আইটিইই) বিষয়ে ইউজিসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ইউজিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যৌথভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মন্ত্রী হিরোইকি ইয়ামায়া, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতীম দেব, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের ঢাকার প্রতিনিধি ইউজি অ্যান্দোসহ অন্যান্যরা। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত কর্মশালা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

স্বাগত বক্তব্যে ড. সাজ্জাদ বলেন, আইটিইই জাপানে আইটি প্রফেশনালদের মান নিয়ন্ত্রক জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। এ পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের মেধাবী আইটি ইঞ্জিনিয়ার গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষতা যাচাই করতে পারবেন। যা দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞাপন

ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে গত দশক থেকে কাজের ধরন ও দক্ষতার পরিমাপকে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা এখন উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছি। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের তরুণ সমাজকে আরো বেশি উদ্যোগী ও প্রস্তুতি নিতে হবে। আর সেজন্য সাধারণ শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের গ্রাজুয়েটদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও জ্ঞান সম্পর্কে তাদের চৌকষ থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের জন্য জাপানে একটি বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশের তরুণরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। প্রতিবছরই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী তথ্য প্রযুক্তিতে গ্র্যাজুয়েট করে বের হচ্ছে। কিন্তু হাতাশার কথা হলো তাদের মাত্র ১০ শতাংশ জাপানের আইটিটিই পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে পাস করতে পারছে। এ থেকে আমাদের বের হতে হবে। শিক্ষা কারিকুলাম পুরনো। যেটা এখনই নিরসন করার পদক্ষেপ নিতে হবে।