ঢাবির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের বিবৃতি

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড. রুশাদ ফরিদী

ড. রুশাদ ফরিদী

তিন দিন ধরে ক্লাসে ফেরার আকুতি জানানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সেই শিক্ষক ড. রুশাদ ফরিদীকে নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে অর্থনীতি বিভাগ। গত তিন ধরে তিনি বিভাগটির চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শফিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিভাগের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভাগে যোগদান করার পর ২০১২ সালে ড. রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আসে। এ কারণে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ জানায়। এ ঘটনার পর রুশাদ ফরিদী বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকাকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান ও অশোভন বাক্যবাণে আক্রমণ শুরু করেন। এমন কর্মকাণ্ডের কারণে বিভাগ থেকে সুপারিশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে শর্তসাপেক্ষে যোগদানের সুযোগ প্রদান করে। সিন্ডিকেট তিন বছর তার পদোন্নতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে যেন এমন অভিযোগ আর না উঠে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, পুনরায় যোগদান করার পর তিনি তার পূর্ববর্তী অশোভন আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটান। এসময় তিনি বিভাগের সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন এবং অশোভন শব্দ প্রয়োগ করে পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা চালান। তখন তাকে তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ একাডেমিক কমিটিতে উত্থাপন করার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করে একই আচরণ অব্যাহত রাখেন।একাডেমিক কমিটি রুশাদ ফরিদীকে সতর্ক করলে তিনি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারপরও তিনি তার এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন।

বলা হয় রুশাদ ফরিদীর এমন কর্মকাণ্ডে বিভাগীয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়। বিভাগীয় কমিটির অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২০১৭ সালে পুনরায় তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

এমতাবস্থায় অর্থনীতি বিভাগ রুশাদ ফরিদীকে জানাতে চায় যে, তাকে পুনর্বহালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, অর্থনীতি বিভাগের নয়। অর্থনীতি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তবে ড. রুশাদ ফরিদী বলছেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগুলো মিথ্যা। কোনো ধরণের তদন্ত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি প্রদান করে।